ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
প্রকাশনা শিল্পে অস্থিরতা

আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় ২০ লাখ পরিবার

উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১০:৩৯ এএম

আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায়  ২০ লাখ পরিবার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সাবেক আওয়ামী সরকার প্রবর্তিত নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই তৈরির জন্য আগের দরপত্র বাতিল ও বই পরিমার্জনসংক্রান্ত নানা কাজের জন্য চলতি শিক্ষাবর্ষের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই ছাপার কাজ প্রায় তিন মাস পিছিয়ে শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। এর ফলে ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসজুড়ে অন্যান্য প্রকাশনা যেমন- স্কুল এবং মাদ্রাসা পর্যায়ের গ্রামার, ব্যাকরণ, সৃজনশীল অনুশীলন বই, ইসলামি ধারার বই ছাপার কাজ শুরু করতে পারেনি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো।

এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে আসন্ন অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে এ সময় সৃজনশীল বইয়ের প্রকাশনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে প্রেসগুলো। কিন্তু এনসিটিবির বই ছাপতে দেরি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে এসব বইয়ের ওপরও। এতে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের বইমেলায় নতুন বই কম আসতে পারে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

এনসিটিবির বই, বইমেলার সৃজনশীল বই ও অন্যান্য বইয়ের প্রকাশনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, যৌক্তিক পরিবর্তনের জন্য পাঠ্যবই ছাপতে দেরি হওয়ায় প্রকাশনা শিল্পে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। 

বছরের এ সময়টি নানা ধরণের বইয়ের চাহিদায় বিক্রির মৌসুম থাকে জমজমাট। কিন্তু বই ছাপতে না পারায় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। এতে প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িত ২০ লাখ পরিবার তাদের আর্থিক ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। তবে এত সমস্যার পরও অন্তর্বর্তী সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সব বই দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, প্রতিবছর এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু হয় জুলাই-আগষ্ট মাসে। চলতি শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার জন্য দরপত্রও গতবছরের প্রায় একই সময়ে শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কারিকুলাম বাতিল হওয়ায় বই ছাপার জন্য আগের দরপত্র বাতিল করে পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ বই ছাপার প্রক্রিয়া শুরু করতে অনেক সময় চলে যায়।

ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন দুই-তিনটির বেশি বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। বাকি বইগুলো পেতে কত সময় লাগবে সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি এনসিটিবি। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। 

গতকাল সোমবার পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ইরাব) নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ তথ্য জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।

এদিকে পাঠবই বিতরণকে কেন্দ্র করে প্রকাশনা শিল্পে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতার বিষয়ে একমত পোষণ করে এনসিটিবির নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র বলেছে, প্রায় সব বই ছাপার মৌসুম একই সময় হওয়ায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। 

পাঠ্যবইয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ১৩ কোটি বই ছাপা হয়েছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে কত বই পৌঁছানো হয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ সব বই পেতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা বেশ কিছু প্রেসকে বই ছাপার জন্য ডেডিকেটেড করে দিয়েছি।

কর্মকর্তারাও নিয়মিত মনিটরিং করছেন। চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৪০ কোটি বই ছাপছে এনসিটিবি। গতকাল পর্যন্ত হয়েছে ১৩ কোটি। অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম। তাই শিক্ষা উপদেষ্টার তথ্য অনুযায়ি সব বই শিক্ষার্থীদের দিতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।

এদিকে এনসিটিবির বই ছাপা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এবার ডিসিদের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই ছাপা জানুয়ারি মাসজুড়ে চলবে। 

এ সময় বই ছাপার কাজে নিযুক্ত প্রেসগুলোতে যেন নোট ও গাইড বই, ডায়েরি, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি ছাপতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য বলা হলো। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম ও সমমান শ্রেণির বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর আগে সব ধরনের সহায়ক বই বা নোট-গাইড ছাপা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সরকারের এই উদ্যোগের পাশাপাশি বই বিতরণ কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা করে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। পরে ১ জানুয়ারি এক চিঠিতে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি সদস্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বইসমূহ মুদ্রণ, প্রকাশ ও বাজারজাত না করার অনুরোধ জানায়। 

