ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ব্যাংক লুটে সহায়ক ছিলেন মালিকেরাই

রহিম শেখ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম

ব্যাংক লুটে সহায়ক ছিলেন মালিকেরাই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ব্যাংক মালিকেরাই ছিলেন ব্যাংক লুটে সহায়ক। ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে উল্টো লুটেরাদের সুবিধা দিতে তৎপর ছিলেন ব্যাংক মালিকেরা। খেলাপিদের সহায়তা করতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছিলেন খোদ ব্যাংকের মালিকেরা। মুক্ত হস্তে সব সুবিধা দিতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। কোনো বাধা ছাড়াই পরিচালকেরাও যেমন খুশি তেমন নিয়েছেন ‘পারস্পরিক ঋণ’।

বিষয়টা আরও সহজ করে বললে, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের পরিচালক ও তাদের আত্মীয়দের ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন। ভাগাভাগির এই ঋণ নেওয়ার ফলে অব্যাহত লুটপাট, অব্যবস্থাপনা আর স্বেচ্ছাচারিতায় বেশ কিছু ব্যাংকের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। মূলধন ঘাটতি, তারল্যসংকটসহ বহুবিধ সংকটে এখন জর্জরিত এসব ব্যাংক।

ব্যাংকিং খাতের এই লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে একটানা ১৭ বছর বিএবির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে ছিলেন নাসা গ্রুপের এই চেয়ারম্যান। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে গুলশান থেকে আটক হন তিনি।

জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই গভর্নরকে একটি চিঠি দেন বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। ওই চিঠিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের সময় ছয় মাস বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এ ছাড়া মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধে অতিরিক্ত তিন মাসের বিশেষ সুবিধা চায় সংগঠনটি। তবে ৫ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে কত ধরনের যে সুবিধা নিয়েছেন ব্যাংক মালিকেরা, তার কোনো হিসাব নেই। বিভিন্ন সময়ে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বিভিন্ন গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানও নানা অনৈতিক সুবিধা লুফে নিতে সব সময় প্রস্তুত থাকত। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখনো সেই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনৈতিক আবদার করেছিলেন বিএবি সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার।

নাম প্রকাশ না করে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাধারণত ভালো ব্যাংকের মালিকেরা বিএবির সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখেন না। কারণ একটি সিন্ডিকেট সংগঠনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করত। একইভাবে ওই চিঠির সঙ্গে বিএবির সাধারণ সদস্যদের কোনো সংযোগ নেই। কারণ নৈতিকভাবে বিএবি এ ধরনের চিঠি দিতে পারে না। মজুমদারের সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থেই ওই চিঠি দিয়েছিল। আগেও অনেক অনৈতিক কাজে তারা বিএবিকে ব্যবহার করেছে।’

জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএবি এ ধরনের আবেদন কিছুতেই করতে পারে না। ব্যাংকের স্বার্থ, ব্যাংকের পরিচালকদের স্বার্থ, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের বাইরে ব্যবসায়িক গ্রুপ বা কাউকে সুবিধা দিতে বলার কোনো এখতিয়ার নেই তাদের। এগুলো নীতি-নৈতিকতার বিষয়। এর আগেও তারা ব্যাংক কোম্পানি আইনের নীতি পরিবর্তন করেছিল। এসব অনৈতিক কাজ।’

বেশ কিছু ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের আটটি ব্যাংকের পরিচালকেরা পারস্পরিক যোগসাজশে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর বাইরে চারটি ব্যাংক পরিচালকদের আত্মীয়দের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

গত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এস আলম, বেক্সিমকো, নাসা ও সিকদার গ্রুপসহ শক্তিশালী ব্যবসায়িক গ্রুপগুলো অনৈতিকভাবে সুবিধা নিতে গিয়ে দেশের পুরো আর্থিক খাত ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই আট ব্যাংকের যেসব পরিচালক এ ধরনের ঋণের সঙ্গে জড়িত, তারা সম্মিলিতভাবে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন বা সম্পদ দেখিয়েছেন। আর তারা একে অপরের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, তাদের পরিশোধিত মূলধন ঋণের মাত্র ৫ শতাংশ। কোনো মানদণ্ডেই ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর বেশির ভাগই ঋণ পাওয়ার যোগ্য ছিল না। কিন্তু তার পরও তারা একে অপরকে ঋণ দেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের পরিচালক তার নিজ ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি ঋণ নিতে পারেন না। এই নিয়ম ফাঁকি দিতেই তারা নিজের ব্যাংক থেকে অপরকে ঋণ দেওয়ার অভিনব পদ্ধতি বেছে নেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১৪ সালের এক সার্কুলার অনুসারে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের পরিচালকদের নিজ নিজ পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আট ব্যাংকের একটিও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পরিচালকদের নির্দেশেই বেশির ভাগ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কিছুই করার ছিল না।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক্সিম ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের পরিচালকদের মালিকানাধীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যা পারস্পরিক ঋণের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা গেছে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন তিনটি কোম্পানিতে, যার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম)। এস আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান। এই পারস্পরিক ঋণের অংশ হিসেবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক নাসা গ্রুপকে ঋণ দিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যে ঋণের স্থিতি ছিল ৭৩৪ কোটি টাকা।

