জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় সেশনে তাইজুল ইসলামের ‘ভেলকিতে’ স্বস্ত্বি এসেছে টাইগার শিবিরে। প্রথম দিন শেষে ২২৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভার নির্বিঘ্নে কাটায় জিম্বাবুয়ে। এরপরই আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব। ওপেনার ম্যাচের ১১তম ওভারে ওপেনার বেনেটকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে স্কোরবোর্ডে ২১ রান যোগ করেন বেনেট।
এরপর নিক ওয়েলচকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন কুরান। তবে দলীয় ৭২ রানে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৫০ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান কুরান।
এরপর শন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ওয়েলচ। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ৮৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।
বিরতি থেকে ফিরে বাংলাদেশি বোলারদের নাস্তানাবুদ করে এই দুই ব্যাটার। দ্বিতীয় সেশনে ২৮ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস ও নিক ওয়েলচের দুর্দান্ত জুটিতে ১৬১ রান সংগ্রহ করে বিরতিতে যায় তারা।
দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে বড় জুটি গড়ার আভাস দেন উইলিয়াম ও নিক ওয়েলচ। তবে তা সম্ভব হয়নি। তীব্র গরমের কাছে হার মানতে হয় ওয়েলচকে।
তীব্র গরমের কারণে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ‘রিটায়ার্ড হার্টের’ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর উইলিয়ামকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন অধিনায়ক এরভিন।
এই দুই ব্যাটারও বড় জুটির আভাস দেন। তবে তা হতে দেননি নাঈম ইসলাম। অধিনায়ক এরভিনকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি।
এরপর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট নিয়ে উৎসবে মাতেন তাইজুল। এর মাঝে আবার শন উইলিয়ামকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন নাঈম ইসলাম। আউট হওয়ার আগে এ ব্যাটার খেলেন ৬৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া নাঈম ইসলামের ঝুলিতে গেছে ২টি উইকেট। আর অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন ১টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
আপনার মতামত লিখুন :