ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সোয়ারীঘাটের পান বিক্রেতা থেকে মাফিয়া ডন হাজী সেলিম

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ১২:৫৬ এএম

সোয়ারীঘাটের পান বিক্রেতা থেকে মাফিয়া ডন হাজী সেলিম

আটক হাজী সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

*৫ দিনের রিমান্ডে, কাঠগড়ায় কাঁদলেন
*বিএনপিতে পাত্তা না পেয়ে আ.লীগে যোগদান 
*ব্যবসার আড়ালে জবরদখলে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ 
*আন্ডারওয়ার্ল্ড কানেকশন
*কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের সহচর
*সন্তানদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড

 

একসময় পান বিক্রি করতেন। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন মাফিয়া ডন বা গ্যাংস্টার লিডার। রাজধানীর পুরান ঢাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের অন্যতম কারিগর এই বিতর্কিত ব্যবসায়ী হাজী সেলিম। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক সাংসদ সেলিমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জমি দখল, মার্কেট দখলের অভিযোগ গণমাধ্যম বা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে আসে। রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী হওয়ায় বারবার ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন তিনি।

ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড কানেকশনে হাজী সেলিম মাফিয়া রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে রেখেছেন তিন দশক ধরে। খুলনার কুখ্যাত খুনী এরশাদ শিকদারের সহচর ছিলেন তিনি। ছিলেন তার ব্যবসায়িক পার্টনার। বিএনপির রাজনীতে পাত্তা না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া পুরান ঢাকার ত্রাস হাজী সেলিম এবং তার পরিবার ব্যবসার আড়ালে জবর দখলে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার সাহচর্যে রূপ বদলে সমাজসেবক বা রাজনৈতিক নেতা বনে যাওয়া সেলিম অদৃশ্য শক্তিবলে আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান।

অবশেষে মাফিয়া ডন ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ সেলিম গত রোববার রাতে রাজধানীর বংশাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল সোমবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালীন আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে অঝোরে কাঁদেন তিনি। শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

এ সময় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামি সেলিম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া হাজী সেলিমের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় তিনি হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে জমি দখল, মার্কেট দখলের অভিযোগ করেন। হাত নেড়ে তা অস্বীকার করেন। হাজী সেলিমের পক্ষে প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানিতে বলেন, এটা হত্যা মামলা।

জমি দখল, মার্কেট দখলের সঙ্গে এ মামলার সম্পর্ক নেই। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা চিৎকার করে বলেন, সম্পর্ক আছে। এরপর প্রাণনাথ বলেন, লালবাগের ডিসির নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। রিমান্ডে নিলে ডিসিকে নিতে হবে। তাকে কেন? এরপর আইনজীবীরা চিৎকার করেন। পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এরপর আসামিকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

এদিকে অনুসন্ধান বলছে, মদিনা গ্রুপের আড়ালে অন্যের সম্পদ কেড়ে নেওয়ায় পারদর্শী হাজী সেলিমের দুই সন্তান ইরফান সেলিম ও সোলায়মান সেলিম তারই যোগ্য উত্তরসূরি। বাবার পর দুই ছেলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ পুরনো ঢাকার মানুষ। প্রকাশ্য অস্ত্রবাজি, মারধর, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পক্ষে জোর করে জনমত তৈরি করে বাবার রাজনৈতিক উত্তরসূরি সন্তানেরা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর হাজী সেলিম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন অসুস্থতার কথা বলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে আদালতে।

বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়কে কাজে লাগিয়ে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের পান ব্যবসায়ী থেকে হাজী মোহাম্মদ সেলিম হয়ে উঠেছেন বড় কনগ্লোমারেট মদিনা গ্রুপের মালিক। গত তিন দশকে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন তিনি।

অভিযোগ আছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ব্যবসায়িক উত্থান ও সমৃদ্ধি হয়েছে।

পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও তার পরিবারের। তিনি যেন এ এলাকার অঘোষিত বাদশা। যেখানে চলে আসছিল এই পরিবারের নিজস্ব শাসনব্যবস্থা। বাবার দুই সংসারের দ্বিতীয়পক্ষের সন্তান তিনি। অভাব-অনটনে বেড়ে ওঠা। অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি। কিশোর বয়সেই নামতে হয় উপার্জনে।

