ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

জুজুর ভয়ে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছে ভারত

এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ১২:৫৩ এএম

জুজুর ভয়ে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছে ভারত

রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারির গুরুত্ব কতটুকু। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা। বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব ও শন্তিপূর্ণ অবস্থান। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দোসররা নানা ইস্যু ঘিরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র। মন্দিরে হামলা চালিয়ে, আগুন ধরিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ভারতকে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার পাঁয়তারাসহ সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক এফ এ শাহেদ।

রূপালী বাংলাদেশ: কেমন আছেন?
গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: ভালো আছি।

রূপালী বাংলাদেশ: অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নানা সময়ে কারণে-অকারণে যে আন্দোলন, কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে ইসকনের বিশাল জমায়েত এবং তাদের সমর্থকদের হামলা-ভাঙচুর এসব আন্দোলনে কী ষড়যন্ত্র দেখতে পান?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। এগুলো কোনো সাধারণ আন্দোলন নয়। গণঅভ্যুত্থানের ফলে স্বৈরাচারের পতন হলেও দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা। তাদেরই ইন্ধনে ব্যাটারি আন্দোলন বলেন, আনসার বা ইসকনের আন্দোলন; তারা নানা ইসুতে নানাভাবে এবং রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। সাধারণ জনগণ সচেতন থাকলে এগুলো নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

রূপালী বাংলাদেশ: শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার চিন্ময় দাসকে একটি মামলায় গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে তরুণ আইনজীবী হত্যা এবং ভারতীয় গণমাধ্যমের অসত্য তথ্য প্রচারণা কীভাবে দেখছেন?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: ভারতীয় গণমাধ্যম যারা নিউজ করছে, তাদের বেশির ভাগেরই এ দেশে প্রতিনিধি নেই। যারা ফ্যাসিস্টের দোসর, তাদের কাছ থেকে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে, ফলে এ ধরনের অসত্য ও বাস্তবতা বিবর্জিত সংবাদ তারা প্রচার করছে। দেখবেন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় সংসদের হুইপ নড়াইল-২ সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নড়াইলের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছিল কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা রাজনৈতিক করণে। সেখানে আমরা দেখলাম, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রচার করল, হিন্দু হওয়ায় ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে একটি চাইনিজ রেস্তরা পুড়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরায়, সেটা একটি মন্দির হিসেবে প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। অথচ ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদ্্যাপন করা হয়েছে। দেশের কেনো বড় মন্দির বা কোনো সাধারণ হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হয়নি। রাজনৈতিক কারণ ছাড়া কোনো হামলার ঘটনা না ঘটলেও আওয়ামী লীগের দোসরদের দেওয়া অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এমন সংবাদ প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করা একজন সাধুকে নিয়ে কথা বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ একজন তরুণ আইনজীবী সবে সুপ্রিম কোর্টের মেম্বার হয়েছেন। তিনি বিয়ে করেছেন এবং ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়ে রয়েছে তার। তার স্ত্রী গর্ভবতী। এটি সাধুর থেকে হাজার গুণ বেশি বেদনার নয় কি? তবে তারা সেটি নিয়ে কথা বললেন না কেন? এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা কেউ কারাবরণ করবে, এমনকি ফাঁসিও অনেকের হবে। এখনো তারা কেন বলছেন না সবাই শান্ত থাকুন। কারণ তারা একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এগুলো করছে সেটি পরিষ্কার ।

রূপালী বাংলাদেশ: ভারতীয় গণমাধ্যম অসত্য সংবাদ কেন বেশি প্রচার করছে? শুভেন্দু অধিকারীর বাংলাদেশে ময়লা ফেলার বিষয়টা গুরুত্ব দেওয়ার কোনো ইস্যু হতে পারে কি?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: ভারতে কিছু মোবাইল এবং ইউটিউব ধাচের মিডিয়া আছে, যারা চায় ভিউ বাড়াতে। তারা বিভিন্নভাবে অসত্য সংবাদ ও নানা গুজব প্রচার করে। আর ওইখানকার যারা রাজনীতিবিদ, তারা এগুলো লুফে নিচ্ছে।ন তাদের রাজনৈতিক কাজে লাগাচ্ছেন। 
বাংলাদেশে অনেক টিভি চ্যানেল, সংবাদমাধ্যম রয়েছে। কখনো শুনেছেন  বাংলাদেশর কোনো মিডিয়া নিয়ে, ভারতের রিপাবলিক বাংলার মতো একটি গণমাধ্যম, যার সংবাদকে কেন্দ্র করে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও তৈরি হয়েছে? এমন আমার দেশের গণমাধ্যমকে নিয়ে কখনো হয়নি। এমনকি ভারতও বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমকে নিয়ে এমন ভিডিও করেনি। কারণ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নীতি-আর্দশ আছে। তাদের সেটা নেই। যেনতেন প্রকারে ভিউ বাড়ানো মূল উদ্দেশ্য তাদের।

