ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
এই খাতেরও মাফিয়া সামিট-বেক্সিমকো

আ.লীগ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণেই ইন্টারনেট

শাওন সোলায়মান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ১২:১৬ এএম

আ.লীগ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণেই ইন্টারনেট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার মাস পেরিয়ে গেলেও দেশের ইন্টারনেট বাজারের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণে এখনো রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগপন্থি সিন্ডিকেট। ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের নামে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট সঞ্চালনব্যবস্থার বিভিন্ন ধাপের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। সেই সুযোগে আওয়ামী আমলে দুর্নীতি ও লুটপাটের অন্যতম শীর্ষ খাত হয়ে ওঠে আইসিটি ও টেলিকম খাত। অর্থনীতির হালচাল জানার জন্য গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনেও সম্প্রতি বিষয়টি উঠে আসে।

দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের মাফিয়া সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছে সামিট কমিউনিকেশন্স ও বেক্সিমকো গ্রুপ। ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসটেন্স কমিউনিকেশন্স (আইএলডিসি) থেকে গ্রাহক পর্যন্ত এবং মোবাইল টাওয়ারসহ প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্সধারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান সামিট। নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাবে সঞ্চালনব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগের হাতেই থাকে। এমনকি এই মাফিয়া সিন্ডিকেট চাইলে এখনো দেশের ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে সক্ষম। সন্তোষজনক গ্রাহকসেবা না থাকা এবং বিভিন্ন অনিয়মের পরেও তাই ছাড় দেওয়া হতো প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। টেলিকম খাতের এক বিশেষজ্ঞ রূপালী বাংলাদেশের কাছে ইন্টারনেট সঞ্চালনব্যবস্থা তুলে ধরেন।

তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ইন্টারনেটের মূলত দুটি পর্যায় ডাটা ও ভয়েস। ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৯ প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ‘ভয়েস’ ছিল বেক্সিমকো তথা সালমান এফ রহমানের দখলে। প্রতি মাসে এখানেই প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় ছিল সিন্ডিকেটের। অন্যদিকে ডাটা তথা ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট শুরু হয় সাবমেরিন কেবল অথবা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্টোরিয়াল কেবল (আইটিএস) সংযোগ থেকে। এ দুটি মিলে আইএলডিসি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি সাবমেরিন কেবল থেকে এবং আইটিসি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছয় অপারেটর প্রতিবেশী দেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সংগ্রহ করে। আইটিসি অপারেটরগুলো হলো নভোকম লিমিটেড, বিডি লিংক কমিউনিকেশন্স, ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস, সামিট কমিউনিকেশন্স, ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবাল এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড (বিটিসিএল)।

এই ব্যান্ডউইথ ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন্স ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) মাধ্যমে পৌঁছায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের কাছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেসরকারি খাতের ফাইবার অ্যাট হোম, সামিট কমিউনিকেশন্স ও বাহন নিয়ে মোট ছয়টি এনটিটিএন অপারেটর। আইআইজি অপারেটরদের কাছ থেকে এনটিটিএনদের মাধ্যমে সেই ব্যান্ডউইথ যায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। আইএসপিগুলোই ঝুলন্ত তারের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত বাসাবাড়ি, অফিসের মতো স্থাপনায় ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছায়।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই ইন্টারনেট সঞ্চালনের আরেকটি পর্যায় হচ্ছে ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (নিক্স)। ১১ প্রতিষ্ঠানের নিক্স লাইসেন্স রয়েছে। ইন্টারনেট সঞ্চালনের এসব ধাপসহ মোবাইল টাওয়ারের লাইসেন্সও সামিটের। টেলিকম খাতে প্রতি মাসের সামিটের আয় কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা। আবার এই ইন্টারনেটের একটি অংশ মোবাইল টেলিকম অপারেটরগুলোর টাওয়ারের মাধ্যমে যায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে। ফলে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় হঠাৎ কোনো আক্রমণের সক্ষমতা সামিটের রয়েছে।

ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সংযোগের বিঘ্নতা সম্ভব হয়েছিল আওয়ামী লীগের তৈরি করা আজ্ঞাবহ সিন্ডিকেটের কারণে। সামিটের মতো আরও কিছু প্রতিষ্ঠান যদি থাকত, যারা সরকারের অন্যায় আদেশ মানবে না, তাহলে সে সময় দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হতো না।

ডাটা: ইন্টারনেট সঞ্চালনের বিভিন্ন পর্যায়ের লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান, তাদের ব্যান্ডউইথ এবং মালিকপক্ষের বিষয়ে অনুসন্ধান করে রূপালী বাংলাদেশ।

তাতে দেখা যায়, সামিট কমিউনিকেশন্সের মালিকানা প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ, যেটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ। দেশে বর্তমানে প্রায় ৬ দশমিক ২ টেরাবিট ব্যান্ডউইথ আমদানি করা হয়। এর প্রায় ৩৩ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশই (২ দশমিক ৫ টেরাবাইট) সরবরাহ করে সামিট। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তৎকালীন নেতৃত্বের সঙ্গে সখ্যের ভিত্তিতে আইটিসি লাইসেন্স পায় ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর হাত ধরে আইটিসি নবায়ন ও আইআইজি লাইসেন্স পায় প্রতিষ্ঠানটি। শেখ ফজলে নূর তাপসের মধুমতি ব্যাংকেও শেয়ার রয়েছে ম্যাঙ্গোর উদ্যোক্তাদের।

প্রায় ৩০০ টেরাবিট ব্যান্ডউইথ আমদানি করে ম্যাঙ্গো। অ্যাপল কমিউনিকেশনের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স গ্রুপের স্টারটেক টেলিকম। 

লেভেল-৩ ক্যারিয়ার লিমিটেডের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ আহমেদ তৌফিক। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায়ও আছেন রেজওয়ান। ভেলোসিটি নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক।

এদিকে আওয়ামীপন্থিরা নিয়ন্ত্রণ করতেন আইএসপি সেবাও। সাধারণ গ্রাহকদের জিম্মি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে ভোক্তা পর্যায়ের ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এক নেতার এলাকায় অন্য কেউ ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারতেন না। ফলে বাড়ত না গ্রাহকসেবার মান, নিষ্পত্তি হতো না অভিযোগের। বিশেষ করে রি-সেলিং ভিত্তিতে সেবা দেওয়া স্থানীয় পর্যায়ের আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে একপ্রকার জিম্মি বৃহৎ আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো। ‘ইউনিফায়েড কোর লিমিটেডের’ চেয়ারম্যান ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন।

‘সান অনলাইন’-এর স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন কদমতলী থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। এই এলাকায় বাসাবাড়িতে ইন্টারনেটের সংযোগ দেয় শুধু তার প্রতিষ্ঠান। নারায়ণগঞ্জ শহরের আইএসপি ব্যবসা একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান। তার নিজেরও আছে আইএসপি লাইসেন্স।

মিরপুর ১১ নম্বরের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন ‘বাস নেটওয়ার্ক’-এর স্বত্বাধিকারী ও কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নুর ছেলে মোহাম্মদ রিপন। ১১ নম্বরের আরেক অংশের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন যুবলীগ নেতা শেখ আড্ডু। মেটাফোর ইন্টারনেটের অবৈধ রি-সেলার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। পল্লবী এলাকার বৃহৎ একটি অংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহর ঘনিষ্ঠ ‘ফ্রিডম অনলাইন’-এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আরমান। একই এলাকার আরেক রি-সেলার ‘ক্যাশটেক কম্পিউটার্স’-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন একাধিক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা। 

দেশের বাইরের সঙ্গে যোগাযোগে ভয়েস কল সম্পন্ন হয় আইজিডব্লিউ অপারেটরের মাধ্যমে। ২০০৮ সালে বিটিসিএলের সঙ্গে তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলা ট্রাক ইনফ্রাসট্রাকচার, নভোটেল ও মীর টেলিকমকে প্রথম আইজিডব্লিউ লাইসেন্স দেওয়া হয়। 

