ঢাকা শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বিশেষ সাক্ষাৎকারে মুশফিকুল ফজল আনসারী

গণতন্ত্রের ট্রেন লাইনে পৌঁছায়নি গন্তব্যে

মাইদুর রহমান রুবেল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১০:২৯ পিএম

গণতন্ত্রের ট্রেন লাইনে পৌঁছায়নি গন্তব্যে

মুশফিকুল ফজল আনসারী। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

 

আমাদের এখানে নানামুখী থ্রেট আছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য জরুরি বলে মনে করেন জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসের স্থায়ী সংবাদদাতা, সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভসের নির্বাহী সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, একটা স্থায়ী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এনগেজমেন্টে বাংলাদেশকে আরও অগ্রসর হওয়া উচিত, আরও ওয়ান স্টেপে যাওয়া উচিত।

আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়ে এক দশক পর গত ১১ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুল ফজল আনসারী। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ তাকে অভ্যর্থনা জানায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন, মানবপাচার, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ইস্যুতে সরব মুশফিকুল ফজল আনসারী। বিশ্ব মোড়লদের চোখে আঙুল দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মোড়কে চলছে স্বৈরতন্ত্র। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি মাইদুর রহমান রুবেল।

রূপালী বাংলাদেশ: আপনাকে স্বাগতম, দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছেন। সরকার পরিবর্তন না হলে কি দেশে ফিরতে পারতেন?
মুশফিকুল ফজল আনসারী: না, পারতাম না। সেটা সম্ভবও হতো না।

রূপালী বাংলাদেশ: তাহলে আপনার করণীয় কী হতো?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: সরকার পরিবর্তন বলতে আমাদের যে গণঅভ্যুত্থান অর্থাৎ এই যে ফ্যাসিস্ট সরকারের পলায়ন, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষ একটা মুক্তির আকাক্সক্ষা করেছিল সেই আকাক্সক্ষার পথে বাংলাদেশ। ট্রেনটি তার লাইনে উঠেছে। এখনো গন্তব্য পৌঁছায়নি। গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত যা যা করা দরকার, একজন সাংবাদিক হিসেবে তাই করব। নিশ্চয়ই আপনারাও তাই করছেন।

রূপালী বাংলাদেশ: শিগগির বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতার চুক্তি দেখতে পারছেন কি না?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: চুক্তি তো আছেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এ চুক্তি দীর্ঘকাল ধরেই আছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের সিকিউরিটির জন্য এটা খুব জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র যদি নাও চায় বাংলাদেশের জন্য এটা জরুরি। কারণ, আমাদের এখানে নানামুখী থ্রেট আছে। জঙ্গিবাদের উত্থান একটা বিশেষ জায়গা থেকে কিন্তু ইনক্রিজ করা হয়। ওই একই ক্যাম্পেইন একই প্রজেক্ট। আপনি হঠাৎ দেখবেন জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে, আবার হঠাৎ দেখবেন নেই। তো এগুলো কোথাও না কোথাও থেকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় অথবা ইনক্রিজ করা হয়। একটা স্থায়ী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এনগেজমেন্টে বাংলাদেশকে আরও অগ্রসর হওয়া উচিত, আরও ওয়ান স্টেপে যাওয়া উচিত।

রূপালী বাংলাদেশ: আপনার সাংবাদিকতা যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে বা কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: প্রথমত হলো যুক্তরাষ্ট্র তার নীতির ক্ষেত্রে নিজেদের পলিসি গ্রহণ করে। কোনো সাংবাদিকের কারণে পরিবর্তন হয় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের যেটা হচ্ছে অ্যাটেনশন বা দৃষ্টি আকর্ষণ এবং নীতিগুলো সামনে আগানোর ক্ষেত্রে, ধরেন আপনি আমাকে প্রশ্ন করছেন বলে আমি আমার ইন্টারভিউ দিচ্ছি। সম্ভবত, এই ইন্টারভিউয়ের কারণে আমার কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমি যাদের প্রশ্ন করছি, তাদেরও প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। নিতে হলে পরে এ বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। তখন একটা কাজ হয়।

