ঢাকা: চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রায় ৩ কোটি নিম্নমানের বিনামূল্যের পাঠ্যবই তৈরি বাবদ শতকোটি টাকা গচ্চার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বই মুদ্রণ ও বিতরণের কাজ পাওয়া প্রায় ১২-১৩টি প্রেসের বিরুদ্ধে নিম্নমানের এসব বই সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, এসব বই ছাপায় প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বই মুদ্রণ ও বিতরণের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী না করে প্রেসগুলো ‘অতি নিম্নমানের’ কাগজে বই তৈরি করায় ব্যয়িত পুরো টাকাই গচ্চা গেছে। বই তৈরিতে এনসিটিবির শতকোটি টাকা গচ্চা গেলেও প্রেসগুলো ঠিকই অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে। এনসিটিবির গাফিলতিই প্রেসগুলোকে এমন সুযোগ দিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তবে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানতে নারাজ। তাদের ভাষ্য, এনসিটিবি ‘তৃতীয় পক্ষ’ হিসেবে ইন্সপেকশন এজেন্ট নিয়োগ করে বই মুদ্রণের কাজ তদারকি করে।
রূপালী বাংলাদেশের অনুসন্ধানে এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এনসিটিবিকে দেওয়া অনুমোদনহীন কাগজে বই ছাপার অভিযোগের প্রায় ১২-১৩টি চিঠি রূপালী বাংলাদেশের হাতে রয়েছে।
জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৩০ কোটি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছে এনসিটিবি। এর মধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মাধ্যমিক, দাখিল, ইংরেজি ভার্সন, কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, দাখিল ভোকেশনাল ও ব্রেইল বইসহ প্রায় ২১ কোটি বইয়ের কাজ করেছে ৮২টি প্রেস।
বইয়ের মুদ্রণ ও বিতরণ কাজ তদারকির জন্য এনসিটিবির নিয়োগ করা তৃতীয়পক্ষ প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) এজেন্ট ‘অনুমোদনহীন নিম্নমানের কাগজে’ ১২-১৩টি প্রেসের বই ছাপার বিষয়ে বারবার অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়।
সূত্রের দাবি, বইয়ের ছাপার কাজ শুরুর প্রথম দিকে পিডিআই এজেন্টের অভিযোগের বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও নতুন বছর আসার সময় যত কাছাকাছি হয়েছে ‘সময় কম, বছরের প্রথম দিন বই দিতে হবে’Ñ উপরের তথা সাবেক সরকারের এমন নির্দেশনার অজুহাতে ব্যবস্থা নিতে চায়নি এনসিটিবি। পাশাপাশি পিডিআই এজেন্টকে এ বিষয়ে ‘বেশি দেখতে হবে না’ ধরনের অলিখিত নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল।
নতুন বছর আসার আগে নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে নিম্নমানের এসব বই সরবরাহের ঘটনা ঘটে। মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মধ্যে অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই-ই বেশি নিম্নমানের হয়েছে। সূত্রের দাবি, অভিযোগগুলোর বিষয়ে যেহেতু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো এসব প্রেসের ছাপানো সব বই-ই নিম্নমানের ছিল। অভিযোগ পেয়েও যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বই গ্রহণ করে এনসিটিবি গচ্চা দিয়েছে শতকোটি টাকা। শিক্ষার্থীরা পেয়েছে নিম্নমানের বই। তবে প্রেসগুলো ঠিকই হাতিয়ে নিয়েছে অতিরিক্ত মুনাফা।
সূত্রের দাবি, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানোর অভিযোগের বিষয়ে এনসিটিবিকে চিঠি দেওয়া হলে তা জানতে পেরে অভিযুক্তরা ইন্সপেকশন এজেন্টের লোকদের হুমকিও দেয়। হুমকির বিষয়টি এনসিটিবিকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে অভিযুক্ত প্রিন্টার্সরা নিম্নমানের বই ছাপাতে আরও উৎসাহিত হয়েছে বলে ক্ষোভ সূত্রের।
অন্য প্রেসগুলো কী ভালো বই দিয়েছে- এ প্রশ্নের উত্তরে সূত্রের দাবি, এনসিটিবি অভিযোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ও ‘সময় কমে’র নির্দেশনা থাকায় এ বিষয়ে আর মনোযোগ দেওয়া হয়নি। তবে এনসিটিবি ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিম্নমানের বই দিতে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎসাহী হওয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করে সূত্র।
