ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সবচেয়ে প্রতীক্ষিত আবাহনী ও মোহামেডানের মধ্যকার ম্যাচ। এটি অনেকটা ‘অলিখিত ফাইনাল’। কিন্তু এ হাইভোল্টেজ ম্যাচেই মাঠে দেখা যাবে না মোহামেডানের অধিনায়ক ও জাতীয় দলের ‘নির্ভরযোগ্য’ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ম্যাচে ওয়াসি আহমেদের বলে আউট হন হৃদয়। ওয়াসি আহমেদের স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলে তাওহীদ হৃদয় ড্রাইভ করতে চাইলে বল ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে অন্য ফিল্ডারের হাতে চলে যায়।
ফিল্ডিংয়ে থাকা গাজী গ্রুপের খেলোয়াড়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে আউট দেন আম্পায়ার। এরপরই হৃদয় পিচ নিয়ে আম্পায়ারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
হৃদয়ের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির ইফতেখার রহমান মিঠু। তিনি জানান, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় ডিমেরিট পয়েন্ট পাচ্ছেন হৃদয়।
সব মিলিয়ে এবারের আসরে আট ডিমেরিট পয়েন্ট তাওহীদ হৃদয়ের। যার অর্থ, ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হচ্ছে তাকে। এ ছাড়া ম্যাচ শেষে ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হচ্ছে।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে পিচে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। ম্যাচ শেষে তার এ আচরণের জন্য জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি। হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
এই এক পয়েন্ট যোগ হওয়ার ফলে ডিপিএলের চলতি আসরে হৃদয়ের মোট ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়ায় ৮, যার মানে তিনি পড়েছেন ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায়। এর ফলে আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আবাহনীর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি।
সুপার লিগের শেষ রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার মাঠে গড়াবে আবাহনী–মোহামেডান ম্যাচ। সেই ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের হাতেই উঠবে ডিপিএলের এবারের আসরের শিরোপা।
সেই ম্যাচে মোহামেডান জিতলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হবে। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় মোহামেডানের হাতে উঠবে শিরোপা। আর ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে চ্যাম্পিয়ন হবে আবাহনী।
এর আগে আবাহনীর বিপক্ষে আগের ম্যাচে অসদাচরণের জন্য দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও মোহামেডানের আপিলে তা কমিয়ে এক ম্যাচে আনা হয়েছিল। হৃদয়ের শাস্তি বাতিলের কারণে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন দেশসেরা আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
এ নিয়ে ক্রিকেটারদের এক দফা বৈঠকও হয়েছে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসে, হৃদয়ের শাস্তি বহাল থাকছে। তবে তা কার্যকর হবে ডিপিএলের আগামী মৌসুমে। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন আরও একবার আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় দলের এ ব্যাটারের বিপক্ষে।