দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের নামে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার খরচ করেছে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মিলেমিশে লুটপাট করেছে ৪০ শতাংশ অর্থ। টাকার অঙ্কে প্রায় পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা। উন্নয়নের নামে সাদা হাতি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেদার দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়েছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। সেই ঋণ পরিশোধে এবার চাপে পড়তে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বৈদেশিক দেনা পরিশোধ করা হয়েছে ১৭১ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে) প্রায় ২০ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। কিন্তু গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১৩৩ কোটি ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিশোধ বেড়েছে ৩৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক দেনা শোধের সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাপ থাকবে ২০২৭ সালে। যা পরবর্তী কয়েক বছর চলবে। বিশেষ করে সুদাসলসহ পরিশোধ শুরু হবে চীন, ভারত এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) ঋণের। এ ছাড়া গ্রেস পিরিয়িড (রেয়াতকাল) শেষ হয়ে ২০২৭ সালে শুরু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল ঋণের কিস্তি। ২০২৮ সালে শুরু হবে মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ কার্যক্রম। ২০২৯-৩০ অর্থবছরে ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫১৫ কোটি ডলার খরচ হবে। এদিকে নতুন বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতিতেও ধস নেমেছে। ফলে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি ডলার বা ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা (বর্তমান বাজারদরে) অর্থ এডিপির মাধ্যমে খরচ হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি মনে করে, এডিপির মাধ্যমে যত টাকা খরচ করা হয়েছে, এর ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ অপচয় ও লুটপাট হয়ে গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ১৪ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চাঁদাবাজি, ঘুষ ও বাড়তি খরচের নামে চলে গেছে। বর্তমান বাজারদরে এর পরিমাণ ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। মোটাদাগে ক্ষমতায় থাকার সাড়ে ১৫ বছরে এডিপির আকার ১০ গুণ বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরের অর্থবছরে (২০০৯-১০) সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকার এডিপি নিয়েছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর প্রতিবছরই এডিপির আকার বেড়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। ফলে দেনার চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৯০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা দরে হিসাব করলে তা ৮ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এসব ঋণ সরকারি ও সার্বভৌম নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ঋণ হিসেবে পরিচিত। ঋণ নেওয়া, ঋণের সুদ দেওয়া, আসল পরিশোধ করা, আবার ঋণ নেওয়া বিষয়টি এভাবে চলতে থাকে। স্থিতি হিসেবে উল্লেখ থাকা অর্থ ভবিষ্যতে পরিশোধযোগ্য।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩৩৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৬৮ কোটি ডলার বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে সরকারকে এত ঋণ পরিশোধ করতে হয়নি। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৬৭ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছিল। মূলত সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। গত অর্থবছরে শুধু সুদ পরিশোধ বেড়েছে ৪১ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পরিশোধ করা হয়েছে ১৭১ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে) প্রায় ২০ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। কিন্তু গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১৩৩ কোটি ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিশোধ বেড়েছে ৩৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক সংকট বিদ্যমান থাকলেও গত বছর থেকেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ধাক্কা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ২০২৭ সালে গিয়ে সেটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং তা পরবর্তী কয়েক বছর চলবে। বিশেষ করে সুদাসলসহ পরিশোধ শুরু হবে চীন, ভারত এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) ঋণের। এ ছাড়া গ্রেস পিরিয়িড (রেয়াতকাল) শেষ হয়ে ২০২৭ সালে শুরু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল ঋণের কিস্তি। ২০২৮ সালে শুরু হবে মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ কার্যক্রম। এ পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়বে। চলতি অর্থবছরে সবমিলিয়ে ২৭৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। ২০২৯-৩০ অর্থবছরে ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫১৫ কোটি ডলার খরচ হবে। এরপর ঋণ পরিশোধ কমতে থাকবে। বিদ্যমান ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী তিন বছর বাংলাদেশের ক্রমপুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণও বাড়তে থাকবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশকে বাজারভিত্তিক ঋণের জন্য উচ্চ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) বেড়েছে। বর্তমানে এসওএফআর ৫ শতাংশের বেশি, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির আগে এক শতাংশের কম ছিল। আবার বাংলাদেশের বাজারভিত্তিক ঋণও ক্রমগত বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশকে এখন সুদ বাবদ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ঋণ প্রাপ্তির চেয়ে পরিশোধের পরিমাণ বেশি হলে বৈদেশিক রিজার্ভে চাপ পড়বে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা। রিজার্ভে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনার জন্য এসব বাড়তি চাপ নিয়ে ভাবতে হবে বলে মনে করছেন তারা। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কয়েক মাস ধরেই ঋণ প্রাপ্তির চেয়ে পরিশোধ বেশি। ফলে নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এবার কমে যাবে। আবার রূপপুরসহ বড় কয়েকটি প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হচ্ছে। তখন ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বাড়বে। তাই পুরোনো প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। আর নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক-সচেতন হতে হবে।
রিজার্ভের ওপর যেন বেশি চাপ না পড়ে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।’ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, বড় বড় প্রকল্পের বেশির ভাগ ঋণই স্বল্প গ্রেস পিরিয়ড (রেয়াতকাল) এবং পরিশোধের সময়ও কম। সেগুলো পরিশোধের সময় এসেছে। আগামী দিনে দেনা শোধের পরিমাণ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়বে। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে অর্থছাড় কমেছে। পাশাপাশি রিজার্ভেরও সংকট আছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক এবং দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের গতি বৃদ্ধি কিংবা রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হবে কি না, সন্দেহ আছে। সবকিছু মিলিয়ে বৈদেশিক অর্থ ব্যবস্থাপনায় বড় চাপ আসতে পারে। এ জন্য স্বল্প মেয়াদে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব কারণে হুন্ডি বেশি আকর্ষণীয়, সেসব কারণ খুঁজে বের করে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনা বাড়াতে হবে। এককথায় বলা যায়, বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে স্বল্প মেয়াদে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরডির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার আসলে অতিপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছাড়া অন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে না। সে কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তাবায়নের হারও হতাশাজনক। তিনি বলেন, দাতাদের কাছ থেকে আমরা কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতেই ঋণ চুক্তি করে থাকি। সেই চুক্তির আলোকেই ঋণ ছাড় করে তারা। অর্থাৎ প্রকল্পের কাজ চললে সেই কাজের বিপরীতে দাতারা অর্থ ছাড় করে। কিন্তু গত পাঁচ মাসে দেশে প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো গতি নেই। বিদেশি ঋণনির্ভর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকার উল্টো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার দিকেই বেশি মনোযোগী বলে মনে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি ঋণ ছাড় কম হবে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের গতি কম থাকাসহ নানা কারণে কমছে বৈদেশিক অর্থ পাওয়ার পরিমাণ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশ। আবার এ সময়ে বাংলাদেশের অনুকূলে বিদেশি ঋণের অর্থ যে পরিমাণে ছাড় হয়েছে, ঋণ ও ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি।
ইআরডির তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ৫২২ মিলিয়ন ডলারের। যদিও গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৮৫৯ মিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশের বেশি। একই সঙ্গে কমেছে অর্থছাড়ের পরিমাণও।
গত জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ১ হাজার ৫৪৩ মিলিয়ন ডলারের। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ে ঋণছাড় হয়েছিল ২ হাজার ১১৭ মিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণছাড় কমেছে ২৭ শতাংশের বেশি। বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমার পেছনে দেশে প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির বিষয়টি কাজ করেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
তাদের ভাষ্যমতে, জুলাই আন্দোলনের পর বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে দেশ। তাই নতুন প্রকল্প অনুমোদন বা প্রস্তুতে বাড়তি সময় লাগছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ঋণের অর্থছাড়ে সবচেয়ে এগিয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), সংস্থাটি ছাড় করেছে ৩১ কোটি ৮১ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জাপান ছাড় করেছে ৩০ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়া দিয়েছে ২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক অর্থছাড় করেছে মাত্র ২০ কোটি ডলার। বাকিগুলো দিয়েছে চীন, ভারত এবং উন্নয়ন সহযোগীরা।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনসহ নানা কারণে অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারি উন্নয়নকাজে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। আমাদের দেশে বিদেশি সহায়তার বড় অংশই প্রকল্প ঋণ। কিন্তু সরকারি বড় পরিবর্তনের ফলে ঘর গোছাতেই অনেক সময় লেগেছে। অতীতের অনিয়ম যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে গিয়েও সময় লেগে যাচ্ছে। নতুন প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করা বা অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই ঋণ প্রতিশ্রুতিও কমেছে। তবে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে কিছু বাজেট সহায়তা আসবে। সেগুলো তাদের বোর্ডে অনুমোদন পেতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
আপনার মতামত লিখুন :