শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে দেড় কোটি টাকার পণ্য পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কাস্টমস এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার চোখ ফাঁকি দেওয়া যায়নি। তাদের দ্রুত তৎপরতায় বড় অঙ্ক মূল্যের এই পণ্য ধরা পড়ে যায়।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের অবকাশের পর ঢাকা কাস্টম হাউসের কুরিয়ার ইউনিটের মূল ফটক দিয়ে আট ট্রলি পণ্য পাচারের চেষ্টা করেছিল ভাগিনা বলে খ্যাত মোখলেসুর রহমানের লোকজন। খবর পেয়ে কাস্টমস এবং দায়িত্বশীল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে ওই আট ট্রলি পণ্য আটক করেন। ধরা পড়ে ভাগিনা মোখলেসের লোকজন।
আটককৃত ট্রলিগুলোতে কী কী পণ্য ছিল, তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। কারণ সন্ধ্যার পর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রলিগুলো অবমুক্ত করা হয়নি। খোলা হয়নি কোনো বক্স। তবে প্রত্যক্ষদর্শী কারো কারো মতে, বক্সগুলোতে অবশ্যই সোনা থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, ঢাকা কাস্টম হাউসের কুরিয়ার ফটক দিয়ে পণ্য পাচারের ঘটনা নতুন নয়। ইতিপূর্বে প্রায়শই নানা মূল্যবান পণ্যসামগ্রী অবলীলায় পাচার হয়ে যেত। ধারণা করা হয়, পণ্যগুলো কাস্টম হাউসের গুদাম থেকে সুকৌশলে বের করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হতো। সব সময় তা ছিল অধরা।
তবে মাঝে-মধ্যে ধরা পড়লে পণ্যের পরিমাণ এবং পরিচয় কখনো প্রকাশ করা হতো না। প্রকাশ করা হতো না পাচারকারীর নাম-ঠিকানা। কখনো আবার কাস্টমসের ভেতরেই ভূত থাকত। তারা সহজেই তা হজম করে ফেলত। এবারই প্রথম ট্রলি এবং পাচারকারী বমাল ধরা পড়ল। এর কারণ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি।
জানা গেছে, এই আট ট্রলি পণ্য পাচারের হোতা ভাগিনা বলে খ্যাত মোখলেসুর রহমান। তিনি রাইদুল, বাশার, কালা ফরিদ প্রমুখের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। কাস্টমসের সাবেক এডিসি মাহবুবুর রহমান অফিস আদেশের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু তা সঠিকভাবে প্রতিপালিত হয়নি বলে গতকালের এ ঘটনা ঘটল।
আপনার মতামত লিখুন :