একই সঙ্গে দেখবেন, পশ্চিম বঙ্গের একজন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তিলকে তাল বানিয়ে হিন্দুদের খেপিয়ে, ভোটের রাজনীতির লক্ষ্যে মুসলিমবিদ্বেস ছড়িয়ে ফয়দা লুটছেন। আর কিছুই নয়। ইতিমধ্যে তাকে দিল্লি থেকে সচেতন করা হলেও তার নিজস্ব ফয়দা লুটতে এগুলো করে যাচ্ছেন।  

শুভেন্দু অধিকারী ভারতের কোনো কর্তাব্যক্তি নন। তার কথার গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেয়। তিনি ইচ্ছা করলেও বাংলাদেশে ময়লা ফেলার ক্ষমতা তার নেই। ওখানকার কিছু লোকের স্বভাবই এমন। তাদের কথায় কর্ণপাতের কোনো কারণ নেই।

রূপালী বাংলাদেশ: ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিবাদ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক এই দিক পরিষ্কার করতে আপনাদের ভূমিকা কী হতে পারে?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে আমি বলব, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব তথ্য কোথা থেকে পান! দূতাবাসে যারা নিযুক্ত, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছ থেকেই তো। বিষয় হচ্ছে, এখান থেকে যারা রিপোর্টিং করে, তারা যথার্থ রিপোর্ট করে না। তারা বায়াস্ট হয়ে রিপোট করে। 
আমি যতবার দিল্লিতে গিয়েছি, কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী এমনকি নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতেই হবে, তা না হলে আমাদের সেভেন সিস্টার থাকবে না।

আমি স্পষ্ট করে তাদের বলেছি, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, এই নাবালকসুলভ বাক্য পেলেন কোথায় আপনারা? বাংলাদেশিদের খেয়ে কাজ আছে। তারা দেশের উন্নয়নে দিন-রাত এক করে কাজ করে। দেশকে গড়তে খেয়ে না-খেয়ে বিদেশে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। এত বেকার লোক বা এত অলস লোক বাংলাদেশে নেই, যে তারা দেশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে সেভেন সিস্টার নিয়ে ভাববে বা দখল করতে যাবে। সেভেন সিস্টারের দিকে কেউ তাকাবে না। দেখুন, এত দিন হলো, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ সেভেন সিস্টার নিয়ে কোনো কথা বলেছে? বলেনি।

ভারত এই জুজুর ভয় নিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে। একই সঙ্গে, যে কোনোভাবে তাকেই ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছে। শেখ হাসিনা এতটা চতুর-ধুরন্ধর মহিলা ছিলেন যে তিনি ভারতের রাজনীতিবিদদেরও ব্ল্যাকমেইল করেছেন। শেখ হাসিনার কূটকৌশলের ফাঁদে পড়ে তারাও বিশ্বাস করেছে যে শেখ হাসিনা না থাকলে সেভেন সিস্টার থাকবে না। একই সঙ্গে তার ফাঁদে পা দিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা যে বিপদে পড়েছে, তারা তা বুঝতেও পারেনি।

শেখ হাসিনা সংগঠনের কিছু লোক কিনে রাখে, তারাই মূলত নানা ইসুতে হইচই করে। তারা কৌশলে প্রচার করে মন্দের ভালো আওয়ামী লীগ। কারণ তাদের ১৪টা এমপি সিট দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি তো একটাও দেয় না। এই তুলনা করেই সাধারণ হিন্দুদের খেপিয়ে তোলে। 
যেমন বিএনপির সময় ২০০১ সালে ভোলাসহ যে হামলা হয়েছিল, তার ভলিয়ম-ভলিয়ম বই লিখে দেশে-বিদেশে প্রচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রচার করেছে, আমরা আছি বলেই দেশ এখনো জঙ্গি হয়নি। আমাদের সাহায্য না করলে দেশ জঙ্গি বা তালেবানদের হাতে চলে যাবে। 
এ ক্ষেত্রে ভারত ভাবতেই পারে তাদের পেটের ভেতরের দেশ জঙ্গি দেশ না হোক। সুতরাং তারা যে কোনো ভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।

রূপালী বাংলাদেশ: ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে অনেক অফার এসেছে আপনার কাছে, কেন গ্রহণ করেননি?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: আমি কখনো ভারতে যাব না। বাংলাদেশ আমার দেশ,  আমি এ দেশেই থাকব। ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী’, যার অর্থ হলো ‘মা এবং মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ’। আমাকে যদি স্বর্গও দিতে চায়, তবু তো আমি সে দেশে যাব না। ভারতের কালচার এখন তো পশ্চিমাদের মতো সম্মান বা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ অবস্থা থেকে দূরে যাচ্ছে। কিন্তু আমার জন্মস্থান আমার বাড়ির তিন পাশে মুসলিম, তাদের সাথে আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও আত্তার সম্পর্ক। আমার দেশের সবার যে আন্তরিক ব্যবহার, এটা ছেড়ে কেন যাব অন্য দেশে?

