# হত্যা মামলায় ৬ দিনের রিমান্ডে
# আ.লীগ করে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা
# সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুদক
# ছেলে সুনাম দেবনাথ ছিল মাদক সম্রাট
বরগুনা অর্থ-সম্পদের নেশা যেন পেয়ে বসেছিল বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনের পাঁচবারের এমপি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। দৃশ্যমান কোনো আয় না থাকলেও প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি। বিদেশেও রয়েছে তার বাড়িসহ বিপুল বিত্ত।
নির্বাচনি এলাকায় জনপ্রিয়তা খুব একটা না থাকলেও বারবার তাকেই নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে দল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। স্থানীয় বাসিন্দা ও খোদ দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, শম্ভুর পেট যেন দুর্র্নীতির গোডাউন। ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি, টিআর, কাবিখা, কাবিটার সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন শম্ভু ও ছেলে সুনাম দেবনাথসহ গোটা পরিবার। গোটা জেলার মাদক কারবারের হোতা ছিলেন সুনাম দেবনাথ। বাপ-ছেলের ভয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ছিল তটস্থ। দাম্ভিক শম্ভুকে এখন রাজনীতিতে মনস্টার বা দানব মহালুটেরা হিসেবে আখ্যায়িত করছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, বরগুনার মানুষ সাবেক উপমন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ডাকেন ‘দাদা’ নামে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ছিলেন বরগুনার মুকুটহীন সম্রাট। এই দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বরগুনা-১ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করেছেন সাতবার। তার মধ্যে ২০০১ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ছাড়া প্রতিবারই বিজয়ী হয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালী এ নেতা ও তার পরিবারের ইশারায় আবর্তিত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনার উন্নয়ন প্রকল্প ও রাজনীতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প সবখানে শম্ভু পরিবার কায়েম করেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব।
পরিবারটির বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। যদিও বিগত দিনে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি কেউ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এরপরই গত তিন মাস আত্মগোপনে ছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সাবেক এমপি শম্ভু।
অবশেষে সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটে (সিএমএম) আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই এ হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও আমির হোসেন আমুসহ আরও অনেকে আছেন।
অন্যদিকে গত মাসে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উন্নয়ন প্রকল্প, কাবিখা, কাবিটা এমন কোনো জায়গা নেই যেখান থেকে টাকা নিতেন না শম্ভু। জানা গেছে, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট শম্ভুর অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে। এ ছাড়া শম্ভু তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের নামেও গড়েছেন অঢেল সম্পদ।
দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন, শম্ভু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে ৫০০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ রয়েছে শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের অবৈধ সম্পদ ও মাদক কারবারি করে অবৈধ টাকা আয় করার।
বরগুনার রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত তিন দশক দলের সভাপতি ও সংসদ সদস্য থেকে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী হয়ে ওঠেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। পঞ্চম জাতীয় সংসদে সংবিধানে লেখা বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বাতিল করতে বক্তৃতা দিয়ে নিজেকে প্রথম দেশবাসীর কাছে বিতর্কিত ও সমলোচিত হন। এরপর সপ্তম সংসদের সংসদ নির্বাচনে এমপি হয়ে খাদ্য উপমন্ত্রী হন। খাদ্য উপমন্ত্রী হয়েই সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে যত্রতত্র পতাকা উড়িয়ে গাড়িতে চলাচল করত। এমন বিতর্কিত ঘটনার সংবাদ প্রকাশ হলে তখনো আবার সমালোচিত হন দেশজুড়ে।
১৫ বছরে শম্ভুর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৬ গুণ: বিগত ১৫ বছরে শম্ভুর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৬ গুণ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে দেওয়া হলফনামায় শম্ভু নিজ নামে দুই লাখ এবং স্ত্রীর নামে ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। নিজের নামে ব্যাংকে জমা ৩ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৩৯২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৪ টাকা সূত্র বলছে, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পদের প্রায় পুরোটাই করেছেন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও বেনামে। রাজধানীর গুলশানে তিন হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে শম্ভুর। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এবং প্রিয়প্রাঙ্গণে রয়েছে স্ত্রী-কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে ৪টি প্লট। এক হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে মধ্য বাড্ডায়। নিজেরসহ স্ত্রী-সন্তানদের নামে রয়েছে চারটি বিলাসবহুল গাড়ি। বরগুনা মহাসড়ক এলাকায় এক একরেরও বেশি জমি কিনেছেন ছেলে সুনাম দেবনাথ। বরগুনার তালতলী উপজেলার ৪২ নম্বর মৌজার বড় নিশানবাড়ি ৪০৪ নম্বর খতিয়ানে এই পরিবারটির নামে রয়েছে ১৭ দশমিক ৫২ একর জমি। গাজীপুরে রয়েছে নিজস্ব জমিতে পোশাক কারখানা। আমতলী পৌরসভা এলাকায়ও জমি রয়েছে শম্ভুর।
