বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

বেসরকারি পাঠাগারে অনুদান লুটপাট

উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

বেসরকারি পাঠাগারে অনুদান লুটপাট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নুওয়াখালী ইউনিয়নে বেসরকারি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী-কচি লাইব্রেরি’ একই নামে দুটি পাঠাগারের বিপরীতে প্রতিটির জন্য জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা অনুদান পায়।

প্রতিটির জন্য পাওয়া ১ লাখ টাকার অর্ধেক নগদ টাকায় এবং বাকি অর্ধেক টাকার বই জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র থেকে পাঠাগার দুটিতে সরবরাহ করা হয়।

দুটি পাঠাগারই একজন অতিরিক্ত সচিবের। সাবেক আওয়ামী সরকারের সময় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবের বিশেষ কোটায় পাঠাগার দুটি এই অনুদান পায়।

সম্প্রতি জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের কর্মকর্তা পাঠাগার দুটি পরিদর্শন করে দেখতে পেয়েছেন, এর একটি রয়েছে স্কুল ভবনে, আরেকটি রয়েছে বাড়িতে।

অথচ গ্রন্থ কেন্দ্রের অনুদান বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো স্কুল, এনজিও প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি স্থাপনা বা বাসা-বাড়িতে পাঠাগার স্থাপনের বিধান নেই।

গ্রন্থ কেন্দ্রের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুল ভবনের যে কক্ষে পাঠাগার দেখানো হয়েছে তার পুরোটাই খালি। বই রাখার আলমারি, পড়ার টেবিল-চেয়ার সার্বিকভাবে পাঠাগার বলতে যা বোঝায় তার  কিছুই নেই। পাঠাগার আছে শুধু নামেই।

শুধু এই দুটি পাঠাগারই নয়, মন্ত্রী-সচিবের বিশেষ কোটায় বেসরকারি পাঠাগারের নামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ১ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

গ্রন্থ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক পরিদর্শনে দেশের ৮ জেলায় ১৪টি অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব ৪০টি পাঠাগারের নামে সরকারের অনুদান লুটপাটের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরিদর্শন চলমান থাকলে অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব পাঠাগারের সংখ্যা আরো বাড়বে।

এদিকে বেসরকারি পাঠাগারের নামে লুটপাট বন্ধের জন্য বেসরকারি পাঠাগারে অনুদান বরাদ্দ এবং বই নির্বাচন ও সরবরাহ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২০ (সংশোধিত ২০২৪) সংশোধনের জন্য গ্রন্থ কেন্দ্রের প্রস্তাব তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে।

জানা গেছে, গ্রন্থ কেন্দ্রের প্রস্তাবিত এই সংশোধিত নীতিমালা গত বছরের নভেম্বরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। এক মাসেরও বেশি সময় পর গত ২৩ ডিসেম্বর সংশোধিত নীতিমালা নিয়ে প্রথম বৈঠকে বসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এরপর এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

সূত্র জানিয়েছে, গ্রন্থ কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুমোদন বা এ বিষয়ে কোনো কার্যবিবরণী না পাওয়ায় বেসরকারি পাঠাগারে অনুদান বরাদ্দ ও বই প্রদানের প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।

পাশাপাশি নীতিমালার সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অস্তিত্বহীন ও ভুয়া পাঠাগারের বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ যেমন রয়ে যাচ্ছে, তেমনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবের বিশেষ কোটার অন্যায্য সুবিধার অপব্যবহার বন্ধের পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

সূত্রের দাবি, গ্রন্থ কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা বাস্তবায়নের পরিবর্তে আগের বেসরকারি পাঠাগার সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২০ (সংশোধিত) অনুসারেই চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও অনুদান দেওয়ার চাপ রয়েছে শীর্ষ মহলের।

তবে গ্রন্থ কেন্দ্র মনে করে, অনুমোদন পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত পাঠাগারগুলো আরো দুই মাস পরিদর্শন করে যেগুলো যোগ্য ও কার্যকর তারাই অনুদান পাক। 

নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব ঝুলে যাওয়া এবং বেসরকারি পাঠাগারের নামে লুটপাটের এমন চিত্রের মধ্যেই ‘সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার, এই আমাদের অঙ্গীকার’ স্লোগানে আজ বুধবার দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস।

এ উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে প্রথমে গ্রন্থাগার দিবসের শুভ উদ্বোধন ও দ্বিতীয় পর্বে ‘সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার বিনির্মাণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, জাতীয় কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

