ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

কারাগারে মেনন-ইনু-পলক তাপস ও শমী

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৪, ০১:০৪ এএম

কারাগারে মেনন-ইনু-পলক তাপস ও শমী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, গানবাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী অভিনেত্রী শমী কায়সারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার ইমন হোসেন গাজী নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত মেনন, ইনু ও পলককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্যদিকে, উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গতকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত কৌশিক হোসেন তাপস ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সাবেক তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে আদালতের যাত্রাবাড়ী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান। এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মো. মাহাবুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২ নভেম্বর তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার চিটাগাং রোডে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইমন হোসেন গাজী নামের এক যুবক। এ ঘটনায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

গানবাংলার তাপস ও অভিনেত্রী শমী কায়সার কারাগারে: উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গানবাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন। এর আগে পুলিশের হেফাজত থেকে তাদের আদালতে আনা হয়। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পূর্ব থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মহিববুল্লাহ আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৬ নভেম্বর তাদের ৩ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এর আগে ৩ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অন্যদিকে, গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীও ছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানার চার নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তাদের ওপরে হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ইসতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা তাপস ৯ নম্বরে এবং শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

আরবি/জেডআর

Link copied!