ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস

প্রাধান্য রাষ্ট্র সংস্কার, বাজার ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ

মেহ্দী আজাদ মাসুম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ১২:৪১ এএম

প্রাধান্য রাষ্ট্র সংস্কার, বাজার ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

*প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়ার বিষয়গুলো আলোচনায় 
*অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে : বদিউল আলম মজুমদার 
*সুনির্দিষ্ট টাইমলাইনের প্রশ্ন যৌক্তিক মনে করি না : ড. ইফতেখারুজ্জামান

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ রোববার। যদিও এই এক মাস নতুন সরকারের জন্য যথেষ্ট নয়, তবুও আলোচনায় রয়েছে সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা। পাশাপাশি উঠে আসছে রাষ্ট্র সংস্কার, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনিক সংস্কারসহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের বিষয়গুলোও। অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে, গুরুত্ব পাচ্ছে এই আলোচনাও।

রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক সংস্কার, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও গতিশীল করতে পুলিশ বাহিনীতে পদায়ন-প্রত্যাহার-পরিবর্তন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ, নিভু নিভু আলো জ¦লা ব্যাংক-ব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক সংস্কার, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার ও দুর্নীতি বন্ধে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। আবার সরকারের গৃহিত কোনো কোনো সিদ্ধান্ত কাজেই আসেনি। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপেও গতি আনেনি পুলিশ বাহিনীতে। থানার কার্যক্রম এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি স্থবিরতা দৃশ্যমান। যদিও সরকারের উপদেষ্টারা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশ্যা পূরণে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

তারা জোর দিয়ে বলেছেন, যে প্রত্যাশায় স্বৈরাচারী সরকার উৎখাত করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, দায়িত্ব গ্রহণের তিন থেকে ৬ মাসের মধ্যে সেটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। যদিও তাদের ওপর রয়েছে ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা এবং বৈষম্য নিরসনসহ রাষ্ট্র সংস্কারের একগুচ্ছ চাপ। বিষয়টি নিয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি মনে করেন, একটি যুদ্ধক্ষেত্রের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসে অন্তর্বর্তকালীন সরকার কাজ করছে। একটু সময় তাদের দিতে হবে। নিশ্চয়ই তারা ঘুরে দাঁড়াবে।

বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দীর্ঘ সারে ১৫ বছরের শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের পতনের সাফল্যগাথা ইতিহাসের এক মাস পূর্ণ হয়েছিল গত ৫ সেপ্টেম্বর। আর আজ পূর্ণ হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস। গত ৮ সেপ্টেম্বর শপথ নিয়েছিল এই সরকার। এরপর ধীরে ধীরে উপদেষ্টা পরিষদের কলেবর বৃদ্ধি পায়। ২১ উপদেষ্টাকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে নতুন বাংলাদেশ। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেওয়া এই সরকার থাকবে কতদিন, নানা আলোচনার মাঝে এ আলোচনাও গুরুত্ব পাচ্ছে। যদিও তাদের ওপর রয়েছে ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা এবং বৈষম্য নিরসনসহ রাষ্ট্র সংস্কারের একগুচ্ছ চাপ।

গত ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনো সময় উল্লেখ না করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেছিলেন। কিন্তু এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যে বৈঠক হয় সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়া হবে। এই যৌক্তিক সময়টা ঠিক কতদিনের তা স্পষ্ট করা হয়নি। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীও সরকারকে ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়ার কথাই বলেছে। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগই ‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। গত ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়কালে তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সময়সীমা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো পৃথকভাবে সংস্কার প্রস্তাবও সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে।

এর মধ্যে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কারের জন্য যতদিন লাগে ততদিনই যেন এই সরকার থাকে। 
জাতির উদ্দেশে গত ২৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া প্রথম ভাষণে সরকারের সময়সীমার প্রসঙ্গটি ছিল।

সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বিষয়ে সবাই জানতে আগ্রহী, কখন আমাদের সরকার বিদায় নেবে। এটার জবাব আপনাদের হাতে, কখন আপনারা আমাদের বিদায় দেবেন। কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন। আমরা ছাত্রদের আহ্বানে এসেছি। তারা আমাদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা। দেশের আপামর জনসাধারণ আমাদের নিয়োগ সমর্থন করেছে। আমরা ক্রমাগতভাবে সবাইকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে যাব, যাতে হঠাৎ করে এই প্রশ্ন উত্থাপিত না হয় আমরা কখন যাব।তারা যখন বলবে, আমরা চলে যাব।’
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যে মেয়াদকাল নিয়ে কিছুটা হলেও চাপ অনুভব করছে তা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দেশের শীর্ষস্থানীয় সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময় অনুষ্ঠানেও ফুটে ওঠে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে তাকেও ভাবতে হচ্ছে। সম্পাদকদের কাছে তিনি পরামর্শ চানÑ ‘কতদিন থাকা উচিত বলে আপনারা মনে করেন। এক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ পেলে আমাদের সুবিধা হবে।’ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের যৌক্তিক সময়কে প্রধান উপদেষ্টা ‘যত কম সময়ে সম্ভব’ বলেই মনে করছেন এমন ভাবনার কথাও প্রকাশ পেয়েছে ওই অনুষ্ঠানে।
ওই সভায় কয়েকজন সম্পাদক সময়সীমা নিয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন। 