অভিযোগের বিষয়ে এনসিটিবির নিয়োগ করা ইন্সপেকশন এজেন্ট শেখ ট্রেডিং অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিসেসের স্বত্বাধিকারী রাফি মাহমুদ (বিপ্লব) স্বাক্ষরিত ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বরের একটি চিঠিতে (স্মারক নং-এসটিআইএস/এনসিটিবি... নিম্নমান/২০২৪/২০২৩/১৮১২) বিষয়ের প্রসঙ্গে জানানো হয়, ‘কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়া (নিম্নমানের) কাগজ দ্বারা... (‘ন’ আদ্যাক্ষরের একটি প্রেস)-এর পাঠ্যপুস্কক মুদ্রণ প্রসঙ্গে’- চিঠির মূল বিষয়ে জানানো হয়, ‘সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ২৫ ডিসেম্বর তারিখে কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়া (নিম্নমানের) কাগজ দ্বারা মাধ্যমিক স্তরের নবম শ্রেণির কিছুসংখ্যক পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ/বাঁধাই করার সময় আমাদের পরিদর্শক দলের নিকট ধরা পড়ে। পরিদর্শক দল নিম্নমানের কাগজে মুদ্রণকৃত বইয়ের ফর্মা সংগ্রহ করে। প্রেসটির এই জাতীয় কার্যকলাপের কোনো দায়ভার শেখ ট্রেডিং অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস বহন করবে না মন্তব্য করে ওই প্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়। চিঠির কপি এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) ও সচিবকেও পাঠানো হয়।
২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর এনসিটিবির সদস্যের (পাঠ্যপুস্তক) কাছে ইন্সপেকশন এজেন্টের আরেকটি চিঠিতে (স্মারক নং-এসটিআইএস/এনসিটিবি/...নিম্নমান/২০২৪/২০২৩/৮৪৮) নিম্নমানের কাগজে বই ছাপার অভিযোগ করা হয়। চিঠির মূল অংশে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর অনুমোদন ছাড়া (অতি নিম্নমানের) ৭০ জিএসএমের স্থানে ৫৭ জিএসএমের (নিউজ প্রিন্ট জাতীয়) কাগজ দ্বারা...(‘শ’ আদ্যাক্ষরের একটি প্রেস)-এর ষষ্ঠ শ্রেণির বই মুদ্রণের সময় পরিদর্শক দলের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। ইন্সপেকশন সার্ভিসেস এই জাতীয় কাজের দায় নিবে না জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
ওই দুটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৭ লাখ বইয়ের কাজ করেছে। এর বাইরে ‘স’ আদ্যাক্ষরের ৩টি এবং ‘র’, ‘উ’ ‘অ’ ‘হ’ ‘ব’ ও ‘ট’ আদ্যাক্ষরের প্রেসসহ আরও দুটি প্রেস রয়েছে। সবমিলিয়ে ১২-১৩টি প্রতিষ্ঠানের কাজ করা বইয়ের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। সর্বোচ্চ দেড়কোটি বইয়েরও কাজ করেছে একাধিক প্রতিষ্ঠান।
নিম্নমানের এসব বই গ্রহণের সময় দায়িত্বে ছিলেন এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, বইয়ের কাজ তদারকির জন্য এনসিটিবি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ইন্সপেকশন এজেন্ট নিয়োগ দেয়। এজেন্টের কাজ হচ্ছে অনিয়ম দেখলে বন্ধ করে দেওয়া। এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
এ ছাড়া আমরা তখন এজেন্টের মাধ্যমে কিংবা আমাদের মনিটরিং কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে অনিয়মের খবর পেলেই সরেজমিনে গিয়ে প্রচুর বই নষ্ট করেছি। দায়িত্বে থাকাকালে আমি সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ওই সময় এনসটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) ছিলেন প্রফেসর লুৎফর রহমান। নিম্নমানের বইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আমি দায়িত্বে ছিলাম। এই সময়ে আমি এ জাতীয় যত অভিযোগ পেয়েছি তার সবই ব্যবস্থা নিয়েছি।
এদিকে নিম্নমানের বই নিয়ে এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিষয়ে রূপালী বাংলাদেশের কাছে দ্বিমত পোষণ করেছেন পিডিআই এজেন্ট শেখ ট্রেডিং অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিসেসের স্বত্ব¡া ধিকারী রাফি মাহমুদ (বিপ্লব)। তিনি বলেন, এনসিটিবির সঙ্গে আমাদের নিয়োগের চুক্তি অনুযায়ী কোনো প্রেসের কাজ বন্ধ করা বা নষ্ট করার কোনো এখতিয়ার আমাদের নেই। আমাদের দায়িত্ব অনিয়মের বিষয়ে এনসিটিবিকে জানানো। এনসিটিবি নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই। এনসিটিবি কোনো নির্দেশনা দেয়নি, তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগের চিঠিতে শুধু কাগজের জিএসএমের কথা উল্লেখ রয়েছে, ব্রাইটনেসের বিষয়ে কিছু বলা নেই কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাফি মাহমুদ (বিপ্লব) বলেন, চিঠিতে ‘অতি নিম্নমানের’ কথা বলা হয়েছে, অতি নিম্নমান বললে জিএসএম ও ব্রাইটনেসসহ সব প্যারামিটারই কাভার করে। তিনি আরও বলেন, নিম্নমানের বই ছাপার বিষয়ে শুধু চিঠি নয়, মৌখিকভাবেও অনেকবার বলেছি, আমার জায়গা থেকে ভালো করার জন্য সব চেষ্টা করেছি।