এক্সিম ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার নিজেই এসব ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন নাসা গ্রুপের নামে। নাসা গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকেও ঋণ পেয়েছে, যেখানে এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম চেয়ারম্যান। এক্সিম ব্যাংক ইউনিটেক্স স্পিনিং ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৮০১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে নাসা গ্রুপের ঋণের স্থিতি এখন ৬৫১ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের শেষে এক্সিম ব্যাংকে বেক্সিমকো এবং এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৬১ কোটি টাকা। বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান।

আইএফআইসি ব্যাংকের কাছে নাসা গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ৬৩৭ কোটি টাকা। এক্সিম ব্যাংক পাওয়ারপ্যাক মতিয়ারা কেরাণীগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টকে ২ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রিক হক সিকদার ও তার ভাই রন হক সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার গ্রুপের একটি সহযোগী সংস্থা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোরপূর্বক বহিষ্কার করার আগে এ দুই ভাই ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। ২০২৩ সালের শেষে ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে নাসা গ্রুপের বকেয়া ঋণ ছিল ১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা।

এক্সিম ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার পরিবারের কাছে এই ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি শেয়ার রয়েছে, অর্থাৎ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনে তার অবদান প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, তিনি ব্যাংকটি থেকে সর্বোচ্চ ১২৫ কোটি টাকা (পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশ) ঋণ পেতে পারতেন। 

একইভাবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের পরিচালকদের ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ ওই পরিচালকদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন।

উদাহরণস্বরূপ, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ইনফিনিয়া গ্রুপের কয়েকটি সংস্থাকে ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যার চেয়ারম্যান আহসানুল আলম ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বিনিময়ে ইসলামী ব্যাংক ইউনিটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ২২১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই পারস্পরিক ঋণ ছাড়াও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ ও এস আলম গ্রুপের সাইফুল আলম পরস্পর আত্মীয়। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ইউনিটেক্স গ্রুপের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ, ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনে কোম্পানির অবদান ৫০ কোটি টাকারও কম। এস আলমের বেশ কয়েকজন আত্মীয়েরও এই ব্যাংকে শেয়ার রয়েছে এবং ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনে তাদের সম্মিলিত অবদান প্রায় ২৩০ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংক পারস্পরিকভাবে অন্যান্য ব্যাংকের পরিচালকদের ৪ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এ ছাড়া, এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম ও তার আত্মীয়রা ব্যাংকটিতে পরিশোধিত মূলধন দিয়েছেন ৩৫০ কোটি টাকা এবং এর সমপরিমাণ শেয়ার তাদের রয়েছে।

এস আলম গ্রুপ নামে ইসলামী ব্যাংকে বিনিয়োগ করা হয়নি। তাই ব্যবসায়িক গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই।

এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লে¬াবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকেরও এমন পারস্পরিক ঋণ দেওয়ার ঘটনা রয়েছে প্রচুর। উদাহরণস্বরূপ, ন্যাশনাল ব্যাংক বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে ৭ হাজার ৮০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যেসব কোম্পানির মালিকেরা অন্যান্য ব্যাংকের পরিচালক। বেক্সিমকো গ্রুপ, নাসা গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপকে এসব ঋণ দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে সিকদার গ্রুপ আইএফআইসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়েছে। একইভাবে আইএফআইসি ব্যাংক নাসা গ্রুপ ও সিকদার গ্রুপকে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। বিনিময়ে বেক্সিমকো গ্রুপ এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়েছে।

আইএফআইসি ব্যাংক শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডকে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যৌথ উদ্যোগের এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম মালিক বেক্সিমকো। সালমান এফ রহমান ও তার ছেলে আহমেদ শায়ান রহমানের কাছে ব্যাংকটির ৪ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৭ কোটি ৫১ লাখ শেয়ার রয়েছে; যার মূল্য ৭৫ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এ ধরনের ২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন গ্রুপের এমন পারস্পরিক ঋণ ১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। এস আলমের বেশ কয়েকজন আত্মীয়ের কাছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে ৩০ কোটি শেয়ার রয়েছে, যার অর্থ ব্যাংকে তাদের বিনিয়োগ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের ৫৭০ কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে।

আরবি/এফআই

Link copied!