মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম

ম্যারাডোনার মৃত্যুর আসল রহস্য কি?

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম

ম্যারাডোনার মৃত্যুর আসল রহস্য কি?

ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তারকার মৃত্যুর চার বছর পর তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ১১ মার্চ।

চলমান এই বিচারকাজে এখন পর্যন্ত নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। যা শুনে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে ফুটবল প্রেমীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরও একটি তথ্য সামনে এসেছে।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তার রক্তে কোনো ধরনের অ্যালকোহল কিংবা মাদকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তিনি মারা গিয়েছেন হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে। মৃত্যুর আগে তার হৃদপিন্ডের আকার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।

সম্প্রতি আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম বুয়েন্স আইরেস টাইসের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। টক্সিকোলজি বিশেষজ্ঞ এজেকিয়েল ভেনতোসির বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলছে, র শরীরে কোকেন, গাঁজা, এমডিএমএ, এক্সট্যাসি, অ্যাম্ফিটামিন বা অ্যালকোহলের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, তার শরীরে পাঁচ ধরনের ওষুধ পাওয়া গেছে, যা মূলত অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিকনভালসেন্ট, অ্যান্টিসাইকোটিক এবং বমি বন্ধের ওষুধের অন্তর্ভুক্ত।

এর আগে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ম্যারাডোনা। তবে তখন ময়নাতদন্তে উল্লেখ করা হয়, ম্যারাডোনা হার্ট ফেইলিওর এবং অ্যাকিউট পালমোনারি ইডিমায় (ফুসফুসে তরল জমে যাওয়া) মারা যান। যদিও তখন তার হৃদপিন্ডের আকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসেনি।

এ নিয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আলেহান্দ্রো এজেকিয়েল ভেগা আদালতে সাক্ষ্য দেন যে, ম্যারাডোনার হৃদযন্ত্রের ওজন প্রায় ৫০৩ গ্রাম ছিল, যেখানে সাধারণত এটি ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে। ময়নাতদন্তে প্রকাশ পায় যে, তার হৃদযন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে ‍‍`ইসকেমিয়ায়‍‍` ভুগছিল, যার অর্থ এটি পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন পাচ্ছিল না। প্যাথোলজিস্ট সিলভানা দে পিয়েরো আরও জানান যে, তার যকৃতে সিরোসিসের লক্ষণ ছিল, কিডনির কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়েছিল এবং ফুসফুস অক্সিজেনের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর ২০২২ সালে একটি মামলা দায়ের করে তার পরিবার। সেই মামলার ভিত্তিতে প্রসিকিউটর ও বিচারকরা ৮ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আবেদন করেছিলেন। যার ২ বছর পর সেই শুনানি শুরু করা হয়েছে।

আরবি/আরডি

Link copied!