জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার একটি বিবৃতি পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
এ জন্য মেজর জিয়া ছিলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি। তা ছাড়া বিশ্বের দরবারে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মেজর জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীতে একজন সুদক্ষ কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন। তা ছাড়া তিনি একজন সৎ দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণের অন্তরে জাতীয় বীর হিসেবে জায়গা করে নেন। তিনি নীতি ও উদারপন্থি রাজনৈতিক দর্শন ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ১৯৭৮ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা পরিচালিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ২০ জন শ্রেষ্ঠ বাঙালির মধ্যে জিয়াউর রহমানের নাম ১৯ নম্বরে উঠে আসে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তিনি বলেন, জীবদ্দশায় দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে শহিদ জিয়া জাতির দিশারি ছিলেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযদ্ধে। সে দিন থেকেই দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও সাবেক রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সব সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। একমাত্র জিয়াই শুরু করেছিলেন উৎপাদনের রাজনীতি। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে তিনি কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব ও শিল্প উৎপাদনে বিপ্লব, সেচব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারি সহায়তার সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পুনঃখনন করেন।’
সামরিক বাহিনীতে একজন সুদক্ষ ছত্রীসেনা ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি ছিলেন জিয়া: ১৯৫৩ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কাকুলস্থিত পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদবিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ ছত্রীসেনা ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
করাচিতে দুই বছর কর্মরত থাকার পর ১৯৫৭ সালে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্থানান্তরিত হয়ে আসেন। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন।
যুদ্ধে দুর্ধর্ষ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ করে, জিয়াউর রহমানের কোম্পানি ছিল তাদের অন্যতম। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে। এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের ইউনিট এ যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দুটি সিতারা-ই-জুরাত এবং ৯টি তামঘা-ই-জুরাত পদক লাভ করেন।
১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। সে বছরই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটাস্থিত কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে স্টাফ কোর্সে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মেজর পদবিতে জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দায়িত্ব লাভ করেন। অ্যাডভান্সড মিলিটারি অ্যান্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্স নামক একটি উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানিতে যান এবং কয়েক মাস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও কাজ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দায়িত্ব লাভ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ কেন পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করেন: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর গণহত্যা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হন।
পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে শেখ মুজিবের আদেশে আত্মগোপনে চলে যান। এই সংকটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করেন।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করে প্রশংসিত হন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করে জিয়া প্রশংসিত হন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান ইতোপূর্বে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ও সেই ঘোষণা চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেন। তিনি কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
জিয়াউর রহমানের যেসব নীতির কারণে আজ বিএনপি প্রতিষ্ঠিত: জিয়াউর রহমানের যে নীতির কারণে বিএনপি টিকে আছে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক বলেন, ১৯৭৫ সালে তিনি ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের অংশ ছিলেন না বা উল্লেখযোগ্য কোনো চরিত্রও নন। কিন্তু ৭ নভেম্বর তিনিই আসল নায়ক। সিপাহি জনতার বিপুল সমর্থন ও সময় তাকে নায়কের আসনে বসিয়ে দিয়েছে। এর আগে তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধেরও অন্যতম নায়ক ছিলেন।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বাকশালের একদলীয় শাসনের পতনের পরপরই জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। অর্থনীতির অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এমনই একসময়ে জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে রাজনীতির মঞ্চে চলে আসেন। ওই পরিবর্তনের বিপক্ষ শক্তিও ছিল। এর প্রভাব জিয়াউর রহমানের শাসনামলে পরিলক্ষিত হয়। সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না হলেও কমবেশি ২৪ থেকে ২৫টি ছোট-বড় সামরিক অভ্যুত্থান জিয়াউর রহমানকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। সর্বশেষ এক ঘটনায় তিনি সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্যদের হাতে নিহত হন।
মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও সেক্টর কমান্ডার সামরিক কর্মকর্তা থেকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় শাসকে পরিণত হওয়া জিয়াউর রহমানের গতকাল ছিল ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। খুব দ্রুতই তিনি দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। এর মূল কারণ হচ্ছে, তিনি রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ জীবন-সবর্ত্রই তিনি উদারনীতির প্রচলন করেছিলেন।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকেও জিয়া মধ্যপন্থা উদার দল হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপির নীতি-আদর্শ বিবেচনা করলে দেখা যাবে, জিয়াউর রহমান ইউরোপের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের রাজনীতির দর্শন এখানে প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি বাকশালের একদলীয় শাসনের পরিবর্তে ফিরিয়ে আনেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। এমনকি বাকশালে বিলুপ্ত হওয়া আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনেন। পাশাপাশি অন্যান্য দলকেও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন।
প্রথমত. জিয়াউর রহমান সব জাতি ধর্মবর্ণের সমান পরিচয় ও অধিকারের ভিত্তিতে একটি সমাজগঠনে উদ্যোগী হন। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা প্রচার করেন রাষ্ট্রের নাগরিকদের একক রাজনৈতিক পরিচয় নির্মাণের জন্য। সংকীর্ণ জাতিবাদী বাঙালি বা ধর্মীয় জাতিয়তাবাদের ধারণা থেকে বের হয়ে এসেছিলেন তিনি। মূলত পশ্চিম বা উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর আদলে রাষ্ট্রের ভিত্তিতে তিনি নাগরিকদের পরিচয় নির্মাণের প্রয়াসী হন।
রাজনৈতিক দর্শনকে জিয়াউর রহমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যম প্রয়োগ করেন। তিনি গ্রহণ করেছিলেন, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পুঁজির বিকাশের ধারণাকে। সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের বিকাশে নীতি ও কৌশল প্রয়োগ করেন। তার সময়ই বেসরকারি খাতে শিল্প কলকারখানার পাশাপাশি এনজিওগুলোর বিস্তার ঘটতে থাকে। সামাজিক উন্নয়নে এনজিওগুলো ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে এই এনজিওগুলোই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
অর্থনৈতিক সংষ্কারের মহানায়ক ছিলেন মেজর জিয়া: রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান অন্য একটি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এটা জাতীয় অর্থনীতি। জিয়ার অর্থনৈতিক নীতি প্রাইভেট সেক্টরের উন্নয়নের ওপর জোর দেন, যা আগে অবহেলিত ছিল। তিনি বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে বেসরকারি খাতের উন্নয়নের প্রচারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের উপায় এবং উপায় পরিকল্পনা করতে নিযুক্ত করেন এবং কৃষকদের ভর্তুকি এবং কৃষি বিপণনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নের সূচনা করেন।
তিনি জাতীয়করণকৃত শিল্পগুলোকে তাদের সাবেক মালিকদের কাছে হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। রপ্তানি খাতের উন্নয়নে তিনি প্রচলিত ও অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির প্রসারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জিয়ার অর্থনৈতিক নীতি তাকে যথেষ্ট সাফল্য এনে দেয়। খাদ্য উৎপাদন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে চালের উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। এ জন্য তাকে অর্থনৈতিক সংস্কারের মহানায়ক বলা হয়।
জিয়াউর রহমান ছিলেন বিশ্বনেতা: এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বিশ্বনেতা। তিনি সার্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী দলের ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ বলেন, ফ্যাস্টিসরা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের জনপ্রিয় নেতা ও বিশ্বেরজন প্রিয় রাষ্ট্রপতি।
জিয়া কেন জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন: দেশ ও জাতির জন্য ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ ও দেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করেছেন দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য। সেখানে ছিল না স্বজনপ্রীতির কোন উপমা। ব্যাক্তিগত দুর্নীতির কোন স্বাক্ষর ও কৃত্রিম ভালবাসার প্রতিফলন। দেশ ছিলেন বিভোর।
অক্লান্ত পরিশ্র, বাস্তব দৃষ্টি ভঙ্গি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে উদার নীতি। যাকে অমর করে রেখেছে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ছিলেন গাজী। ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে তিনি শহীদ হন। দেশের জন্য এমন মানুষ খুন হওয়ার পর থেকে সাধারণা মানুষ বুঝতে পারে মেজর জিয়া কতটা জনপ্রিয় ছিলেন।
মহান বীরের জন্ম: জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তারিখে ব্রিটিশ বেঙ্গলের বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মণ্ডলবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়।
আপনার মতামত লিখুন :