ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম

গতি হারিয়েছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ

উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ১২:১০ এএম

গতি হারিয়েছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, অর্থের সংস্থান, কাক্সিক্ষত জনবল ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকার পরও প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীনে ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের’ আওতায় ‘ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম (ডিএনসিএস)’ এর শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত একবছরে এই স্কিমে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত পাঁচ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ০ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। আর একই সময়ে স্কিমে বছরওয়ারি বরাদ্দের মধ্যে ব্যয় হয়েছে মাত্র ০ দশমিক ০৫ শতাংশ কোটি টাকা।

দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ। যেকোনো স্তরের শিক্ষকদের কার্যকর প্রশিক্ষণ শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু ডিএনসিএসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের মান উন্নয়ন, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং ও মেন্টরিংয়ের সহায়তা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্কিম চালুর মাধ্যমে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের পরামর্শ অংশীজনদের।

এ বিষয়ে সূত্র জানিয়েছে, সাবেক সরকার কর্তৃক গৃহীত নতুন কারিকুলামকে ঘিরে এই স্কিমের শুরু। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন কারিকুলাম বাতিল করে। কিন্তু কারিকুলাম একটি প্রবাহমান বিষয়। সবসময় এর সংশোধন ও পরিমার্জন প্রয়োজন। তাই সংশোধিত ও পরিমার্জিত কারিকুলামকে এই স্কিমের মাধ্যমে কীভাবে সমন্বয় করা যায় সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা চলমান থাকায় নতুনভাবে শুরু করতে সময় লাগছে।

এদিকে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংশোধিত ও পরিমার্জিত কারিকুলাম তৈরি করা যেহেতু সময়সাপেক্ষ তাই স্কিমের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে দুটি পরিকল্পনা দ্রুতই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

তাদের মতে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব শিক্ষকরা ২০১২ কারিকুলামে অনুসরণকৃত ‘পেডাগোজি’ প্রশিক্ষণ পাননি। স্কিমের মাধ্যমে এসব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষক অবসরে গেছেন কিংবা মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে শ্রেণি কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, ২০১২ সালের কারিকুলাম অনুযায়ী এসএসসির সিলেবাস বিভাগভিত্তিক দুই বছরের। কিন্তু চলতি বছরের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাবেক সরকারের গৃহীত নতুন কারিকুলামে ইতিমধ্যে এক বছরের পড়া শেষ করে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব শিক্ষার্থী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণিতে উন্নীত হবে।

দশম শ্রেণির এসব শিক্ষার্থীকে বিভাগভিত্তিক দুই বছরের পড়া এক বছরে শেষ করতে হবে। তাই দুই বছরের পাঠ্যসূচি থেকে এসব শিক্ষার্থীর জন্য বিষয়ভিত্তিক মূল (বেসিক) পাঠ্যসূচি নিরূপণ করে এক বছরের মধ্যে সম্পাদনযোগ্য সিলেবাস তৈরি করতে হবে। তারপর এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শ্রেণিকক্ষে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের যথাযথ শিখন-শেখানো কার্যাবলি অনুসরণ করা উচিত। স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষকদেরও এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর ফলে স্কিমের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গতিশীল হওয়ার পাশাপাশি বিরাটসংখ্যক শিক্ষকের মূল  (বেসিক) প্রশিক্ষণও সম্পাদন করা সম্ভব হবে।

স্কিমের কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে ‘প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর’-এর দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব। বর্তমানে পদটি শূন্য রয়েছে। ডেপুটি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক খন্দকার মীযানুর রহমান।

