ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

পুঁজিবাজারে যুগান্তকারী পরিবর্তন

শাহীনুর ইসলাম শানু

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১২:৪৮ এএম

পুঁজিবাজারে যুগান্তকারী পরিবর্তন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে প্রবল ধাক্কা খেল অর্থনীতি। শুদ্ধাচারের প্রবল ঘাটতির কারণে অস্থিরতায় ভুগছে মানি মার্কেট ও শেয়ার মার্কেট। শুধু বছরজুড়ে নয়; ১৫ বছর ধরে সংক্রমিত হয়ে দৃশ্যমান হয় অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে। অস্থিরতার জ্বরে এখন পুড়ছে অর্থনীতির সব খাত।

লুট করা হয়েছে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার। লুটেরাদের অধিকাংশই সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা এবং কোম্পানি উদ্যোক্তা পরিচালক। তবে লুটেরাদের বেশির ভাগ নেতাই এখন অন্তরীণ।

ফলে আমানতকারীর টাকা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে প্রবল তারল্য সংকটে থাকা অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক। ব্যাংক ও কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও অধিকাংশই লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ। বছরজুড়েই ছিল কারসাজি চক্রের অশুভ তৎপরতা। ব্যাংকার, সরকারি কর্মকর্তাসহ অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতা শেয়ার কারসাজিতে যুক্ত হলেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে নয়, দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়নেও শীর্ষে ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনেক কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে জুলাই বিপ্লবে সরকার পরিবর্তনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আসে পালাবদল। সব খাতে শীর্ষ নেত্বত্বে পালা বদলে পালিয়ে যান শিবলী কমিশন।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পুঁজিবাজারের দায়িত্ব নেন মাসুদ কমিশন। নতুন নেতৃত্বে পুঁজিবাজারে শুদ্ধাচারে ফেরাতে শুরু করায় উড়তে থাকে নেতিবাচক আলোচনা। বাড়তে থাকে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ। তবুও শুদ্ধাচারের ঘাটতিতে থাকা কোম্পানি ও কারসাজি চক্রকে শাস্তির আওতায় আনে বিচক্ষণ কমিশন। ফলে গত ১৫ বছরের শীর্ষে ওঠে ধস। পরিবর্তিত সময়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন না বাড়লেও শুদ্ধাচারে পুঁজিবাজারে আসে শুভ-অশুভ যুগান্তকারী পরিবর্তন।

শুদ্ধাচারের ঘাটতিতে শেয়ার কারসাজি দলের আস্থার পাত্র ছিলেন সাবেক কমিশন শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পরে নতুন কমিশন যুগান্তকারী পরিবর্তনের চেষ্টায় কাজ করছে। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও সুশাসনে পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। বৃহৎ গ্রুপ অব কোম্পানির পর্ষদকে শাস্তির আওতায় আনে কমিশন।

উন্নয়ন ও সুশাষনে পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন: পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পাঁচ সদস্যের ট্যাক্সফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কমিটি গঠন করে বিএসইসি। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট টাক্সফোর্স সদস্যরা হলেনÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং-এর জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন।

শীর্ষ নেতা আটক ও অন্তরালে: সরকার পরিবর্তনের পরে শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুট এবং বিতর্কিত অনেক কারণে আলোচিত বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান আটক ১৩ আগস্ট হন। আড়ালে চলে যান চৌধুরী নাফিস সরাফাত, ক্রিকেটার সাবিব আল হাসান, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ অনেকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পরিবর্তিত কমিশন।

যুগান্তকারী জরিমানা: শেয়ারবাজারে ভয়াবহ কারসাজি চক্র গড়ে তুলেছিলেন তারা। তাদের মধ্যে একজন সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরু। তিনি তারা বাবা, মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, শ্যালককে নিয়ে শেয়ারবাজারে কারসাজি করতেন। কারসাজির প্রমাণ মেলায় হিরু ও পরিবারের সদস্যদের শতকোটি টাকার ওপরে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তার সঙ্গে চক্র গড়ে তোলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকেও জরিমানা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড বা বিডি ফাইন্যান্স, ওরিয়ন ফার্মা এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার নিয়ে কারসাজির জন্য এই ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের বিভিন্ন সময়ে কোম্পানি তিনটির শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা ঘটে।

ঋণখেলাপি শিবলী রুবাইয়াতের বিদায়: শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে বসে বেআইনিভাবে শেয়ার ব্যবসা করেছেন সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি শেয়ার ব্যবসা করেছেন বেনামে এবং ঋণখেলাপি মামলার আসামি। শেয়ার ব্যবসা করতে গিয়ে শিবলী রুবাইয়াত শেয়ার কারসাজির অন্যতম হোতা আবুল খায়ের হিরুর কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। হিরুর তথাকথিত ‘হট আইটেম’, অর্থাৎ কারসাজির মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারই শিবলীর বেনামি অ্যাকাউন্টে কেনাবেচা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থায় ক্ষমতার দাপটে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি এলআর গ্লোবালকে একের পর এক বিতর্কিত সুবিধা দিয়েছেন পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী। এলআর গ্লোবালের সিইও রিয়াজ ইসলামের সঙ্গে দুবাইয়ে সিগমা ম্যানেজমেন্ট নামে যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। ওই কোম্পানির পার্টনার ছিলেন শিবলীর বড় ছেলে যুহায়ের ইসলাম।