সভায় প্রবন্ধ পড়বেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করবেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনীষ চাকমা।

এছাড়া দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র ২০টি বেসরকারি পাঠাগারের পাঠকদের নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্যিক নাসরিন জাহান। মূল আলোচক কবি পিয়াস মজিদ।

আলোচক হিসেবে রয়েছেন সাংবাদিক ও গ্রন্থাগার সংগঠক আলীম-উজ-জামান। পাঠকের সঙ্গে সমসাময়িক লেখক/কবির সংযোগ তৈরির লক্ষ্য থেকেই এমন আয়োজন বলে জানা গেছে।

এদিকে সংশোধিত নীতিমালা অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র রূপালী বাংলাদেশকে জানিয়েছে, নীতিমালা নিয়ে কাজ চলছে। তবে এ বিষয়ে আরো জানতে শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ওই সূত্র।

পরে এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (লাইব্রেরি অধিশাখা) মোহাম্মদ হেলাল হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই সংশোধিত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।

২০২০ (সংশোধিত ২০২২) নীতিমালা সংশোধনের প্রয়োজন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম জানান, প্রথমত, পাঠাগার নির্বাচনের নীতিমালা তৈরিসহ অনুদান বরাদ্দ নীতিমালার স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

দ্বিতীয়ত, আগের নীতিমালায় অনুদান বন্টনের বরাদ্দ অর্থের ২০ শতাংশ মন্ত্রী-সচিবের বিশেষ কোটায় সংরক্ষিত ছিল। এসব বিশেষ কোটার ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে।

এতে যোগ্য ও কার্যকর পাঠাগারগুলোর বরাদ্দ পাওয়া কমেছে। পাশাপাশি বই নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটি রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ ও চাটুকারিতা নিয়ে রচিত বইয়ের প্রাধান্য বেড়েছে।

সংশোধিত নীতিমালায় সব ধরনের কোটা বাতিলসহ যোগ্য পাঠাগার নির্বাচন করার  জন্য নতুন তালিকাভুক্তির নীতিমালাও করা হচ্ছে বলে জানান এই পরিচালক।

তিনি আরো জানান, পাঠাগারের তালিকাভুক্তি ও কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য গত ২৭ জানুয়ারি একটি সফটওয়্যাার উদ্বোধন করা হয়েছে। ওই সফটওয়্যারে পাঠাগারগুলোর সব তথ্য থাকবে।

যার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত সব পাঠাগারের প্রতিদিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে। যেসব পাঠাগার নিয়মিতভাবে তাদের কার্যক্রমের তথ্যাদি দীর্ঘদিন আপলোড না করবে, তারা সন্দেহের তালিকায় থাকবে।

জানা গেছে, প্রতিবছর আগস্ট মাসে একাধিক দৈনিক পত্রিকা এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি পাঠাগারগুলোর কাছ থেকে অনুদানের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়।

সব আবেদন যাচাই-বাছাই করে নভেম্বর মাসের মধ্যে যোগ্য পাঠাগারগুলোর মধ্যে অনুদান বরাদ্দের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। 

গত ৫ আগস্ট সাবেক আওয়ামী সরকারের পতনের পর জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন হয়।

নতুন কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে অনুদানের নীতিমালা অপব্যবহারের মাধ্যমে লুটপাটের প্রমাণ পেয়ে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।

সারা দেশে জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের তালিকাভুক্ত বেসরকারি পাঠাগারের সংখ্যা কমবেশি দেড় হাজারের মতো।

এর মধ্যে গণগ্রন্থাগার পরিচালিত পাঠাগার রয়েছে ৯০০ ও গ্রন্থ কেন্দ্র পরিচালিত পাঠাগার রয়েছে ৬০০। তবে সব পাঠাগারকেই জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের মাধ্যমেই অনুদান নিতে হয়। 

গত অর্থবছরে বেসরকারি পাঠাগারের জন্য অনুদান খাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। ওই বছর সারা দেশের ৯২৩টি পাঠাগার অনুদান পায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এবারও প্রায় ৯০০ পাঠাগার অনুদান পেতে পারে।

অনুদান হিসেবে পাওয়া মোট টাকার ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে নগদ অর্থে। আর ৫০ শতাংশ অর্থে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বই ক্রয় করে পাঠাগারে সরবরাহ করবে।

নীতিমালা অনুযায়ি তালিকাভুক্ত বেসরকারি পাঠাগারগুলো সাধারণ ক, খ ও গ এই তিন শ্রেণির হয়।