একসময় ছিলেন পান বিক্রেতা। এখন তিনি দেশের শীর্ষ ধনীদের একজন।

ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি হাজী সেলিমের ব্যবসায়িক উত্থানের গল্পটিকে বলা চলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনের কেস স্টাডি হিসেবে। গত তিন দশকে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলেরই পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার আগে হাজী সেলিমের বাবা চান মিয়া ছিলেন সোয়ারীঘাটের পান বিক্রেতা। বাবার সঙ্গে পান বিক্রির মধ্য দিয়ে ব্যবসার জগতে পা রাখেন হাজী সেলিম। স্বাধীনতার পরও পান বিক্রি করেই সংসার চলত পরিবারটির। পরবর্তী সময়ে তিনি কুলির কাজ করেন তারপর হয়ে যান সরদার। একপর্যায়ে কোমলপানীয় সেভেন আপের এজেন্সি খুলে বসেন তারা। ওই এজেন্সির আড়ালে নকল কোমলপানীয় বিক্রির অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। সে সময় মোহাম্মদ সেলিম, তার বাবা চান মিয়া ও বড় ভাই কায়েস মিয়াকে পুলিশ আটকও করেছিল।

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন নামে সিমেন্টের ব্যবসায় নামেন মোহাম্মদ সেলিম। শুরুর দিকে বাদামতলী থেকে জমাটবাঁধা সিমেন্ট এনে তা ক্র্যাশ করে বিক্রি করা হতো। একপর্যায়ে নিজেই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে সিমেন্ট কারখানা খুলে বসেন। কিন্তু সে সময়ে সিমেন্টের সঙ্গে বালি ও মাটি মিশিয়ে বাজারজাত করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন গণমাধ্যমগুলোয় বেশ লেখালেখিও হয়েছিল। একপর্যায়ে বাদামতলী এলাকায় ফলের ব্যবসা শুরু করেন হাজী সেলিম। পরে বাদামতলী, ওয়াইজঘাট ও সদরঘাট এলাকার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন তিনি।

নব্বইর দশকের কথা। সে সময় বিএনপি নেতা মীর শওকতের হাত ধরে রাজনীতিতে উত্থান হয় হাজী সেলিমের। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে গরুর গাড়ি মার্কা নিয়ে কমিশনার নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন হাজী সেলিম। কিন্তু মনোনয়ন না দেওয়ায় যোগ দেন আওয়ামী লীগে। নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়।

লালবাগ, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানা নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এমপি হন হাজী সেলিম। এরপর ক্ষমতার ছত্রছায়ায় ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে তার ব্যবসা ও সম্পত্তির পরিমাণ।

তার প্রতিষ্ঠিত মদিনা গ্রুপের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালের মধ্যেই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত বার্ষিক টার্নওভার ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরের বছরগুলোয় এ সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জমি ও বাড়ি দখলের নেশা পেয়ে বসেছিল হাজী সেলিমকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই সময় হাজী সেলিম নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন পাড়া-মহল্লাগুলোয় পঞ্চায়েত প্রথা চালু করেন। ওই সময় অনেকেই তার কাছে বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আসত। এর মধ্যে জমি বা বাড়িসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতেও তার সহযোগিতা চাইতে আসতেন স্থানীয়রা। কিন্তু এসব বিরোধ নিষ্পত্তির বদলে হাজী সেলিম নামমাত্র মূল্যে ওই জমির কাগজপত্র কিনে নিতেন। জোরপূর্বক উচ্ছেদের জন্য বিচার শেষে তিনি ঘরে বা দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিতেন। এ জন্য এলাকায় ‘তালা হাজী’ নামেও খেতাব পেয়েছিলেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বুড়িগঙ্গার তীরে চাঁদনীঘাটে ওয়াসার পানির পাম্পের জমি দখল করে সেখানে পেট্রলপাম্প করেন হাজী সেলিম। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন কামালবাগের জমির কাগজপত্র জালিয়াতির হোতা হিসেবে পরিচিত হাফেজ কামাল। এ ছাড়া সোয়ারীঘাটে নদীতীর দখল করে সেখানে গড়ে তোলেন চাঁদ সরদার কোল্ড স্টোরেজ। এরপর নবাববাড়ী এলাকায় জগন্নাথ কলেজের ছাত্রাবাস দখল করে সেখানে গুলশান আরা প্লাজা নামক বিশাল ভবন নির্মাণ করেন। আরমানিটোলা এলাকায় এক বৃদ্ধার সম্পত্তি দখল করে নির্মাণ করেন এমটিসি টাওয়ার। নলগোলায় ভাওয়াল রাজার সম্পত্তি দখল করে বিশাল ভবন নির্মাণ করেন।

