দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শর্ট সার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়নি বলে মনে করছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কেউ কেউ।
তাদের মতে, শর্ট সার্কিট হলে একসঙ্গে ৩-৪ জায়গায় আগুন লাগত না। তবে রিমোট কন্ট্রোলে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে কি না সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। এদিকে আগুনের কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সঙ্গে। এর আগে পুড়ে যাওয়া ৪টি ফ্লোর থেকে আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে সিআইডির ফরেনসিক ইউনিট। পাশাপাশি আলাদাভাবে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা নিয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো হয়নি। সচিবালয়ে নতুন তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে গতকাল শুক্রবার এসব কথা জানান তিনি। এদিন সকালে সচিবালয়ে যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি। পরে সাত নম্বর ভবনে আলামত সংগ্রহ করেন কমিটির সদস্যরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে তদন্তের কাজ।
আগুনের ঘটনা নাশকতা কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করার সময় হয়নি।’
এর আগে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের আগুনের ঘটনা তদন্তে গত বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। সেই সঙ্গে আগের সাত সদস্যের কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক করা হয়। এই কমিটি অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারো ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না, তা উদঘাটন এবং এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে ও সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সুপারিশ করবে। এক আদেশে বলা হয়, কমিটি আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রদান করবে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটির কাজ শুরু: সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান ও তদন্তে কাজ শুরু করেছে কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার দুপুর থেকেই সচিবালয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শুরু করেন তারা। এদিকে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে আগের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্যসচিব করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ বাহারুল আলম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মনজুর, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রাসেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইয়াছির আরাফাত খান এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসির আরাফাত।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কি না, সংশয় প্রকাশ: এদিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কি না, সংশয় প্রকাশ করে তা তদন্ত করা দরকার বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, দেশবাসী মনে করে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতা ও অসতর্কতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেখানে কীভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। সচিবালয় এ ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো নাশকতা কি না, তা তদন্ত করা দরকার।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা মনে করি, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও সতর্ক হওয়া দরকার।’
নাশকতার এই সুযোগ নিল কারা? প্রশ্ন বিশ্লেষকদের: এদিকে আগুনের ঘটনায় অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে মধ্যরাতে যে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে, সেটি নাশকতা মনে হচ্ছে। এর কারণ হলো, আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে ওই ভবনে থাকা ৫টি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব দপ্তর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা, মানুষের মধ্যে উদ্বেগ লক্ষ করা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, এই আগুনের ঘটনাটি একেবারেই নাশকতা মনে হচ্ছে। এর কারণ হলো, যেখানে যেখানে আগুন ধরেছে সেখানের সব পুড়ে ছাই হয়েছে। তা ছাড়া এসব জায়গায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল। সেটা অবশ্যই ওই মন্ত্রণালয়ের লোকজন জানত। কাজেই বোঝা যায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি প্রাকৃতিকভাবে না কি নাশকতা। তবে তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রাখতে হবে, যাতে সঠিকভাবে তদন্ত হয় এবং অপরাধীরা বের হয়ে আসে।