ক শ্রেণির পাঠাগার পায় ৬৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ৩৩ হাজার টাকা নগদ অর্থে ও বাকি ৩৩ হাজার টাকার বই পাবে। খ শ্রেণির জন্য বরাদ্দ ৫৫ হাজার টাকা ও গ শ্রেণির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৪৭ হাজার টাকা। নীতিমালা অনুসারে বার্ষিক মোট বরাদ্দকৃত অর্থের ২০ শতাংশ বিশেষ কোটায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিশেষ কোটায় কোনো কোনো পাঠাগার ২ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান পেয়েছে।

গত অর্থবছর অনুদান পাওয়া ৯২৩টি পাঠাগারের মধ্যে দেশের ৮টি জেলা টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও বরিশালের সাধারণ (ক, খ ও গ) শ্রেণিভুক্ত ৪০০টি পাঠাগারের মধ্যে সন্দেহভাজন ১২০টি পরিদর্শন করা হয়।

এর মধ্যে ১৪টি পাঠাগারের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আর ৪০টি পাঠাগার নামসর্বস্ব।

এই হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। পরিদর্শন কার্যক্রম নিয়মিত চললে ভুয়া ও নামসর্বস্ব পাঠাগারের সংখ্যা আরও বাড়বে।

একটি উদাহরণ দিয়ে সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে আর্থিক অনুদানের জন্য জয়পুরহাট জেলা থেকে ৫৮টি আবেদন পড়ে। আবেদনের সংখ্যা সন্দেহজনক ১৬টি পাঠাগার পরিদর্শন করে ১০টিই ভুয়া পাওয়া গেছে।

এই গ্রন্থাগারগুলো বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও, ক্লাবঘরের অফিসরুম কিংবা কারো ড্রয়িংরুম হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে।

সাধারণ শ্রেণিভুক্ত পাঠাগারের তুলনায় ব্যাপক লুটপাট হয়েছে মন্ত্রী ও সচিবের ২০ শতাংশ বিশেষ কোটায় অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি পাঠাগারগুলোতে। এ কোটায় লুটপাট হয়েছে এক কোটি টাকা।

জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর কালারমারছড়ার আহমাদ হোছাইন পাঠাগারটি ৩০ বছর আগেই বিলুপ্ত হয়েছে।

অথচ গত বছরও এই পাঠাগারটি আর্থিক অনুদান পেয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ময়মনসিংহ জেলার দুটি আলাদা ঠিকানায় সাজেদা-কাশেম গণগ্রন্থাগার ও অন্যচিত্র মডেল পাঠাগারের উদ্যোক্তা একই ব্যক্তি।

একটি গ্রন্থাগার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ও অন্যটি গ্রামের পরিত্যক্ত একটি কলেজে। এই দুই পাঠাগার আলাদা নামে ৪ লাখ টাকা করে ৮ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে। 

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবিতে মালঞ্চা গণপাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব পেয়েছে ২ লাখ টাকা। একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের ড্রয়িংরুমে এই পাঠাগারের অস্তিত্ব।

রংপুরের জি এল রায় রোডে হাজেরা বেগম স্মৃতি গ্রন্থাগার সাবেক সংসদ সদস্য বেগম হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার বাসার ওয়েটিংরুমে। এই পাঠাগারের নামেও অনুদান নেওয়া হয়েছে ১ লাখ টাকা। 

বরিশাল সদরের চরবাড়িয়ার উদয়ন পাঠাগারকে স্থানীয়রা কেউ চেনেন না। অথচ এর নামেও অনুদান দেওয়া হয়েছে ১ লাখ টাকা। আর টাঙ্গাইল জেলায় ভূঞাপুরের ঘাটান্দীতে সাজিদুল সাংস্কৃতিক পাঠাগার কাগজসর্বস্ব হলেও লুটে নিয়েছে ১ লাখ টাকা।

একই জেলা ও উপজেলার কাগমারীপাড়া এলাকার সিয়াম পাঠাগারটির বসতবাড়ির প্রবেশমুখে একটি সাইনবোর্ড থাকলেও একটি পড়ার টেবিলে কয়েকটি বই দেখা গেছে। এই পাঠাগারটিও অনুদান পেয়েছে ২ লাখ টাকা।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বেসরকারি পাঠাগারগুলোর উন্নয়নে প্রতিবছর নগদ অনুদান ও বই প্রদানসহ আনুষঙ্গিক সহায়তা প্রদান করছে।

এর মাধ্যমে আলোকিত সমাজ গঠনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র।

আরবি/জেডআর

Link copied!