ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সবচেয়ে বড় আবাসিক প্রকল্প হলো পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প। এর উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৮২ কোটি টাকায়। এ প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মাটি ভরাটের নামে অর্থ আত্মসাৎ, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ডিপিএম পদ্ধতিতে মালামাল ক্রয়, ওয়াটার সাপ্লাই কাজে অতিরিক্ত ব্যয় করা এবং সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের নামে অর্থ লোপাট করা হয়েছে। এ ছাড়া লে-আউট পরিবর্তন করে সাবেক প্রধান প্রকৌশলীসহ কয়েকজনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শুধু পূর্বাচল প্রকল্পের দুর্নীতির নয়, সংস্থাটির উত্তরা আবাসিক ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ, নথি গায়েবসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সংস্থাটির ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, ইমারতের নকশা অনুমোদন, ফ্ল্যাট-প্লটের নামজারি, অকোপেনসি সনদসহ সব ধরনের কাজেই সেবাগ্রহীতাদের ঘুষ হিসেবে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। সেবাগ্রহীতার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেও হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। এর সঙ্গে রয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। দুদকের একাধিক টিম এসব অভিযোগের অনুসন্ধান-তদন্ত করছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে রাজউক, সিটি করপোরেশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অফিস ও ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক।
দুদকে পাওয়া অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মাটি ভরাটের নামে অর্থ আত্মসাৎ, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ডিপিএম পদ্ধতিতে মালামাল ক্রয়, ওয়াটার সাপ্লাই কাজে অতিরিক্ত ব্যয় করা এবং সড়ক ও ড্রেন নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। লে-আউট পরিবর্তন করে প্রকল্পের সাবেক পিডি ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. উজ্জল মল্লিককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়াকে প্রধান করে ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। দুদকের অনুসন্ধান টিম অনুসন্ধানের স্বার্থে পূর্বাচল প্রকল্পের অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে গত ২৯ মে রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে। এ অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। এর বাইরে পূর্বাচল প্রকল্পের গাছপালা ও ঘরবাড়িসহ সম্পত্তির লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের আরও একটি অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন উপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান।
গোল্ডেন মনিরের ৫০০ কোটি টাকার প্লট দখল : স্বর্ণ চোরাচালান করে রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় ৪১টি প্লট দখল করেছেন। এসব প্লটের বাজারমূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে গোল্ডেন মনির রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় ৪১টি প্লট তার ও স্ত্রীর দখলে রাখাসহ আরও কয়েকটি প্লট হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন।
তিনি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গোল্ডেন মনিরের দখলে থাকা প্লটের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মে রাজউক থেকে গোল্ডেন মনিরের দখলে থাকা ৩১টি প্লটের বিস্তারিত দুদকে পাঠানো হয়।
রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গোল্ডেন মনির, তার স্ত্রীর নামে এখন পর্যন্ত ৩১টি প্লটের মালিকানা অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। সব প্লট রাজউকের বাড্ডা পুনর্বাসন আবাসিক প্রকল্পের প্লট। এর বাইরে রাজউকের উত্তরা আবাসিক প্রকল্প, বারিধারা আবাসিক প্রকল্প ও পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে কোনো প্লট আছে কি না তার অনুসন্ধান চলমান।
১৬ কর্মচারীর অঢেল সম্পদের অনুসন্ধান: রাজউকের ১৬ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের একটি টিম এ অনুসন্ধান করছে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক জেসমিন আক্তার ও মো. তানজিব হাসিব সরকার।
দুদকের টিম অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযুক্ত ১৬ জনকে গত ১২ এপ্রিল দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন- অফিস সহকারী জাফর সাদিক, উত্তরা জোনের তত্ত্বাবধায়ক এম এ বায়েজিদ খান, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আবদুল মোমিন, নকশাকার এমদাদ আলী, সার্ভেয়ার মাসুম বিল্লাহ, সুপারভাইজর খালেদ মোশাররফ তালুকদার রুবেল, বেঞ্চ সহকারী বাসার শরীফ, নিম্নমান সহকারী ইউসুফ মিয়া, অফিস সহকারী বেলাল হোসেন চৌধুরী, নকশাকার শহীদুল্লাহ বাবু, কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী মোহাম্মদ হাসান, নকশাকার শেখ ফরিদ ও রেকর্ডকিপার মো. ফিরোজ।
কম দামে প্লট বিক্রি : রাজউকের উত্তরা এলাকার ৪০০ কোটি টাকার বাণিজ্যিক প্লট নিলামে বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ জমা হয়েছে দুদকে। কমিশন অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন উপপরিচালককে দায়িত্ব দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর উত্তরা এলাকার ৪ কাঠা আয়তনের ১টি, ১০ কাঠা আয়তনের ৯টি এবং ২০ কাঠার ১৩টিসহ মোট ২৩টি প্লট নিলামে বিক্রি করে রাজউক। এর মধ্যে ১০ কাঠা আয়তনের ৫টি এবং ২০ কাঠা আয়তনের ৬টিসহ মোট ১১টি প্লট বিক্রি করা হয় একক দরে।