রূপালী বাংলাদেশ: আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের বিশেষ সুবিধা নিতে পারবে?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই আকাক্সক্ষাকে সাপোর্ট করেছে। মানুষের যে আকাক্সক্ষা এবং এই আকাক্সক্ষার মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তাকেও সাপোর্ট করেছে। আপনি দেখবেন সেদিনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল এসেছে, হাইলেভেলের ডেলিগেশন দল। ২০০ মিলিয়ন ডলারের মতো অ্যাসিস্ট্যান্ট তারা সাইন করেছে। আরও সহযোগিতার ক্ষেত্রেও থাকবে। নানা ধরনের এনগেজমেন্ট বাড়বে। তারা একটি এস্টাবিলিটি চায়। অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেটি হলে এখানে বিনিয়োগও বাড়বে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। সেটা খুব জরুরি।

রূপালী বাংলাদেশ: প্রচলিত আছে যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতীয় লেন্সে দেখে। আপনার কি তাই মনে হয়?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: আমিও তাদের একই প্রশ্ন করেছি, আপনি যে প্রশ্নটা আমাকে করেছেন। সেই প্রশ্নটি আমি যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি মেকারদের করি তোমরা সরাসরি দেখো কি না। তবে, একটা বিষয় হলো ইন্দো-প্যাসেফিক স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করে, সেখানে লিডারশিপ তারা ভারতের ওপর দিয়ে রেখেছে। কারণ, এখানে চায়নিজ ব্যাপার আছে। মানে জিও পলিটিক্যাল নিয়ে একটা ইস্যুজ আছে। সেটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা। তবে যেটা হলো, তারা বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের প্রায়ই আশ্বস্ত করে প্রাইভেট এবং পাবলিক লেভেলে। তারা এনগেজ হয়েছেন বলেই অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিষয়ে নীতির পরিবর্তন, ভিসানীতি পরিবর্তন করেছেন। তারা র‌্যাবের ওপর স্যাংশন দিয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ: আপনি ইন্দো-প্যাসিফিকের কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিকের কৌশলগত জায়গায় বাংলাদেশের গুরুত্ব কতখানি বলে মনে করেন?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: বাংলাদেশের গুরুত্ব আছে বলেই তারা অনেক বেশি এনগেজ হয়েছেন। এখন এনগেজমেন্ট অনেক বেশি। সেই এনগেজমেন্ট যাতে সরাসরি হয়, ঢাকা-ওয়াশিংটন একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা নিয়ে বিস্তর কাজ রয়েছে। বাংলাদেশকে তারা একটা পার্টনারশিপের আওতায় নিয়েছে। অন অফ দ্য বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র পার্টনার হিসেবে নিয়েছে, অল অফ দ্য লার্জেস্ট ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। অর্থনৈতিক অংশীদার, সামাজিক, পলিটিক্যাল নানা অংশীদারত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে। সুতরাং আমার দেশের গুরুত্ব নানা কারণে।

রূপালী বাংলাদেশ: শেষ প্রশ্ন আপনার কাছে, শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশে হলে সেটা আন্তর্জাতিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে বা আপনি কি মনে করেন শেখ হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হওয়া উচিত?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: আমি মনে করি এগুলো আন্তর্জাতিক আদালতে হওয়া উচিত। কিন্তু এখানে কিছু ইফস অ্যান্ড বাটস আছে। যে অপরাধী তার বিচার করতে হবে। কে খুশি হলো এবং কে বেজার হলো এটা কোনো বিষয় নয়। ঘটনা হলো সে অন্যায়কারী কি না, তার ন্যায়বিচার হচ্ছে কি না, জাস্টিস এনসিওর করতে হবে। এটা দিনের মতো পরিষ্কার শেখ হাসিনা শুট অ্যান্ড সাইট অর্ডার দিয়েছে। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে। মানুষকে খুন করেছে। সে নিজেই স্টেটমেন্ট দিয়েছে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমি জানি। এগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তার অফিসাররাও জানে কীভাবে তার অফিসারদের ব্যবহার করেছে গুলি করার জন্য। সুতরাং এই সাপসেনসিয়াল এভিডেন্সিয়াল ভিত্তিতে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা এটা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা করতেই হবে। সে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোক আর সাধারণ নাগরিক হোক তাকে তো বিচারের আওতায় আনতেই হবে।

রূপালী বাংলাদেশ: ভারতের রাজনীতি এবং ভারতের পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: সেটা যুক্তরাষ্ট্র ভালো জানে।