স্কিমের বিষয়ে রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, যেহেতু নতুন কারিকুলাম বাতিল হয়েছে তাই স্কিমের নাম ‘নিউ’ থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তবে কারিকুলাম সবসময়ই পরিবর্তনশীল একটি বিষয়। পাশাপাশি স্কিমের অর্থ আছে, জনবল আছে, তাই সংশোধিত ও পরিমার্জিত কারিকুলামকে স্কিমের সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে পরিচালিত করা হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার মূল কনটেন্ট (সূচি), কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রস্তুত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী এ বিষয়ে রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছার আগেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শ্রেণিকক্ষে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের শিখন-শেখানো কনটেন্ট প্রস্তুত করে দেওয়া হবে। 

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীনে ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের’ (এসইডিপি) আওতায় সাবেক সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে এই স্কিম গ্রহণ করা হয়। সরকারি অর্থে এই স্কিমের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এ স্কিমে ক্রমপুঞ্জিত (সংশোধিত স্কিম অনুসারে) অর্থ বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ, বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রশিক্ষণ, মাঠপর্যায়ের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, অষ্টম-নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং এবং মেন্টরিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল প্রযুক্তির  প্রোগ্রামিং ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ৩৬৪ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ২৫৪ দশমিক ২৭ কোটি টাকা। ব্যয়ের শতকরা হার ৬৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ৭৮৫ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা।

ব্যয় হয়েছে ৫৭৩ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা। ব্যয়ের শতকরা হার ৭৩ দশমিক ০২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয়ের শতকরা হার কিছুটা কম হলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হওয়ায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যয়ের শতকরা হার অনেকটাই বেড়ে যায়। অথচ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, অর্থের সংস্থান, কাক্সিক্ষত জনবল ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকার পরও জুলাই থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ব্যয় হয়েছে মাত্র ০ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের শতকরা হার নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০ দশমিক ০৫ শতাংশে। অন্যদিকে ২০২২-২৩ থেকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সর্বমোট ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৮২৮ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা। এই তিন অর্থবছরে ব্যয়ের শতকরা হার ৪৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন হয়। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক সরকারের প্রণীত ‘অভিজ্ঞতাভিত্তিক’ নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমকে সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল হওয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। তাই শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রস্তুত করে স্কিমের কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে বেশকিছু পরিকল্পনাও নেওয়া হয়।

এসব পরিকল্পনার মধ্যে ছিল ২০২৫ সালে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের শিখন-শেখানো পদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ।

সংক্ষিপ্ত নতুন সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান/সহকারী প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের মনিটরিং ও মেন্টরিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রস্তুতি গ্রহণ। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান/সহকারী প্রধানদের প্রশিক্ষণ। শিক্ষা প্রশাসনে যুক্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষককে পেডাগোজি (কনস্ট্রাক্টিভ বা গঠন বাদ) প্রশিক্ষণ প্রদান।

এদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে স্কিমের বাস্তবায়ন কমিটির (এসআইসি) চতুর্থ সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলোÑ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্কিমের যেসব কার্যক্রম এনসিটিবির পরামর্শক্রমে পরিবর্তন, পরিমার্জন ও সংশোধন করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে- তা সংশোধিত স্কিম ডকুমেন্টে অন্তর্ভুক্ত করে অনুমোদনের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল প্রোগ্রাম স্ট্যান্ডিং কমিটিতে (আইপিএসসি) উপস্থাপন করা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে জারি করা পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক স্কিমের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে আইপিএসসি সভায় উপস্থাপন করে নির্দেশনা নিতে হবে। এ ছাড়া স্কিমের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও করণীয় নির্ধারণে আইপিএসসি সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র জানায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষাসচিবের উপস্থিতিতে আইপিএসসির তৃতীয় বৈঠকে স্কিমের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পেতে স্কিম পরিচালককে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন শিক্ষা সচিব।

প্রসঙ্গত, সাবেক সরকার নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় ২০২৩ সালে প্রথম বছর প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পাঠদান শুরু হয়।

চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম এবং দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদানের সিদ্ধান্ত ছিল। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চার লাখ শিক্ষককে সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে চার লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ডিএনসিএসের আওতায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

আরবি/জেডআর

Link copied!