গত ৩১ ডিসেম্বর পাঠ্যপুস্তক ও সৃজনশীল অনুশীলনীমূলক পুস্তক স্ট্যন্ডিং কমিটির সভায় সদস্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বই মুদ্রণ, প্রকাশ ও বাজারজাত করার সময় পরবর্তীতে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। 

সমিতির নির্দেশনা মতে, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান সমিতির নির্দেশনার আগে বই বাজারজাত করে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সমিতির সংঘবিধি ও নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। 

অন্যদিকে বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতিও তার সদস্যদের প্রতি এক নির্দেশনায় এনসিটিবির পাঠ্যবইয়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো বই বাঁধাইয়ের কাজে যুক্ত না হওয়ার কথা জানায়। ফলে মৌসুমের একটি দীর্ঘ সময় ধরে পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বই মুদ্রণ, প্রকাশ ও বাজারজাত করা বন্ধ রয়েছে।

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে এই সমিতির সদস্য রয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার। আরও প্রায় ১০ হাজার সমিতির সদস্য হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রকাশনা শিল্পের পুরোটাই প্রায় রাজধানীনির্ভর। 

তবে বগুড়া থেকে কিছু প্রকাশনা বের হয়। বই মুদ্রণ, প্রকাশ ও বাজারজাত করার সঙ্গে প্রায় বিশ লাখ পরিবার জড়িত বলে আনুমানিক ধারণা। এর মধ্যে রয়েছে, মালিক-প্রকাশক, প্রেস, বাইন্ডার ও মুদ্র্রণের সঙ্গে জড়িত একাধিক পেশাজীবী, সারা দেশে বই বিক্রির জন্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লাইব্রেরি ও এতে কর্মরত কর্মচারী।

সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে কিন্ডারগার্টেন, স্কুল এবং মাদ্রাসার গ্রামার, বাংলা ব্যাকরণ ও  সৃজনশীল নানা অনুশীলন বই ও জবস বই কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাহিদা ব্যাপক থাকায় সব লাইব্রেরিরই ব্যবসা ভালো হয়। 

এসব বইয়ের বাইরে রোজার মাসে ইসলামিক ধারার বইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এর বাইরে ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে সৃজনশীল বই ছাপার জন্য প্রেস ও বাঁধাইকারকদের ব্যাপক ব্যস্ততা থাকে। কিন্তু চলতি বছর এনসিটিবির বই ছাপায় দেরি হওয়ায় উল্লেখিত বইগুলোর মুদ্রণ, প্রকাশ ও বাজারজাত বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন এ খাতের প্রায় ২০ লাখ পরিবার।

মুদ্রণ, প্রকাশ ও বাজারজাত বন্ধ থাকলেও উল্লিখিত বইগুলো প্রকাশের জন্য নির্দিষ্ট মানের কাগজ পাওয়াও একটি বড় সমস্যা হয়ে ওঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি ও পুস্তক প্রকাশ ও ব্যবসায়ি সমতির দুই সদস্য জানান, পাঠ্যবই তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় প্রায় দেড় লাখ টন কাগজ।

বেসরকারি প্রকাশনার বইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৫০ হাজার টন নিউজপ্রিন্ট কাগজ এবং ফেব্রুয়ারির বইমেলার জন্য প্রয়োজন হয় প্রায় দেড় হাজার টন কাগজ। দেশের প্রায় ৩০টি কাগজ মিলের মধ্যে ৩-৪টি ছাড়া সব মিলই পাঠ্যবইসহ সব বই ছাপার কাগজ তৈরি করে। কিন্তু বর্তমানে পাঠ্যবই ছাপার কাগজ উৎপাদনে ব্যস্ত থাকায় অন্য বই ছাপার কাগজ উৎপাদন ভাটা পড়েছে। 

এ ছাড়া বই বাঁধাইয়ের জন্য বাঁধাই সমিতির সদস্য রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। এই দেড় হাজার সদস্যের আওতাধীন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বাঁধাইকারকদের প্রায় সবাই পাঠ্যবই উৎপাদনের কাজে চরম ব্যস্ত।

