ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫

লন্ডনে গেলেন খালেদা জিয়া

মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ১২:২৪ এএম

লন্ডনে গেলেন খালেদা জিয়া

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অবশেষে ভালোবাসা ও নাড়ির সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দেওয়াল ভেঙে দীর্ঘ সাত বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে  দেখা হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’। দীর্ঘ আট ঘণ্টার মতো ভ্রমণে দোহায় যাত্রাবিরতি করবেন খালেদা জিয়া। যাত্রাবিরতিতে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির। লন্ডনযাত্রা সামনে রেখে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান। চিকিৎসাযাত্রায় তাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। তার বাসভবন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। হাজারো নেতাকর্মী রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নেত্রীকে বিদায় জানান।

লন্ডন-যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা, পরিবারের সদস্য, দলীয় নেতা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, স্টাফসহ ১৫ জনের অধিক মানুষ। গত সোমবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তার এই সফর ঘিরে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাকে বিদায়ি শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনে থেকে বিমানবন্দর সড়কে জড়ো হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে দেশের রাজনীতিতে ফিরবেন বেগম জিয়া এমন প্রত্যাশা তাদের।

জানা গেছে, দুই মাস পর চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন। দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, মা-ছেলের দীর্ঘ কাক্সিক্ষত এই সাক্ষাতে দেশ, দল ছাড়াও ভবিষ্যতের রাজনীতি নিয়ে অনেক কথাবার্তা হতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয়জন সদস্য এই বিমানে যাচ্ছেন।

তারা হলেন-অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে যান তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। দলীয় নেতাদের মধ্যে আছেন তার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এস এম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার সফরসঙ্গী হন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডনযাত্রা ঘিরে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তিনি যখন বিমানবন্দরে যান, নেতাকর্মীদের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বিদায় জানানোর অনুরোধ জানিয়েছিল বিএনপি। মূলত এ কারণে বিমানবন্দর এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে লন্ডন বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-কন্যা।

দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের: উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এই সফরের মধ্য দিয়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সাড়ে সাত বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেখা হবে। লন্ডনে পৌঁছে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার। তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে কিছুদিন থাকার পর যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে।

মেরিল্যান্ডের পূর্ব বাল্টিমোরে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তিনি। তারেক রহমান ২০০৭ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার আকাশ থেকে উড্ডয়নের কয়েক ঘণ্টা পর লন্ডনে পৌঁছাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর সেখানেই দেখা হবে তারেক রহমানের সঙ্গে। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন খালেদা জিয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তিনি যাত্রাবিরতি করেন। ১৬ জুলাই বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সে সময় বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।

লন্ডনে সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান উভয়ই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারেক রহমান তখন নিজের গাড়িতে করে মা খালেদা জিয়াকে গন্তব্যে নিয়ে যান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। তাকে রাখা হয় ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ও নির্জন কারাগারে। কারাগারে থাকাকালে নানা রোগে আক্রান্ত হন বিএনপি নেত্রী। বারবার যেতে হয় হাসপাতালে। এরপর থেকেই খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার এবং দল থেকে একাধিকবার দাবি জানানো হচ্ছিল।

আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জামিন ও মুক্তি না মেলায়, প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে পরিবারের আবেদনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক কারাবাসের ২ বছর এক মাস ১৩ দিন পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অস্থায়ী মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।

কারাবাসকালীন খালেদা জিয়াকে কারা কর্তৃপক্ষ তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। কারামুক্তির পর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকলেও এ সময়ে তাকে একাধিকবার জরুরিভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে, লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসক এনে ‘টিপস’ করানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও তার বিদেশে চিকিৎসার দরজা উন্মুক্ত হচ্ছিল না। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছয় মাস করে বাড়ানো হয় বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ। এতদিন বাসা-হাসপাতাল, হাসপাতাল-বাসাÑ এভাবেই কাটছিল বেগম জিয়ার জীবন। কয়েকদফা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় তাকে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপি নেত্রীকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে দেওয়া হয় চিকিৎসা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কয়েকদফা তারিখ পরিবর্তন হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের পথে রওনা হন বিএনপি নেত্রী। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ সুবিধা ছাড়াও থাকছে তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষার সব ধরনের সুবিধা। লন্ডনে যাওয়ার আগে দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন চার বছর গৃহবন্দি থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এর পরপরই তার বিদেশযাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়। তিনি কোন দেশে যেতে পারেন, সেটা নিয়ে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড ও পরিবার একাধিকবার বৈঠক করেছে।

এ সময়ের মধ্যে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থাও দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য সায় দিচ্ছিল না। এমন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের উপযোগী করে তোলা, কোনোভাবে তাকে বিদেশে নেওয়া যায় এবং তার পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরইমধ্যে তার নতুন পাসপোর্ট করানো, ভিসা জটিলতা সবকিছু কেটে গেছে। তিনি যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভিসাও পেয়েছেন। চিকিৎসা সম্পন্ন হলেই খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন। ফেরার পথে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারেন তিনি। এমনও আলোচনা আছে, মায়ের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একত্রে দেশে ফিরতে পারেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার এই চিকিৎসায় কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগতে পারে।

গুলশান ও বিমানবন্দর সড়কে নেতাকর্মীদের ঢল: খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে সড়কে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বনানী মূল সড়ক পর্যন্ত এক মানবপ্রাচীর তৈরি করা হয়। সেইসঙ্গে নেতাকর্মীদের স্লোগান আর মিছিলে উত্তাল ছিল পুরো গুলশান-বনানী এলাকা। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে গুলশান থেকে বিমানবন্দরের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পথে পথে অবস্থান নিয়েছেন। গুলশান থেকে নেতাকর্মীদের দাঁড়িয়ে অপেক্ষার সারি বনানী এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। গত সোমবার রাতেই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে রাজধানীর গুলশান-২ এবং বনানীর রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। তাদের মিছিল-স্লোগানে উত্তাল ছিল গুলশান। রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকা ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র।

নেতাকর্মীরা জানান, বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হন খালেদা জিয়া। রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন এবং রাত ১০টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের পথে রওনা হন। এর আগে, তাদের প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানাতে বিকেল থেকেই গুলশানে বাসার সামনে দফায় দফায় মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আক্রোশ থেকে প্রিয় নেত্রী এখন মুক্ত বাতাসে। তবে, মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত সরাসরি ওনার চেহারাটা আমার দেখা হয়নি। তাই বিকেল থেকেই বাসার সামনে অবস্থান করছি।

দলের চেয়ারপাসনকে বিদায় জানাতে বিকেল থেকেই বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী। বিদায় জানানোর সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আগেই বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে তাতেও দুর্ভোগ পুরোপুরি এড়ানো যায়নি। বিএনপি নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু নেতাকর্মীদের অনেকে রাস্তায় নেমে আসেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরে রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনের পর পুরো চিকিৎসায় কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা শেষ হলে বিএনপির চেয়ারপারসন আবার লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করে তারপর দেশে ফিরতে পারেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!