সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম

‘যদি মরে যেতাম, তাহলে অনেক সহজ হতো’

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম

‘যদি মরে যেতাম, তাহলে অনেক সহজ হতো’

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ।। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সামনে এনেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ২০২২ সালে মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, তিন বছর আগের প্রাণঘাতী গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি যদি ‘মারা যেতেন’ তাহলে তার জন্য এটি ‘অনেক সহজ’ হতো।

২০২২ সালে টপ গিয়ারের শুটিং চলাকালীন এক মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন এই সাবেক অলরাউন্ডার। সেই দুর্ঘটনায় ফ্লিনটফের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং তার পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়।

৪৭ বছর বয়সী এই সাবেক অলরাউন্ডার সম্প্রতি ডিজনি ডকুমেন্টারি ‘ফ্লিনটফ’-এ প্রথমবারের মতো ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।

ডকুমেন্টারি ফ্লিনটফ বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর মনে হয়েছিল আমার মুখটাই নেই। মনে হয়েছিল, আমি বেঁচে থাকার মতো অবস্থায় নেই। মনে হচ্ছিল, আমি যদি মারা যেতাম, তাহলে হয়তো এত কষ্ট হতো না।’

ফ্লিন্টফ বলেন, ‘আমার মাথায় আঘাত লাগে। আমার মুখ রানওয়ের উপর দিয়ে প্রায় ৫০ মিটার ধরে ঘষটে যায়। তখন আমার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, আমি ভাবছিলাম আমার মুখটাই নেই।’

ঘটনার সময় ফ্লিন্টফ ওপেন-টপড মর্গান সুপার স্পোর্টস কার চালাচ্ছিলেন। এই খোলা ছাদের গাড়িটি ঘণ্টায় ১৩০ মাইল পর্যন্ত যেতে পারে। দুর্ঘটনার সময় তিনি হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন না। চলন্ত অবস্থায় গাড়িটি উল্টে গেলে তার মুখে ও শরীরে গুরুতর আঘাত লাগে এবং একাধিক পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর মনে হয়েছিল আমার পক্ষে এই অবস্থা থেকে উঠে আসা সম্ভব না। এটা শুনতে খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু সত্যি বলতে, তখন আমার মনে হয়েছিল, আমি যদি মরে যেতাম, তাহলে অনেক সহজ হতো। আমি আত্মহত্যা করতে চাইনি, কিন্তু মনে হচ্ছিল মৃত্যুই হয়তো সহজ পথ।’

‘কার্ডিফে সেই দিন সকালে আমার ঘর থেকে বের হতে ১০ বার লেগেছে। আমি খুব উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত ছিলাম।’ যোগ করেন তিনি।

টপ গিয়ার ও ক্রিকেট খেলার সময় পাওয়া আঘাতগুলোর মধ্যে মিল টেনে তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা ও টিভি শো—দুটোই একই রকম। এখানে আপনি শুধু একটি ‘পণ্য’... আমার সঙ্গে মাংসের টুকরোর মতো আচরণ করা হয়েছে বারবার! খেলার সময় যেমন ইনজেকশন দিয়ে মাঠে নামানো হতো, টিভিতেও তেমনই ব্যবহার করা হয়।’

বর্তমানে ইংল্যান্ড লায়ন্স এবং নর্দার্ন সুপার চার্জার্স দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফ্লিন্টফ। তিনি বলেন, ‘আমি আগের মতো হবো না হয়তো, তবে অন্য রকম হবো। আমি ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছি। এখন আমি ভাবি, আগামীকাল সূর্য উঠবে, আমার সন্তানরা আমাকে জড়িয়ে ধরবে। আমি হয়তো এখন একটু ভালো জায়গায় আছি।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ইংল্যাল্ডের জার্সি গায়ে জড়ানো ফ্লিন্টফ ২০০৯ সালে অবসর ঘোষণা করেন। ক্যারিয়ারে ৭৯টি টেস্ট খেলে ৩৮৪৫ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ২২৬টি উইকেট।

আরবি/আরডি

Link copied!