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমার মনে হয়, সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ শেষ করা উচিত।’ আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন মনে করেন, দুই বছরের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, ‘১০০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সংস্কারের রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করা এবং সে আলোকে কতদিন সময় লাগবে সেটা ঘোষণা করা।’

‘সময়’ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না বললেও সরকার যে দ্রুত সংস্কারের রূপরেখা দিতে যাচ্ছে তার আভাস পাওয়া যায় পরদিন সচিব সভায় প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে। সেখানে তিনি খাতওয়ারি সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য সচিবদের নির্দেশ দেন।

মেয়াদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী লিয়াজোঁ কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন উপদেষ্টা ও সমন্বয়ক জানান, ড. ইউনূস দুই বছরের বেশি সময় থাকতে চান না বলে তাদের বলেছেন।

এক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদ ও অধিকাংশ সমন্বয়ক মনে করেন, যেভাবে হোক তিন বছরের মধ্যে দায়িত্ব শেষ করতে হবে। দুয়েকজন অবশ্য সংস্কারের যে দীর্ঘ চাপ তাতে সময়টা পাঁচ বছর হওয়া উচিত বলেও মনে করেন বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বেশি সময় নিলে অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা কমবে, নানাবিধ চাপ তৈরি হবে। তাই যৌক্তিক সময় মানে যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাজ শেষ করা উচিত। এর মধ্যেই সংস্কার শেষ হতে হবে।

এদিকে এরই মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত তা জানতে চাইলে রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নজিরবিহীন ত্যাগের বিনিময়ে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অপরিহার্য রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অভীষ্ট অর্জনের যে গুরুদায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে অর্পিত হয়েছে তা সম্পন্ন করতে যত সময় লাগবে, ততটাই তাদের হাতে থাকা উচিত। কোনো সুনির্দিষ্ট টাইমলাইনের প্রশ্ন এ পর্যায়ে যৌক্তিক মনে করি না।‍‍`

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার তাদের এ বিশাল দায়িত্বের ব্যাপ্তি ও গভীরতা বিবেচনায় যথাসময়ে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন বলে আশা করা যায়, যার ওপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করা সম্ভব হতে পারে। এ বিষয়ে তড়িঘড়ি করা ইতিবাচক হবে না। মনে রাখতে হবে, একটি দলীয়করণভিত্তিক কর্তৃত্ববাদের ধ্বংসস্তূপ থেকে যদি অপর একটি দলীয়করণনির্ভর ও বৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থার উত্থানের ঝুঁকি রয়ে যায়, তবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট অধরাই থেকে যাবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব সম্পন্ন করতে কতদিন সময় লাগতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘কী করতে চান, কতদূর করতে চান তার ওপরই আসলে সময় নির্ভর করছে। তারা যেটুকু বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কার করতে চান, দুর্নীতির শে^তপত্র প্রকাশ করতে চান, অর্থনৈতিক সংস্কার করতে চান, এসব করতে গেলে তো আমার মনে হয় কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সংস্কার সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সংবিধান পরিবর্তনের যে কথা বলা হচ্ছে সেটাও সময়সাপেক্ষ।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাসের সাফল্য-ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি এত কম সময়ে হতাশ হতে চাই না। আমি এই সরকারের ওপর আস্থা রাখতে চাই। এক মাস খুব কম সময়। আমি মনে করি, একটি যুদ্ধক্ষেত্রের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। একটু সময় তাদের দিতে হবে। নিশ্চয়ই তারা ঘুরে দাঁড়াবেন, সফল হবেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো তিন মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছিল। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সাংবিধানিক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোও নির্ধারিত তিন মাস সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করেছে। তবে ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় ছিল।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কার্যক্রমের একটি রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তিতে গত বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি থেকেও এ রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপে সময়সীমা নিয়ে বক্তব্য থাকতে পারে বলে ধারণা পাওয়া গেছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!