প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকেই অবশেষে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে। প্রিডিপিসি বৈঠকের পর ২১ নভেম্বর চূড়ান্ত ডিপিসি করে তাকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে। তবে এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। অনেক আগেই তার পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে তাকে পতিত সরকারের আমলে পাঁচ বছর ওএসডি করে রাখা হয়। আগামী রোববার প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসবেন বলে জানা গেছে।
বেবিচক প্রথমে তাকে প্রধান প্রকৌশলী করেনি। রাজনৈতিক প্রভাবে আব্দুল মালেককে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। আবার তাকে এক্সটেনশনও দেওয়া হয়। দ্বিতীয়বার তাকে এক্সটেনশন দেওয়ার পাঁয়তারা করা হয়। কিন্তু তা ভেস্তে গেলে ফেব্রুয়ারিতে দুদকের মামলার আসামি এই কর্মকর্তাকে রুটিন দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রিপোর্টের ঝড় ওঠে। ফলে বাধ্য হয়ে বেবিচক হাবিবুর রহমানকে প্রধান প্রকৌশলী করার সিদ্ধাস্ত নেয়।
এদিকে আওয়ামী সরকারের আমলে প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে প্রকৌশল বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বীজগণিতের সূত্রের মতো তার জীবনে প্লাসে মাইনাসে মাইনাস হয়ে রইল।
তিনি শেষমেশ কাক্সিক্ষত পদে যেতে পারলেও তার সহধর্মিণী ওএসডি হয়েই রইলেন। তাকেও রাজনৈতিক তকমা লাগানো হয়েছিল!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান একজন চৌকশ প্রকৌশলী। তিনি দক্ষ ও প্রকৌশল কাজে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি কখনো নীতিবহির্ভূত কাজ করেননি। যদিও তার গায়ে দুদকের মামলার কালিমা লেপন করা হয়েছে। তিনি সেখান থেকে অচিরেই ‘ক্লিনটাচ’ পাবেন বলে অনেকে মনে করেন।
নানা কারণে একশ্রেণির ঠিকাদার ও প্রকৌশলী তার প্রতি নাখোশ। তিনি প্রকৌশল বিভাগকে ঢেলে সাজাবেন বলেও অনেকে আশাবাদী।
আপনার মতামত লিখুন :