২০১২ সালে লাইসেন্স পাওয়া ১৯ প্রতিষ্ঠানসহ ২৯ প্রতিষ্ঠানকে আইজিডব্লিউ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে মোট ২৪টি আইজিডব্লিউ অপারেটর সক্রিয় রয়েছে দেশে। এগুলোর মধ্যে ২০টি আইজিডব্লিউকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভয়েস ইন্টারনেট এককভাবে দখলে আছে সালমান এফ রহমানের।

আইজিডব্লিউ অপারেটর গ্লোবাল ভয়েস টেলিকমের স্বত্বাধিকারি এ কে এম শামসুদ্দোহার পেছনের মূল ব্যক্তি ছিলেন সালমান এফ রহমানের ছেলে ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান।

২০১৪ সালে তৎকালীন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে মিলে সে সময়কার ২৩ বেসরকারি অপারেটরের মধ্যে ১৮টিকে নিয়ে ‘আইজিডব্লিউ অপারেটর্স ফোরাম (আইওএফ)’ গঠন করেন সালমান। এর মধ্য দিয়ে আইজিডব্লিউ অপারেটরে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করেন তিনি। এই সিন্ডিকেটে সালমানের সহযোগী ছিল কনফিডেন্স গ্রুপের ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন্স এবং রুটস কমিউনিকেশন্স। ডিজিকনের লাইসেন্স পেতে সুপারিশ ছিল শেখ ফজলে নূর তাপসের।

আর রুটস কমিউনিকেশন্সের ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপের স্ত্রী গুলশান আরা। সেই সময়ের স্মৃতি স্মরণ করে আইজিডব্লিউ অপারেটর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সবাইকে বাধ্য করে আইওএফে যুক্ত করা হয়েছিল।

যারা রাজি হননি, তাদের নানা রকম চাপ দিয়ে রাজি করানো হয়। প্রথমে দুটি এবং পরে তিনটি শ্রেণি করা হয় আইওএফে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকা শায়ান রহমানের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ভয়েসের মাধ্যমে সব আইজিডব্লিউর আর্থিক লেনদেন হতো। আমাদের বলা হয় যে, লাইসেন্স আছে ভালো কথা, কিন্তু আমরা কোনো সেট-আপ করব না; কার্যক্রম পরিচালনা করব না। সব কাজ আইওএফ মানে সালমান এবং শায়ান করবেন। মাস শেষে শ্রেণি অনুযায়ী লভ্যাংশের একটা অংশ সবাই পেয়ে যাবে। আইওএফ ছিল একটা কোম্পানি মতো, যেখানে আমরা সবাই ছিলাম চাকরিজীবী।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, এই সপ্তাহের কমিশন সভায় একটি কমিটি করা হয়েছে, তারা দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখভাল করবে।

প্রথমত, এখন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা যেভাবে জটিল হয়ে আছে, সেটাকে সহজ ও সরল করা এবং নেটওয়ার্কে অনেকগুলো স্তর আছে, সেগুলো কমিয়ে আনা। একটা সময় এসব স্তর হয়তো দরকার ছিল, কিন্তু এতগুলো স্তর হওয়ায় অনেকে মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে যাচ্ছে। ফলে ইন্টারনেটের দাম কমানো যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, নেটওয়ার্ককে সহজ ও যৌক্তিক করতে হলে লাইসেন্সিং ব্যবস্থাও পরিবর্তন করতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বড় ধরনের পরিবর্তনের রোডম্যাপ দিতে পারব বলে আশা রাখি।

কোনো সরকার চাইলেই ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে যেন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, এ বিষয়ে বিটিআরসির পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এটা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরিকল্পনার বিষয় না, এটা আইনের এক্তিয়ার।

ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকার। ইন্টারনেট হুট করে যেন বন্ধ করে না দেওয়া যায়, সে রকম একটা আইনি সুরক্ষা গ্রাহকের অধিকার। আমরাও তেমনটাই পরামর্শ দিচ্ছি সরকারকে এবং সরকার তেমন সিদ্ধান্ত নিলে স্বাগত জানাব।

আরবি/জেডআর

Link copied!