আলোচনা-সমালোচনা, মানুষের মধ্যে উদ্বেগ: ভয়াবহ এ আগুনের ঘটনার পর থেকে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকার, রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সবার একটাই প্রশ্ন সচিবালয়ের মতো জায়গায় কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটল? এটা মনে হচ্ছে, পরিকল্পিত ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না। তবে আগুনের বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ দায়িত্বশীল কর্তারা তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আগুনের কারণ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। কিন্তু রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা সন্দেহের তীর ছুড়ে দিয়ে বলেছেন এটি পরিকল্পিত ঘটনা। তা ছাড়া সমাজের বিভিন্ন জায়গায় বলা হচ্ছে, এই আগুন অবশ্যই পরিকল্পিত ঘটনা। এটিকে কোনোভাবেই দুর্ঘটনা বলা যাবে না।
মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তথ্য-প্রমাণ ছিল: সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জিং সময়ে সচিবালয়ের চারটা ফ্লোরে আগুন, যেখানে চারটা কমিশন ছিল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র জমা রাখা হয়। তা ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তথ্য-প্রমাণ ছিল। এই আগুনের টার্গেটই হচ্ছে সেই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া। যে উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের সব কিছুর আগে বিবেচনায় রাখতে হবে যে এটা নাশকতা। এর কারণ হলো, ষড়যন্ত্রকারীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তথ্য-প্রমাণ পুড়িয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করছে তদন্ত কমিটি।
শর্ট সার্কিট থেকে হলে একসঙ্গে এত জায়গায় আগুন লাগার কথা না: এদিকে তদন্ত কমিটি ও ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র বলছে, শর্ট সার্কিট থেকে হলে একসঙ্গে ৩-৪ জায়গায় লাগার কথা নয়। এই আগ্নিকাণ্ড নাশকতামূলক। তবে এই বিষয়ে এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ খান বলেছেন, নাশকতামূলকভাবেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে, এটিই ধারণা করছেন অনেকে। তবে আগুনটা শর্ট সার্কিট থেকে এত জায়গায় লাগার কথা নয়। এদিকে গোয়েন্দারা বলছেন, দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে এটা লাগানো আগুন, শর্ট সার্কিটের আগুন কখনো এভাবে লাগে না।
ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট ছিল সচিবালয়ে আতঙ্ক তৈরি করা এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ভয়ের সন্দেহ প্রবেশ করানোর অবকাশ। এবং সেটাই হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এভাবে কখনো দুর্ঘটনায় আগুন লাগে না। তবে আসল ঘটনা ফাইনাল তদন্তের পর বের হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী এক গোয়েন্দা কর্মকতা জানান, এটা নাশকতা, এর কারণ হলো যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে নিরাপত্তায় থাকা ব্যক্তিরা জানতেন যে নির্দষ্ট জায়গায় জরুরি নথিপত্র আছে। কাজেই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এই আগুন এবং এর সাথে সচিবালয়ের লোকজন ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাই জড়িত। গোয়েন্দারা বলছেন, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে, সেই বিষয়ও সামনে রেখে তদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আলি আহমেদ খান (অগ্নিকাণ্ড বিশেষজ্ঞ) বলেছেন, দুর্বৃত্তরা যখন আগুন লাগায় তখন একসঙ্গে একাধিক স্থানে আগুন লাগে। এমন ঘটনা ঘটেছে বৃস্পতিবারে। সচিবালয়ের ২ জায়গায় এমন দুর্বৃত্তায়নের আগুন দেখেই বোঝা যায় এটি নাশকতা কি না। সচিবালয়ে শর্ট সার্কিট না, আগুন লাগানো হয়েছে, এটাই আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়।
সিসি টিভির ফুটেজ দেখে অবিলম্বে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এক ফায়ার বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এ আগুন আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আপনারা জানেন, এখানে অনেক কিছু আছে চুরি হতে পারে; কিন্তু আগুনের পর দরজা খুলে রাখলে চুরি হতে পারে? এখানে সেটাই হয়েছে। এখানে এত এত গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখা ছিল, কিন্তু সেই তুলনায় নিরাপত্তা ছিল না কেন? ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় চুরি হতে পারে, সেখানে তো নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা। সচিবালয়ে তো লোকাল গার্ড ছিল, নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে অবিলম্বে কে কে ছিল, কে ঢুকেছিল, কে বের হলো, সেটা বের করে আসল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনস বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, রিমোট কন্ট্রোলে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে কি না সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। এদিকে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছেন সচিবালয়ে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তারা বলছেন, নাশকতা বিবেচনায় গুরুত্বসহ তদন্ত হোক। তাদের দাবি এটি কারা করল? নাকি অন্য কিছু আছে একেবারেই সঠিক তদন্ত হোক। তারা বলছেন, তবে যারা তদন্ত কমিটিতে আছেন, তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের রাখা দরকার।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যখন আগুন লাগে, প্রায় সোয়া ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিট।
আপনার মতামত লিখুন :