যেখানে হিন্দুকে সবাই ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে, এমনকি খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে টুইট করে। যার ফলে সেখানকার হিন্দুরা একজোট হয়ে তাকে ভোট দিয়েছে। 
এ দেশে হিন্দুদের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। বিরোধ শুধু রাজনৈতিক। এটি সমাধান করে দেন, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

রূপালী বাংলাদেশ: আওয়ামী সরকারের আমলে হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, সে সময় আওয়ামী লীগ বা ভারতের পদক্ষেপ কী ছিল?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: ৫ আগস্ট থেকে এ পযন্ত কী পরিমাণ হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে? অন্যদিকে, বাংলাদেশে বিগত ১৭ বছরে দেখেছি, নসিরনগর গ্রাম ধরে জ্বালিয়ে দিয়েছে। চট্টগাম হাটহাজারীর ১৫টি মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছে, ৬০টি বাড়ি পুড়িয়েছে। যশোরের অভয়নগর গ্রাম ধরে পুড়িয়েছে। রংপুরে ঠাকুরপাড়ার দুইটা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, টিটু রায়ের ঘটনায়। পীরগঞ্জে গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। সাঁওতালদের বাড়ি-ঘর পুলিশের সাহায্য নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ভিডিও রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কোনো কথা সেই সরকারের কাছে যেমন সুনিনি, একইভাবে কোনো সংগঠন বা দেশ থেকেও কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।

রূপালী বাংলাদেশ: আমদানি-রপ্তানিতে দুই দেশের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়ছে কি?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: শুভেন্দুর কথায় আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেনি ভারত সরকার। এদিকে, বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা চালু ছিল বলেই কলকাতার ব্যবসায়ীরা লাভবান। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার সুযোগ সিমিত করার কারণে কলকাতার হোটেল-মোটেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে। 
বাংলাদেশ থেকে হাজার কোটি টাকার শপিং করা হয় ভারতের মার্কেটগুলো থেকে। চিকিৎসাসেবার জন্যও হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাংলাদেশিরা, ফলে এই ব্যবসা বন্ধ করলে আমাদের থেকে তাদের ক্ষতি আরও বেশি হবে। চলমান থাকলে তারা লাভবান হবে, আমরাও লাভবান হব।

রূপালী বাংলাদেশ: আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? তাদের কর্তব্যে অবহেলা আছে কি না?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: হাইকমিশনের ওপর হামলা, যার অর্থ বাংলাদেশের প্রতি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে নিরাপত্তা দিতে এবং তাদের কর্তব্যে অবহেলার প্রকাশ পেয়েছে। এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই এবং যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। 
আমরা শান্তিপ্রিয়। এ ঘটানার জেরে কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের সঙ্গে ট্রাফিক বিভাগও নিরাপত্তায় কাজ করছে।

রূপালী বাংলাদেশ: পাকিস্তানের হিন্দুরা কেন ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার হয় না?

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক: পাকিস্তানের হিন্দুরা ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার হয় না। কারণ, সেখানে সেপারেট ইলেকটোরাল সিস্টেম আছে। হিন্দু যে কজন আছে, তাদের ভোটে নির্বাচিত তাদের প্রতিনিধি পার্লামেন্টে যায়। যা দাবি-চিৎকার, সব পার্লামেন্টে, বাইরে করে না। আজ যদি বাংলাদেশেও সেপারেট ইলেকটোরাল সিসটেম এবং সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা থাকত, তবে আওয়ামী লীগ হিন্দুদের এভাবে ব্যবহার করতে পারত না। জুজুর ভয় আর কেউ দেখাতে পারত না। যে কয় শতাংশ হিন্দু আছে, তাদের প্রতিনিধি দিলেই এই সম্যস্যা সমাধান করা সম্ভব। এটি একটি স্থায়ী সমাধান বলে আমি মনে করি। এটি হলে বাংলাদেশ আগমী ১০ বছরে বিশ্বের অন্যতম সুখী ও উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। কারণ এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি উর্বর। প্রতি ইঞ্চি এই উর্বর ভূমিতে প্রয়োজন প্রত্যেক মানুষের স্বদেশপ্রেম।

রূপালী বাংলাদেশ: ধন্যবাদ আপনাকে।
গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক:  রূপালী বাংলাদেশ এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরবি/এস

Link copied!