ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫

ভারতীয় কোম্পানি পাচ্ছে বিটিআরসির টেন্ডার

শাওন সোলায়মান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ১২:২৩ এএম

ভারতীয় কোম্পানি পাচ্ছে বিটিআরসির টেন্ডার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি টেন্ডারের কাজ পেতে যাচ্ছে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক একটি কোম্পানি।

বিটিআরসিকে ব্রডব্যান্ড রেডিয়েশন পরিমাপক যন্ত্র এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ ব্রডব্যান্ড এলাকা তদারকি ডিভাইস এবং এ-সংক্রান্ত সেবা সরবরাহ করবে ‘ফাসটেক টেলিকমিউনিকেশন্স (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের প্রতিষ্ঠানটি। এই কাজের জন্য ফাসটেক পাবে ৭ লাখ ৪০ হাজার ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই দরপত্রে একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটিকে বেছে নিয়েছে বিটিআরসি।

ফাসটেক টেলিকমিউনিকেশনকে চুক্তি সম্পাদনে আহ্বান জানানো বিটিআরসির এক নথি অনুযায়ী, গত ২৬ জুন কাজটি পেতে দরপত্র জমা দেয় ফাসটেক টেলিকমিউনিকেশন্স।

গত ১৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) দেয় বিটিআরসি। এনওএ গ্রহণের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দরপত্রটি লিখিতভাবে গ্রহণ এবং ১৫ জানুয়ারির মধ্যে চুক্তিপত্র সম্পাদনের নির্দেশনা থাকে ফাসটেকের প্রতি। ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছাড়াও এই মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং কাস্টমস ডিউটির মতো খাতে আরও ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার ২০০ টাকাও খরচ হবে বিটিআরসির। সবমিলিয়ে এই দরপত্রের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ২০০ টাকা। কাজটি পেতে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী শাখার মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিও দিয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি।

ফাসটেক টেলিকমিউনিকেশন্সের উদ্দেশে গত ১৯ ডিসেম্বর এনওএটি ইস্যু করেছেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক গোলাম রাজ্জাক।

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রোববার তার কার্যালয়ে যেতে বলেন গোলাম রাজ্জাক। তবে দরপত্রের কাজ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। 

এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী এক লিখিত জবাবে অবশ্য যন্ত্রপাতি জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, নার্ডা এসটিএস নামক জার্মানির একটি কোম্পানির থেকে নিকট থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ক্রয়-আদেশ দেয়া হয়েছে। তারা তাদের রিজিওনাল সেলস পার্টনার এর মাধ্যমে যন্ত্রপাতি বিক্রয় করে (নিজেরা সরাসরি বিক্রয় করে না, স্ক্রীনশট সংযুক্ত), তাই টেন্ডারে সেলস পার্টনার ফাসটেক টেলিকমিউনিকেশন অংশগ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশের আরবানটেক‍‍`কে তাদের প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছে, যা একটি বাংলাদেশি কোম্পানী। পিপিআর অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে যেভাবে এগিয়েছে, এর ব্যতিক্রম করার সুযোগ কমিশনের জন্য ছিল না। এতে ছিল অত্যন্ত পরিচ্ছন, সহজ এবং স্পষ্ট একটা মূল্যায়ন।

আরবি/জেডআর

Link copied!