তথ্য বলছে, উত্তরা এলাকার ২৩টি বাণিজ্যিক প্লট প্রায় ১ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ১২টি (১টির ৪ কাঠা, ৬টি ১০ কাঠা ও ৬টি ২০ কাঠা আয়তন) প্লট প্রতিযোগিতামূলক দরে বিক্রি হয় ৫৭২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার ২০ টাকায়। আর ১১টি (৫টি ১০ কাঠা ও ৬টি ২০ কাঠা আয়তন) প্লট একক দরে ৪০৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬৯ হাজার ২১০ টাকায় বিক্রি করা হয়। একক দরের প্লটগুলো গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে বিক্রি করেন রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা। এতে সরকারের ১০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হলেও তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সার্ভার থেকে ৩০ হাজার নথি গায়েব: রাজউকের সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার নথি গায়েব হয়ে যায়। এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাজিব হাসানের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের একটি টিম। অনুসন্ধান টিম নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তরে চিঠি দিয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধান টিমের এক সদস্য জানান, হাইকোর্টের একটি সুয়োমটো রুল আদেশের ভিত্তিতে রাজউকের সার্ভার থেকে ৩০ হাজার নথি গায়েব হওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর রাজউকের সার্ভার হ্যাকড হয় এবং ২১ ডিসেম্বর সার্ভার উদ্ধার করা হয়। সার্ভার উদ্ধার করে দেখা যায়, তাতে কোনো নথি নেই।
সার্ভারে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নগর পরিকল্পনা শাখার প্রায় ৮ হাজার ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের আবেদন ও ইমারত নির্মাণ শাখার নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত ২২ হাজারসহ মোট ৩০ হাজার নথি ছিল, যা গায়েব হয়ে যায়। নথিপত্র গায়েব হওয়ার ঘটনা সাধারণ কোনো ঘটনা মনে হয় না। এটি একটি সাবোট্যাজ হতে পারে।
হাজার কোটি টাকার প্লটের নথি গায়েব: রাজউকের বাড্ডার ডিআইটি প্রকল্পের প্লটসহ বিভিন্ন জমি আত্মসাতের চেষ্টাসহ ৭০টি নথি গায়েবের অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর নয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তকাজ এখনো চলমান।
প্লট জালিয়াতির তদন্ত: পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন উপশহর এলাকায় বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে শেরপুর জেলার নকলা থানার চিথলিয়া গ্রামের মো. আব্দুল জলিল আকন্দের স্ত্রী মোসা. জাহানারা বেগমকে গাজীপুরের আদিবাসী কোটায় ৩ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে প্লট গ্রহীতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
২০২২ সালের ২৫ আগস্ট সংস্থাটির উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোসা. জাহানারা বেগম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখার সাবেক সার্ভেয়ার মো. ইউসুফ ফারুক, এসএম হাবিবুর রহমান, রাজউকের পূর্বাচল সেলের সাবেক উপপরিচালক ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম এবং রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন ভূইয়াকে আসামি করা হয়। এখন মামলাটির তদন্ত চলছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের প্লট দখল: রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৭৬ দশমিক ৮৩ কাঠা আয়তনের একটি প্লট ২০১৮ সালে পূর্বাচল কনভেনশন লিমিটেডের নামে সাময়িকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বরাদ্দের বছরখানেক পর রাজউক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্লটটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফেরদৌসী আলম নীলা প্লটটি পূর্বাচল নীলা কনভেনশন লিমিটেডের নামে বরাদ্দ করান। এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি টিম কাজ করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান অলিউলের স্বজনরা পেয়েছেন ৬৩ প্লট: রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ৬৩টি প্লট অ্যাওয়ার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অলিউল ইসলাম (অলি) স্বজনদের নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
দুদকের টেবিলে থাকা অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অলিউল ইসলামের বিরুদ্ধে (ঢাকার এলএ কেস-২/০১-০২, ৩/১০-০২ ও ৭/০১-০২ এর মাধ্যমে) ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও জাল-জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের নামে ৬৩টি প্লট হাতিয়ে নিয়েছেন।
প্রতিটি প্লটের আয়তন তিন কাঠা করে। এসব প্লট যারা পেয়েছেন তারা এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়েছেন। অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান। অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীসহ (বাস্তবায়ন) কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
অন্যান্য অভিযোগ: রাজউকের সমিতি ও কল্যাণ ট্রাস্টকে ১ হাজার কোটি টাকার জমি বরাদ্দ প্রদানের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ ছাড়া সংসদ সদস্য সালাম মুর্শিদীকে বাড়ি দখলের সুযোগ প্রদান, ঘুষ-দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অথরাইজড অফিসার পলাশ সিকদার, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মো. ওবায়দুল্লাহসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান-তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :