তাকসিম এ খান এতই ক্ষমতাধর ছিলেন যে, দেশের কোনো আইন তার চুলও বাঁকা করতে পারেনি। অভিযোগের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলেও বরং সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রশ্রয়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ওয়াসাকে দুর্নীতির মহাকেন্দ্র বানান। বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে লুটপাট করেছেন ১৫ হাজার কোটি টাকা। ওয়াসাকে ভঙ্গুর ও ঋণগ্রস্ত অবস্থায় ফেলে অনলাইনে পদত্যাগ করেই আড়ালে চলে যান। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তাকসিম দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়েই দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন। নানা উপায়ে চেষ্টা করছেন বিদেশে পালিয়ে যেতে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তাকসিম ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলের প্রেসিডিয়াম স্যুটে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। এদিকে সরকারের একাধিক সংস্থা কাগজে-কলমে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও অনুসন্ধান শুরুর কথা বলেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। নিষেধাজ্ঞার পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে দায়িত্ব পাওয়া সংস্থাগুলোর কার্যকর তৎপরতা নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তাকসিমকে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনতে গড়িমসিতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সূত্রমতে, তাকসিম এ খান ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাতেই পাঁচ তারকা হোটেলটিতে অবস্থান নেন। এখন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন। কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে প্রেসিডিয়াম স্যুটে বসবাস করছেন। ওয়াসার এমডি থাকাকালে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ রেখেছেন। তবে লন্ডনের একটি মোবাইল নম্বর রোমিং সুবিধা নিয়ে ব্যবহার করছেন। মূলত হোয়াটসঅ্যাস অ্যাপ দিয়ে দেশের বাইরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। পাঁচ তারকা হোটেলের ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। লন্ডনের নম্বর ব্যবহার করেই দেশে-বিদেশে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। বর্তমানে বিশেষ একটি প্রভাবশালী বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আশ্রয়ে আছেন। সুযোগ পেলেই তাকসিম এ খানকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব আমলা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ছিল তাদের সহায়তায় দেশ ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করছেন।
সূত্রমতে, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যেকোনো সময় দেশ ছাড়তে পারেন ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি গোপনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তাকসিমও পালাতে পারেন, এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে, গত ৫ আগস্ট রাত থেকেই তাকসিম অতি গোপনীয়তার সঙ্গে রাজধানীর পাঁচ তারকা সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করছিলেন। সেখানকার টপ ফ্লোরের একটি কক্ষে থাকতেন। পরে তিনি সুবিধাজনক সময়ে একটি প্রভাবশালী বাহিনীর গাড়িতে সোনারগাঁও হোটেল থেকে বের হয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তাকসিম এ খান এবং স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী তাকসিম গত ১৫ বছরের বেশিরভাগ সেখানে কাটাতেন এবং অনলাইন ও টেলিফোনের মাধ্যমে ওয়াসার এমডি হিসেবে কাজ চালাতেন। দুর্নীতির বরপুত্র তাকসিম এ খানের স্বেচ্ছাচারিতার কুফল হিসেবে বিদেশি ঋণের ভারে ডুবতে বসেছে সংস্থাটি। প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ঋণের ভার এখন ওয়াসার ঘাড়ে। বর্তমানে তাকসিম মুক্ত ওয়াসা চার মাসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
গত দেড় দশক পতিত আওয়ামী লীগের আমলে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ জমা হয়। বিভিন্ন সংস্থায় ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগও জমা পড়ে। গণমাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ-প্রচার হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শেখ হাসিনা সরকার। টানা ১৫ বছর এমডি পদে থেকে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে নিজের তহবিলের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন এবং এই দীর্ঘ সময়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বারবার তদন্ত শুরু করলেও অজানা কারণে সেসব তদন্তে ‘প্রমাণ’ মেলেনি। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক থাকায় বারবার পার পেয়ে গেছেন তাকসিম।
কারাগারে থাকা বিতর্কিত ব্যবসায়ী বেক্সিমকোর সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তার সখ্য ছিল ওপেন সিক্রেট। শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠতার কারণেই স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে ধারাবাহিকভাবে উত্থাপিত হলেও প্রতিকারের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। অদৃশ্য শক্তির প্রভাববলয়ে এই স্বেচ্ছাচারিতাকে জবাবদিহিহীনতার ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তিনি গত ১৪ আগস্ট ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ করেছেন। আর দুদকও নতুন করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে।
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর দফায় দফায় তার মেয়াদ বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে সপ্তমবারের মতো ওই পদে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। তার সময়ে পানির দাম বেড়েছে ১৪ বার। ওয়াসা আইন ১৯৯৬ অনুযায়ী, বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হওয়ার কথা। তবে তাকসিম অনেক ক্ষেত্রে বোর্ডকে এড়িয়ে কাজ করেছেন। এ নিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার বিরোধও দেখা দেয়। তবে তাকসিমের বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট তাকসিম রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের নিজ অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ জনতা তার গাড়িতে ঢিল ছোড়ে। পরদিন ৪ আগস্ট তাকসিম যথারীতি অফিসে আসেন। অফিস ছুটির পর নির্ধারিত অফিসিয়াল গাড়ি না নিয়ে অন্য একটিতে অফিস থেকে বের হয়ে যান। ৫ আগস্ট থেকে তাকসিমের সঙ্গে অফিসের কারোর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের গ্রেপ্তার ও সরকারি কর্মকর্তাকে ব্যাপক হারে বহিষ্কার এবং ওএসডি করা হলেও ঢাকা ওয়াসার দুর্নীতিবাজরা এখনো অক্ষত। সাবেক এমডির দপ্তরের পিএস, এপিএস, স্টাফ অফিসার ৫ আগস্টের পর কিছুদিন লুকিয়ে থাকলেও বর্তমানে তারা নিয়মিত অফিস করছেন। তাকসিমের পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফজলুর রহমানকে ঢাকা ওয়াসার এমডির (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের নামে দুর্নীতি: পানির স্তর নেমে যাচ্ছে বলে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার অজুহাতে বড় বড় প্রকল্প নেন তাকসিম। এরপর বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। পানির চাহিদা মেটানোর কথা উল্লেখ করে ২০১৯ সালের জুনে ‘পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্প’ উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্রকল্পের সঞ্চালন লাইন নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারের নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬০০ কোটি টাকা, পানি ও পয়োবিলের তিন হাজার ২২১ কোটি টাকা এবং ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ৬২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে তাকসিমচক্র। প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প নির্মাণে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কমপক্ষে ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে। শোধনাগারের প্ল্যান্ট চালু রাখতে হাতিরঝিলের ময়লা পানি সেখানে নিয়ে শোধন করা হচ্ছে। এতে ঢাকা ওয়াসার বছরে গচ্চা যাচ্ছে ৫১২ কোটি টাকা, ২০২৭ সালে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হলে বছরে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮২৫ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ওয়াসার তিন হাজার ২২১ কোটি টাকা খোয়া গেছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরে সংস্থার সিস্টেমলস ছিল ৩৪.৮২ শতাংশ এবং বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৮২ শতাংশ। এ ছাড়া সমবায় আইন অমান্য করে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে ৬২১ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৩২ কোটি ৫২ কোটি টাকা লোপাটের চিত্র উঠে এসেছে। এরপর বাকি টাকা লোপাট হয়েছে। প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি হওয়ায় তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নগরীতে পয়ঃসেবা না থাকলেও বছরে এ খাতে নগরবাসীর কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি: তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে ১৪টি বাড়ি করেছেন। সব বাড়ির দাম হাজার কোটি টাকার ওপরে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। ইতোমধ্যে বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য সন্ধানে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে এসব বাড়ি কেনা এবং অর্থ পাচারকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় তাকসিম খানের নাম রয়েছে। সম্প্রতি এ রকম দুটি অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে।
অভিযোগে কিছু বাড়ির সুনির্দিষ্ট ঠিকানা, ছবি, কোন বাড়ি কখন, কত টাকায় কেনা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। তাকসিম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) ‘গভর্নমেন্ট ওয়াচ নোটিস’-এর একটি কপি অভিযোগের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধান ও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা: গত ২২ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, তাকসিমের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন করে অর্গানোগ্রামের বাইরে দু’জন পরিচালক নিয়োগ দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছেন দুদক কর্মকর্তা। এ ছাড়া প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে আরও দুটি মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ওয়াসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, বোর্ড সদস্য সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, মু. মাহমুদ হোসেন, প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ, সাবেক কাউন্সিলর মো. হাসিবুর রহমান মানিক ও আলেয়া সারোয়ার ডেইজী এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিন।
আপনার মতামত লিখুন :