কিন্তু এনসিটিবির বইয়ের কাজ করার পারিশ্রমিক কম ও সারা বছর থাকে না। তাই তাদের বেসরকারি প্রকাশকদের বইয়ের কাজের ওপরই অনেকটা নির্ভর করতে হয়। কিন্তু চলতি বছর পাঠ্যবইয়ের দেরির কারণে সমস্যায় পড়েছেন এই খাতের সংশ্লিষ্টরা।

পাঠ্যবই দেরির কারণে অন্যান্য বইয়ের কাজ আটকে যাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ক্ষতি হলেও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এটি মেনে নিতেই হবে। 

আমরা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করতে চাই। এ জন্য গত কয়েকদিন আগে আমি এনসিটিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে বলেছি, যেকোনো ধরনের সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।  দেশে একটা বিপ্লব হয়েছে, এ বছরই হয়তো কষ্ট হবে, তাপরপর ঠিক হয়ে যাবে।

পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান খান কচি বলেন, বাঁধাইয়ের কাজটা আসলে প্রেসের। কারণ এনসিটিবির সঙ্গে চুক্তি করে প্রেসগুলো। প্রেসগুলো পারিশ্রমিক কম দেয় আবার বকেয়াও পড়ে থাকে। তা ছাড়া এনসিটিবির কাজও একটি নির্দিষ্ট সময়ের। তাই বেসরকারি প্রকাশকদের কাজ দিয়েই আমাদের সারা বছর চলতে হয়। 

এত সমস্যার পরও অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে অন্য বইয়ের কাজ বন্ধ রেখে পাঠ্যবইয়ের কাজ করছি। তিনি আরও জানান, সাধারণত এনসিটিবির বই ও অন্যান্য বইয়ের ছাপার সময়সীমার মধ্যে তিন মাসের একটা গ্যাপ থাকত। ফলে সব বইয়ের কাজই কমবেশি করা সম্ভব হতো। কিন্তু এবার পাঠ্যবইয়ের কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির পাঠ্যবইয়ের কাজ করেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় ইংরেজি গ্রামার বই ছাপেন এমন একটি প্রকাশনার প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, পাঠ্যবই ছাপার কারণে গ্রামার বই ছাপার কাজ শুরুই করতে পারেননি। কবে শুরু করতে পারবেন সেটাও নিশ্চিত নয়। তাই বছরের শুরুতে জনপ্রিয় এই গ্রামার বইটি পাওয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের।

অন্যদিকে লেকচার পাবলিকেশন্সের বাংলা প্রকাশ, বেঙ্গল বুকস ও কিন্ডার গ্রুপস সৃজনশীল বই নিয়ে অমর একুশের বইমেলায় অংশ নেয়। এই প্রকাশনীর কর্মকর্তা আজহার বিন ফরহাদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সৃজনশীলসহ সব বই ছাপার কাজ আটকে আছে। ফলে বই মেলায় এর প্রভাব পড়তে পারে। পাঠ্যবই ছাপার চাপ থাকায় প্রেস কাজ নিতে চাচ্ছে না। 

অন্যদিকে বাঁধাইকারকদেরও সীমাবদ্ধতা থাকায় তাদেরও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যান্যবার বইমেলায় এই প্রকাশণীর প্রায় একশত নতুন বই প্রকামের ইতিহাস থাকরেও এবার তা অর্ধেক কমে যেতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা। 

একই ধরনের সমস্যার কথা উল্লেখ করে দিগদর্শন প্রকাশনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার মাত্র দুই থেকে তিনটি বই নিয়ে বইমেলায় অংশ নিচ্ছেন তারা। আগে কম করে হলেও ২৫ থেকে ৩০টি নতুন বই প্রকাশ করতেন তারা। একই অবস্থা পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর। ইতিপূর্বের বইমেলায় প্রায় শতাধিক নতুন বই নিয়ে বইমেলায় অংশ নিলেও এবারের মেলায় মাত্র ২০টি নতুন বই আসছে। অন্যদিকে মেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে একটি খ্যাতনামা প্রকাশনী সংস্থা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রকাশনীর নির্বাহী জানিয়েছেন, নানা কারণে এবার তাদের প্রকাশিত নতুন বইয়ের সংখ্যাও কমেছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!