২০২০ সালের মে মাসে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার সময়ই অধ্যাপক শিবলী ঋণখেলাপি ছিলেন। অর্থঋণ আদালতে মামলায় ২০০৭ সাল থেকেই টানা প্রায় ১৬ বছর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান পদে চার বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালনের প্রথম দুই বছর চার মাস পর্যন্ত তিনি ঋণখেলাপি ছিলেন এবং তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল ছিল। জুলাই বিপ্লবে ৫ আগস্টের পরে সাবেক চেয়ারম্যান আর বিএসইসি ভবনে প্রবেশ করেননি। পরে ই-মেইলে তিনি পদত্যাগ করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকার তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

বেনজীর ও মতিউর কাণ্ড: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন মতিউর রহমান। ঘুষ এবং শেয়ার ব্যবসা উভয় প্রক্রিয়ায় অঢেল টাকা কামাই করেন তিনি। ছাগল কাণ্ডে তিনি ছিলেন ব্যাপক আলোচিত। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান কাণ্ডে গরম ছিল দেশের পুঁজিবাজার। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বেনজীর আহমেদ ও মতিউর রহমানের বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বিএসইসি। মতিউর নিজের ও আত্মীয়স্বজনের নামে যে পরিমাণ প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়েছেন, অভিহিত বা প্রকৃত মূল্য হিসাবে এসব শেয়ারের দাম অন্তত অর্ধশত কোটি টাকা। এর দু-একটি বাদে সব কোম্পানি আগেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তালিকাভুক্তির পর প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় নেওয়া এসব শেয়ার উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে কয়েকশ কোটি টাকা মুনাফা করেছেন মতিউর রহমান।

নাফিস সরাফাতের রেইসের লেনদেন স্থগিত: সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেইস ম্যানেজমেন্টের ১৩টি ফান্ড রয়েছে। ব্যবস্থাপনাধীন ফান্ডের মাধ্যমে ব্লক মার্কেটে বড় ধরনের লেনদেন করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ইনভেস্টমেন্ট স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের মাধ্যমেও লেনদেন করে রেসের ব্যবস্থাপনাধীন ফান্ড। প্রতারণার দায়ে মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা লঙ্ঘন করে এসব লেনদেন করায় সব ধরেনের লেনদেন স্থগিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একই সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আনজুমান আরা শহীদ এবং হাসান তাহের ইমাম ও তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আনজুমান আরা শহীদ ও হাসান তাহের ইমামের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। নাফিজ সরাফাত ২০০৮ সালে রেইস ম্যানেজমেন্ট নামে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির লাইসেন্স নেন। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিলেন হাসান তাহের ইমাম। রেইসের অধীনে বর্তমানে ১৩টি ফান্ড রয়েছে। ফান্ডের অর্থ ব্যক্তিস্বার্থে বিনিয়োগ করে নাফিজ সরাফাত, আনজুমান আরা শহীদ ও হাসান তাহের ইমাম। একই সঙ্গে কৌশলে নাফিজ সরাফাত তার স্ত্রীকে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক বানান। তবে এতে ফান্ডের কোনো লাভ হয়নি।

সিআইডি সূত্র জানায়, রেইস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ১০টি মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করে। ফান্ডগুলোর সম্মিলিত আকার প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। ফান্ডের অর্থ দিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যে এফডিআর খোলা হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে সেই এফডিআরগুলো ভেঙে ফেলা হয়। ফলে ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা কোটি কোটি টাকার মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

১০ কোম্পানির মূলধন সংগ্রহ ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা: চলতি বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে চারটি এবং কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া, দুটি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করেছে। ২০২৪ সালে পুঁজিবাজার থেকে মোট ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগের বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে তিনটি, কিউআইওর মাধ্যমে তিনটি, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে একটি ও চারটি বন্ড ইস্যু করে মোট ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছিল। সে হিসাবে ৪৬৭ কোটি টাকার কম মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর মধ্যে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড ১০০ কোটি টাকা, বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড লিমিটেড ৩৫০ কোটি টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ৯৫ কোটি টাকা এবং টেকনো ড্রাগস লিমিটেড ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। কিউআইওর মাধ্যমে ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড ৫ কোটি টাকা এবং ওয়েব কোটস পিএলসি ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া, সাউথইস্ট ব্যাংক ফাস্ট পারপেচুয়াল বন্ড ৪৫০ কোটি এবং ইউসিবি সেকেন্ড পারপেচুয়াল বন্ড ২৭০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে।

তবে, সম্প্রতি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করতে চাওয়া আবাসন খাতের কোম্পানি বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের আবেদন বাতিল করেছে বিএসইসি। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করতে চাওয়া বস্ত্র খাতের কোম্পানি বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস লিমিটেড এবং ১৫ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করতে চাওয়া বিমা খাতের কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের আবেদন বাতিল করেছে কমিশন।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবনতি: এদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে পাঁচ হাজার একশ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ৬ হাজার দুইশ পয়েন্ট থেকে প্রায় ১ হাজার পয়েন্টের সঙ্গে কমে লেনদেন নেমেছে তিনশ কোটিতে।

সরকার পরিবর্তনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আসে পালাবদল। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পুজিবাজারের দায়িত্ব নেন মাসুদ কমিশন। নতুন নেতৃত্বে পুঁজিবাজারে শুদ্ধাচারের আওতা বাড়ছে। সুফল শিগগিরই আসবে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।

আরবি/জেডআর

Link copied!