জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশে ঘনঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির মতো দুর্যোগের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অপুষ্টি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, চর্ম ও হাঁপানিজনিত রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে। সাধারণত দুর্যোগের সময় এবং পরে এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেসের ‘ডিজাস্টার মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ প্রিপেয়ারডনেস’ জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেসের প্রকাশিত জার্নালগুলোর মধ্যে এই জার্নাল কোয়ালিটি-১ (কিউ-১) হিসেবে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মধ্যে বিশেষভাবে সমাদৃত।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা শাখার ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন ইউনিটের (সিসিএইচপিইউ) সমন্বয়কারী ও রোগতত্ত্ববিদ প্রফেসর ডা. ইকবাল কবিরের নেতৃত্বে দেশের আট জনস্বাস্থ্য গবেষক যৌথভাবে এই মৌলিক গবেষণায় অংশ নেন। দেশের দুর্যোগসংক্রান্ত পরিসংখ্যান-২০২১ পরিচালিত জরিপে দুর্যোগের সময় ও পরে ৬৭ লাখ মানুষের রোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি ধরে প্রায় বছরব্যাপী এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, দুর্যোগে নানা রোগের বোঝায় আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি সামষ্টিক ব্যয়ও বাড়ছে সমানতালে। ব্যয় বাড়ায় সার্বিকভাবে মানুষের জীবযাপনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
একটি বেসরকারি সামাজিক প্রতিষ্ঠান গত বছর তাদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরিপের তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে মাথাপিছু খরচ হয় ৫৮ ডলার। তবে জনগণকে স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ নিজেদেরই সংস্থান করতে হয়। অন্যদিকে সংস্থাটির নিজস্ব জরিপ থেকে দেখা গেছে, দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।
অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ২০২২ সালের তথ্য ও পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ৩০ বছরে দেশে সুপার সাইক্লোন বেড়েছে ৬ শতাংশ। প্রতি বছর তাপমাত্রা বাড়ছে দশমিক শূন্য ১৫ সেন্টিগ্রেড হারে। বার্ষিক বৃষ্টিপাত বেড়েছে ৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার। গত কয়েক দশকে দেশে ভয়াবহ ও মারাত্মক বন্যা হয়েছে পাঁচটি। এ ছাড়া দেশের পাহাড়ি এলাকা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোয় ঢল ও বজ্রপাতের প্রকোপ বেড়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও বাড়ছে বছরে ৩০৬ মিলিমিটার হারে।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির জার্নালে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অবকাঠামো উন্নত করা এবং অনুসন্ধানে পাওয়া বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দুর্যোগ সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রশমনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশে জনসংখ্যা, অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে জরিপ পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। নিয়মিতভাবে এসব জরিপ পরিচালনা করা হলেও সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে জনসম্পৃক্ত গবেষণা তেমন হয় না বললেই চলে। এতে জরিপের তথ্য-উপাত্ত থেকে ওই সব ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ের বাস্তব অবস্থা বোঝা সম্ভব হয় না। এর ফলে ওই বিষয়ে বাস্তবসম্মত নীতি তৈরি করে প্রয়োগ সম্ভব হয় না। এবারই প্রথমবার বিবিএসের দুর্যোগসংক্রান্ত পরিসংখ্যানকে ভিত্তি ধরে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে জনমানুষের স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে উল্লেখিত মৌলিক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রেক্ষিত করে বিবিএসের এই দুর্যোগসংক্রান্ত পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। পরিসংখ্যানে ২০১৫ থেকে ২০২১ সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট দুর্যোগ ও দুর্যোগে আক্রান্তদের তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়। পুরুষ, নারী ও হিজড়াদের মধ্যে এই জরিপ পরিচালিত হয়। প্রতি চার বছর অন্তর সাধারণত এই জরিপ পরিচালিত হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪৭ জন উত্তরদাতা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের প্রায় ৫০ শতাংশ দুর্যোগের সময় ও পরে জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। দুর্যোগের পরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশে। এ সময় জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ার পাশাপাশি অপুষ্টি, চর্ম ও হাঁপানিজনিত রোগেও আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে উত্তরদাতাদের কাছ থেকে। শূন্য থেকে চার বছর বয়সি শিশু, গ্রামের অধিবাসী, প্রতিবন্ধী ও স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তি এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগ দুর্যোগের সময় ও পরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেসের ‘ডিজাস্টার মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ প্রিপেয়ারডনেস’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রের শিরোনাম ছিল ‘দুর্যোগের প্রেক্ষাপটে বাড়ছে রোগের বোঝা: বাংলাদেশের দুর্যোগসংক্রান্ত পরিসংখ্যান-২০২১-এ ৬৭ লাখ উত্তরদাতার অভিজ্ঞতা।
গবেষণার বিষয়ে রোগতত্ত্ববিদ প্রফেসর ডা. ইকবাল কবির রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে এ ধরনের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মৌলিক গবেষণা বাংলাদেশে প্রথম।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর দুর্যোগের কোনো প্রভাব পড়ে কি না এই অন্বেষণ থেকে গবেষণার শুরু। এ ক্ষেত্রে বিবিএসের দুর্যোগসংক্রান্ত পরিসংখ্যানকে ভিত্তি ধরে অনুসন্ধান শুরু হয়। প্রায় এক বছরব্যাপী পরিচালিত এই গবেষণা থেকে প্রধানত তিনটি বিষয় উঠে এসেছে। এক. দুর্যোগের কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, দুই. মানুষের আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচার (ব্যয়) বেড়ে গেছে, এর ফলে টোটাল হেলথ এক্সপেন্ডিচারও বাড়ছে এবং তিন. স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যয় বাড়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনযাপনে।
তিনি আরও জানান, এই গবেষণায় পাওয়া ফলাফল পরবর্তী চার বছরের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি ফলাফলের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে জনস্বাস্থ্যের প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সহজ হবে।
জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে এই গবেষণায় কোনো সুপারিশ আছে কি নাÑ প্রশ্নের উত্তরে এই রোগতত্ত্ববিদ বলেন, অনেক সুপারিশ আছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষেত্র চিহ্নিত করে প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
সহযোগী গবেষক হিসেবে এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুপলেশন সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুজ্জামান খান। নুরুজ্জামান খান বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথে ‘পপুলেশন অ্যান্ড গ্লোবাল হেলথ’ বিষয়ে পিএইচডি করছেন।
গবেষণার বিষয়ে নুরুজ্জামান খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, এত বিশাল পরিমাণ ডাটা (তথ্য) নিয়ে এ ধরনের গবেষণা বাংলাদেশে প্রথম। এসব ডাটা থেকে পাওয়া অ্যাভিডেন্স (প্রমাণ) জনসাস্থ্যের উন্নয়নে নীতি তৈরিতে সহায়ক হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে কেমন পড়েছে, সে বিষয়ে গত বছর গ্রান্থাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট এবং সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ ইকোনমিকস প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী কার্বণ নিঃসারণ অব্যাহত থাকলে এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ২০৭০ থেকে ২০৯৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নদীপ্রবাহ সর্বনিম্ন ১৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বন্যায় প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ৫৫-৬০ শতাংশ জলমগ্ন হয় এবং এক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ক্ষতি হয়।
অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বাংলাদেশেও গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। ১৯৭৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এই তাপমাত্রা বাড়ে ১.২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষত গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বাড়ে ১.৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার শীতকালের তাপমাত্রাও কমেছে। তাপমাত্রার এই পরিবর্তন দেশের জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে গরমজনিত অসুস্থতা এবং তাপমাত্রা সম্পর্কিত রোগ, যেমন: ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক এবং তাপমাত্রাজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। অন্যদিকে শীতকালে তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে শ্বাসতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া উষ্ণ তাপমাত্রায় মশার প্রজননক্ষেত্র বেড়ে যাওয়ায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে৷
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত জার্নালে গবেষণার সারসংক্ষেপ থেকে জানা গেছে, উদ্দেশ্য, পদ্ধতি, ফলাফল ও উপসংহারের চারটি ভাগে গবেষণার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
গবেষণার উদ্দেশ্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, দুর্যোগের সময় এবং পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট জনস্বাস্থ্য সমস্যার প্রকৃতি ও ধরন এবং প্রতিকূল স্বাস্থ্য ফলাফল অন্বেষণ। গবেষণায় ব্যবহৃত পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দুর্যোগসংক্রান্ত পরিসংখ্যান ২০২১ পরিচালিত জরিপে ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪৭ উত্তরদাতার কাছে তারা কী ধরনের দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছিল এবং দুর্যোগের সময় ও পরে কী ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছিল জানতে চাওয়া হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে উত্তরদাতাদের সামাজিক-জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্যসহ রোগ-বোঝা এবং দুর্যোগের ধরনগুলোর মধ্যে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। গবেষণার ফল অংশে বলা হয়েছে, উত্তরদাতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গেছে, দুর্যোগের সময় প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দুর্যোগের পরে এটি বেড়ে ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দুর্যোগের সময় এবং পরে প্রধানত জ¦র, কাশি ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে অপুষ্টি, চর্ম ও হাঁপানিজনিত রোগ। শূন্য থেকে চার বছর বয়সি শিশু, গ্রামীণ অধিবাসী, প্রতিবন্ধী ও স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তি ও হিজড়াদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগের অধিবাসীরা।
গবেষণার উপসংহার অংশে বলা হয়েছে, দুর্যোগের সঙ্গে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ফলগুলো বিবেচনায় নিয়ে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দুর্যোগ সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকিকে প্রশমিত করা।
আপনার মতামত লিখুন :