নিম্নমানের বইয়ের বিষয়ে প্রায় একই রকম মন্তব্য করেছেন পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন (পিএলআই) এজেন্ট শেখ বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা বই পেয়েছি শেষ মুহূর্তে। ভালো-মন্দের বিষয়ে জানিয়েছি। উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভালো প্ল্যাটফর্ম না হলে কাজও ভালো হয় না।
এ বিষয়ে এনসিটিবির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ. কে এম রিয়াজুল হাসান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বই ছাপার বিষয়ে আইনের কোনো ব্যত্যয় হলে ও এনসিটিবির কারও কোনো দায় থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে এবার ইন্সপেকশনের এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি ইন্সপেকশন এজেন্টদের প্রেসের সঙ্গে কোনো অনৈতিক যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, বই ছাপানোর ক্ষেত্রে কাগজ ও ব্রাইটনেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মূলত এই দুই উপাদানের ওপরই বইয়ের গুণগত মান নির্ভরশীল। বই মুদ্রণের সর্বোচ্চ খরচও এই দুই উপাদানেই লাগে। বই ছাপানোর ক্ষেত্রে সবমসয় ৮৫ ব্রাইটনেস ও ৭০ জিএসএমের কাগজ ব্যবহার করা হলেও চলতি বছরের বইয়ে প্রথম ব্রাইটনেস কমিয়ে ৮০ শতাংশ করা হয়।
চলতি শিক্ষাবর্ষে এনসিটিবির শর্ত ছিল ৭০ জিএসএম কাগজে ৮০ শতাংশ ব্রাইটনেসে চার রঙে পাঠ্যবই ছাপতে হবে। কিন্তু উল্লিখিত প্রেসগুলো এই শর্ত ভঙ্গ করে পাঠ্যবই মুদ্রণ করেছে। ফলে প্রেসগুলো অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিলেও শিক্ষার্থীরা পেয়েছে নিম্নমানের বই।
প্রেসগুলোর মুনাফার বিষয় বোঝাতে উদাহরণ দিয়ে সূত্র জানায়, ধরে নেই গত বছর ৮০ জিএসএমের এক টন কাগজের দাম ছিল ৮০ হাজার টাকা। কোনো প্রেস যদি ৮০ জিএসএমের পরিবর্তে ৬০ জিএসএম কাগজ দেয় তাহলে টনপ্রতি ওই প্রেসের প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কম লাগে। এর বাইরে ব্রাইটনেস কম দিলেও খরচ কমার বিষয় রয়েছে।
এখন কোনো প্রেস যদি সর্বনিম্ন একটি লটেরও কাজ পায়, সেক্ষেত্রে ওই কাজ ওঠানোর জন্য ১০০ থেকে ১২০ টন কাগজের প্রয়োজন হবে। প্রতি টনে যদি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা মার্জিন থাকে তাহলে ১০০ থেকে ১২০ টনে মার্জিন থাকবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। এর বাইরে ব্রাইটনেসের ওপরও মার্জিনের বিষয় রয়েছে।
প্রতি বছর সারা দেশের শিক্ষার্থীর চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বই উৎপাদন ও বিতরণ করে এনসিটিবি। প্রাথমিক স্তরে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়ভাবে এবং মাধ্যমিক স্তরে স্থানীয়ভাবে টেন্ডার আহ্বান করে এনসিটিবির প্রাক্কলিত দরের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রিন্টার্সদের (মুদ্রণকারী) মাধ্যমে বই উৎপাদন ও বিতরণের কাজ সম্পন্ন করে।
বই মুদ্রণ ও বিতরণ কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য এনসিটিবি ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে পিডিআই এজেন্ট ও পিএলআই এজেন্ট নিয়োগ দেয়। এই এজেন্টরা এনসিটিবির পক্ষে বই মুদ্রণ ও বিতরণের কাজ তত্ত্বাবধান করেন। এর বাইরে এনসিটিবি নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনিটরিং টিমের মাধ্যমেও বইয়ের কাজ তদারকি করা হয়। তারপরও নিম্নমানের বই গ্রহণ করে শতকোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে এনসিটিবি।
২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করছে এনসিটিবি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৪০ কোটি বই দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে কাজ করছে এনসিটিবি।
আপনার মতামত লিখুন :