শুধু তা-ই নয়, হাজী সেলিম চকবাজারের ফ্রেন্ডশিপ মার্কেট ও জেলখানার পাশে ৫০-৬০ বছরের পুরনো ব্যবসায়ীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সেখানে মদিনা আশিক টাওয়ার ও হাজী সেলিম টাওয়ার নামে দুটি বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেন। মার্কেট নির্মাণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নতুন দোকান দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকেই কোনো দোকান দেননি তিনি। এ কারণে দুই ব্যবসায়ী আত্মহত্যাও করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এভাবেই হাজী সেলিম রাজধানীর পুরান ঢাকার বাদামতলী, নবাববাড়ী, আরমানিটোলা, মিটফোর্ড রোড, নবাবপুর রোড, ইমামগঞ্জ, ইসলামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, ফতুল্লা এলাকায় জমিজমার মালিক হন।

এছাড়া একসময়ে খুলনার কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের সঙ্গেও ব্যবসা করেছেন হাজী সেলিম। বিএনপি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে অন্তত ১২০টি মামলা করা হয় হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে। খুন, খুনের চেষ্টা, নির্যাতন, চুরি এবং দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের কারণে এসব মামলা করা হয়।
নিজের বিভিন্ন অপরাধে সব সময় সহায়তা পেয়েছেন স্ত্রী গুলশান আরার। ২০০৮ সালের এপ্রিলে ২৭ কোটি টাকা জ্ঞাতবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য ১৩ বছরের জেল হয় সেলিমের। আর সেই সম্পদ নিজের কাছে রাখার জন্য ৩ বছরের জেল হয় তার স্ত্রী গুলশান আরার। ছোট ছেলে ইরফান সেলিম এক নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধর করে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন। ২০০১ সালে বিএনপির নাসিরউদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর কাছে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হাজী সেলিম। বিএনপির ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিদেশে গা ঢাকা দেন তিনি। পরের নির্বাচনে আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি হাজী সেলিম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তার জায়গায় মনোনয়ন পান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

ক্ষুব্ধ হাজী সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হাজী সেলিম। ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে প্রার্থিতা করতে চেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি স্ট্রোকের কারণে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি।

মনোনয়ন পাওয়ার পর আবার একটু একটু করে কথা বলতে শুরু করেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে আগের মতোই ক্ষমতার প্রদর্শন ও দখল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয়রা বলছেন, যেখানেই চোখ পড়েছে হাজী সেলিমের, সেটাই দখল করে নিয়েছেন তিনি। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে গত বছরও ঢাকার প্রথম বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে পরিচিত চকবাজারের শতবর্ষেরও বেশি পুরনো জাহাজবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন হাজী সেলিম। ক্ষমতাধর হওয়ার কারণেই হাজী সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেউ থানায় অভিযোগ করতে চায়নি। এভাবেই রাজনৈতিক ক্ষমতা ও পেশিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজের সম্পদ বাড়িয়ে তুলেছেন তিনি। জানা গেছে, রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় নামে-বেনামে হাজী সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অসংখ্য বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বন্দরসংলগ্ন এলাকায় প্রচুর ভূসম্পত্তি কিনেছেন তিনি।

আরবি/জেডআর

Link copied!