সরকারি ও মন্দিরের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ: সরকারি সম্পত্তি এবং সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি ও মন্দিরের সম্পত্তি দখলের অভিযোগও রয়েছে সাবেক এমপি শম্ভুর বিরুদ্ধে। বরগুনা শহরে ঢুকতেই প্রধান সড়কের পাশে রয়েছে তার আলিশান বাসভবন। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা পরিষদের সামনে থাকা দৃষ্টিনন্দন পুকুরের সিংহভাগ দখল ও ভরাট করে ওই বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। চারদিকে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখার পাশাপাশি পুকুরের অংশে পাইলিং করে আটকে দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে যায়, সরকারি অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি কাজে না লাগায় আইনি প্রক্রিয়ায় তা অবমুক্ত করার পর সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেন শম্ভু। অভিযোগ আছে, ওই বিশাল বাগানবাড়ির মধ্যে অনেক সংখ্যালঘুর জমি রয়েছে। এ ছাড়া ওই বাড়ির মধ্যে একসময় মদন মোহন জিউর আখড়া বা মন্দির ছিল বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।
প্রতিটি সেক্টরেই ব্যাপক দুর্নীতি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিয়ন-নৈশপ্রহরী নিয়োগে পর্যন্ত ঘুষ দিতে হতো তাকে। সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেছেন সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতারা। গত বছর অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি অভিযোগ করে বলা হয়, টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না শম্ভু। টিআর, কাবিখা, কাবিটা আর ৪০ দিনের কর্মসূচির নামে কোটি কোটি টাকার ভাগবাঁটোয়ারা হয় সংসদ-সদস্য ও তার লোকজনের মধ্যে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বরগুনা সদর আসনের ৩ উপজেলায় সংসদ-সদস্যের বিশেষ বরাদ্দের আওতায় ১৮১টি প্রকল্পে ৩ কিস্তিতে ১ কোটি ১৪ হাজার ৬৬৬ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৮টি প্রকল্পে কিছু কাজ হলেও বাকিগুলোয় কোনো কাজ না করে উঠিয়ে নেওয়া হয় টাকা। শম্ভুর পছন্দের লোকজনই ছিল ওইসব প্রকল্পের দায়িত্বে।
এছাড়া বরগুনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এলজিইডি, সড়কও জনপদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব কার্যালয়ে সিংহ ভাগ কাজ করত তার অনুসারী ঠিকাদাররা। গত পাঁচ বছর ২৬টি ব্রিজ এখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি বরগুনাবাসী। এসব ঠিকাদারি কাজের তদারকি কমিশন বাণিজ্যে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। বরগুনায় প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে রয়েছে খানাখন্দ ভরা। এসব সড়কে মানুষ হেঁটে চলা দায়। যে কয়টি সড়কে মেরামত করা হয় তা আবার বছর শেষ না হতেই অনুপযোগী হয়ে ওঠে তার অনুসারী ঠিকাদারদের তবিয়তে।
শম্ভুর বিরুদ্ধে এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও তার ছেলের মাদক কারবারির বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ২০১৮ সালে ৪ সেপ্টেম্বর। তার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে ২০০১ সালে তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হন এবং বিপুল পরিমাণ ভোটে তাকে পরাজিত করেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও শম্ভুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ৩ জন বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ এ নির্বাচনে তিনি তৃতীয় হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম আহাদের ভাইরাল হওয়া এক অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, প্রকল্পের বরাদ্দ প্রশ্নে সংসদ-সদস্য শম্ভুকে অর্ধেক টাকা দিয়ে তারপর আনতে হয় কাজ। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৩৩টি টিআর প্রকল্পে ১ কোটি ৭৫ লাখ ও ৪৭টি কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পান তিনি। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের একটিতেও কোনো কাজ না করে তুলে নেওয়া হয় টাকা। সংসদ-সদস্য থাকাকালে শম্ভুর বিরুদ্ধে একবার ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ ২৪টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্য নেতারা। সে সময় তাকে বরগুনায় অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করেছিলেন তারা।
মাদক বাণিজ্যের হোতা ছেলে সুনাম: শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধে আছে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের পর বরগুনা ছিল মাদক চোরাচালানের অন্যতম একটি কেন্দ্র। সাগর পারের বরগুনা থেকে মাদকের চালান যেত দেশের বিভিন্ন স্থানে। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতেন সুনাম। জেলা পুলিশের দেয়া গোপন প্রতিবেদনেও মাদক বাণিজ্যের হোতা হিসাবে নাম ছিল সুনামের। সুনামের বিরুদ্ধে মাদক বাণিজ্যে যুক্ত থাকার অভিযোগ পর্যন্ত আনেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আদনান অনীক। এছাড়া বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যাকাণ্ড ও কিশোর গ্যাং লিডার নয়ন বন্ডের ক্রসফায়ারের ঘটনাও এই মাদকের কারণেই হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারের খবরে বরগুনায় উল্লাস: সোমবার রাতে ঢাকা থেকে শম্ভুর গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বরগুনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট দিতে দেখা গেছে। এলাকার মানুষের কাছে তার গ্রেপ্তারের সংবাদটি সুসংবাদে পরিণত হয়েছে। এমনকি তার অন্যায়, অত্যাচার সম্পর্কেও একাধিক লোক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।
বরগুনা জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আ. হালিম মোল্লা লিখেন ‘বরগুনার শ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজ গ্রেপ্তার। কথায় বলে না শয়তান মরে কাউয়া হইয়া। চিনত না আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। চিনত না মুক্তিযোদ্ধা, চিনত না কাউকে। ওর লাগবে শুধু টাকা! টাকা ছাড়া নড়ে না শম্ভু! এমনকি স্ত্রীর কথাও শুনত না।’
শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আহমেদ বশির লিখেন, ‘অতঃপর রাজনৈতিক মনস্টার মহালুটেরা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু আটক।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত মো. আল আমিন লিখেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব কুক্ষিগত করে ৩০ বছর থাকা যায়, কিন্তু জনগণ ও কর্মীদের হৃদয় থেকে উঠে গেলে, কর্মীদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করলে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার হাতেও গাছের ছায়া থেকে বঞ্চিত হয়। তার জন্য দুঃখ প্রকাশ।’
বরগুনা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শম্ভু বরগুনার একজন মহা দুর্নীতিবাজ ও ভারতীয় রয়ের এজেন্ট। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন সময় কটূক্তি করেছে। আমরা শম্ভুর গ্রেপ্তারে আনন্দিত।
আপনার মতামত লিখুন :