রূপালী বাংলাদেশ: আপনার অবজারভেশন কি?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: আমি অবজারভ করতে পারি যে, গত নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র আমি প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে তারা বলেছে- যেমন আমরা দেখেছি দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ইস্যুগুলো অ্যাড্রেস করতে চাইত না। কারণ, ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপক ধরনের অবক্ষয় আছে। সেখানে মানবাধিকারের লঙ্ঘন আছে, সেখানে মাইনরিটিদের ওপর নির্যাতনের বিষয় আছে। এগুলোর ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের নির্লিপ্ততা। যেটা আমি অ্যাড্রেস করেছি। তোমরা এটা কেন অ্যাড্রেস করছ না? খুব ব্যাপকভাবে অ্যাড্রেস করেছি, শক্তভাবে। দৃঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাড্রেস করেছে গত নির্বাচনের আগে। যার কারণে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের যে গভর্নর যাকে নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করল। কংগ্রেসের ফান্ড অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিল। এসব বিষয়ে যখন প্রশ্ন করেছি, এর উত্তর দেওয়ার কারণে ইউএস অ্যাম্বাসেডর নিউ দিল্লি, তাকে সমন করেছে। এসব বিষয়ে তারা সরাসরি বলেছে, এসব বিষয়ে আমরা ইন্ডিয়ার সাথে অবশ্যই অ্যাড্রেস করি। তারা হিউম্যান রাইটস ভায়েলেশনের বিষয়ে অ্যাড্রেস করে। তারা মাইনরিটির বিষয়টা কি অ্যাড্রেস করে?

রূপালী বাংলাদেশ: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সেভেন সিস্টার নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ভারত কোয়াড আছে, তারা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: প্রথমত যুক্তরাষ্ট্র কোনো মন্তব্যের কারণে কোনো সময় প্রতিক্রিয়া দেখায় না। ইউ ক্যান সে অ্যানিথিং অ্যান্ড এভরিথিং। যুক্তরাষ্ট্র দেখে কী অ্যাক্ট করছে। সেটির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দেখে সব সময় তাদের যে ডিপ্লোমেসি, তাদের সিকিউরিটি এগুলো কোনো ক্ষেত্রে কোনো হার্ম হচ্ছে কি না। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্ট করার বিষয় নয়। সেভেন সিস্টার ইন্ডিয়া-বাংলাদেশের বিষয়।

রূপালী বাংলাদেশ: বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলের উত্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে দেখেন আপনি?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: রাজনীতি এবং ইসলাম, এ দুটির ধারণা তো আমাদের আছে। কারণ, আমি নিজে একজন প্রাক্টিসিং মুসলিম। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি রাজনীতি করেছেন শেখ হাসিনা। যখন যে সময় দরকার তখন তিনি পট্টি বেঁধেছেন, হাতে তসবি নিয়েছেন। যখন দরকার নেই, তখন ছুড়ে ফেলেছেন। যখন দরকার তখন তিনি আল্লামা শফীর সঙ্গে চুক্তি করেছেন। তারপর তিনি মদিনা সনদের ওপর দেশ চালাবেন বলে বিভিন্ন কিছু বলেছেন। কিন্তু দেখেছি তার ভেতরে একটা সেকুলার ভাব প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা ও জঙ্গি কার্ড খেলেছে। এটা নিউইয়র্ক টাইম কলাম লিখেছে, শেখ হাসিনা কীভাবে বিদেশিদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে তারা থাকলে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না। কিন্তু এটাও যে তার একটা অভিনয় তা পুরো দুনিয়া জানে।

রূপালী বাংলাদেশ: আরাকানের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

মুশফিকুল ফজল আনসারী: রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে প্রথমত সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন চায় তারা। কারণ তাদের জীবন যেখানে হুমকির মুখে, তাদের জীবনহানি হয়েছে, তারা এখানে আশ্রিত হয়েছে। তো আবার তাদের হুমকির মুখে ফেলা যায় না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ইনশিউর না হবে। জাতিসংঘ এটা বলে যে একটা এনভায়রনমেন্ট তৈরি করা, একটা ডায়ালগে যাওয়া। কিন্তু আমরা বিগত সরকারের আমলে দেখিনি যে মিনিংফুল কোনো ডায়ালগে তারা গেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনটা সেভ হতে হবে। আপনি তাদের তো আবার গর্তের ভেতরে ফেলে দিতে পারেন না।

রূপালী বাংলাদেশ: ব্যস্ততার মধ্যে রূপালী বাংলাদেশকে  সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মুশফিকুল ফজল আনসারী: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরবি/জেডআর

Link copied!