রাজতন্ত্রী দেশের শাসককে সাধারণত রাজা বলে। রাজা শব্দের প্রতিশব্দ শাহ, সুলতান, সম্রাট, নবাব ইত্যাদি। রাজারা সাধারণত বংশানুক্রমিকভাবে শাসন করার সুযোগ পান। শাসনের এই প্রথা প্রায় সাত-আট হাজার বছর আগে সূচনা হয়।
বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বের অনেক দেশেই রাজতন্ত্র বা অলংকারিক পদ হিসেবে রাজা-রানীর পদটি টিকিয়ে রাখা হয়েছে। সেসব দেশের মধ্যে যেমন- সৌদী আরব, যুক্তরাজ্য, মরক্কো, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, স্পেন, নেদারল্যান্ড অন্যতম।
অর্থ-সম্পদে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা কে জানেন? কেউ হয়তো বলবেন সৌদি আবরের রাজা আবার কেউ বলবেন ইংল্যান্ডের রাজা। আসলে কিন্তু তা মোটেই তা নয়। বিশ্বের ধনীতম রাজার সম্পত্তির পরিমাণ কিন্তু সোদি বা ইংল্যান্ডের রাজার থেকেও বেশি।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন হলেন বিশ্বের ধনীতম রাজা। তাঁর থেকে বেশি ধনী রাজা বর্মতানে আর কেউ নেই।
২০১৯ সালে বাবার মৃত্যুর পরে সিংহাসনে বসেন তিনি। রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন দশম রাম হিসাবেও পরিচিত। একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ লাভ করেন থাইল্যান্ডের রাজা। রিয়েল এস্টেট, সিমেন্ট কোম্পানি, ব্যাংক অব থাইল্যান্ডে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে।
থাইল্যান্ডের রাজার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম চর্চা হয় না। জানা যায়, একাধিক নারীকে বিয়ে করেছেন তিনি। নামজাদা অভিনেত্রী এমনকি বোনকেও বিয়ে করেছেন মহা ভাজিরালংকর্ন।
ইতোমধ্যে চারবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন থাইল্যান্ডের এই রাজা। ১৯৭৭ সালে প্রথম বোনকে বিয়ে করেন তিনি। তারপর এক অভিনেত্রীর সঙ্গে গাটছড়া বাঁধেন। এর পর ২০০১ এবং ২০১৯ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মহা ভাজিরালংকর্ন।
থাইল্যান্ডের রাজার শিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায়। পেশায় একজন ফাইটার পাইলট মহা ভাজিরালংকর্ন। থাইল্যান্ড সেনার হয়েও কাজ করেছেন।
মহা ভাজিরালংকর্নের বাবাও ছিলেন অত্যন্ত বিত্তবান ব্যক্তি। ২০১১ ফোর্বস ধনীতম রাজাদের তালিকায় একদম উপরে ছিলেন মহা ভাজিরালংকর্ন বাবা রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ।
আপনার মতামত লিখুন :