ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

বিসিবির ব্যাখ্যায় নাম জড়ানোয় মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রতিবাদ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বিসিবির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে—এমন অভিযোগ এনে গত ২৬ এপ্রিল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সেই বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নাম উঠে আসায় প্রতিষ্ঠানটি তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।

ব্যাংকটির দাবি, প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাদের নিয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’। এ ধরনের সংবাদে নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বিসিবি কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এর মধ্যে শীর্ষ একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘ফারুক আহমেদের ২৫০ কোটি টাকা সরানো বিষয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা’, যেটি বিসিবির বিবৃতি অনুসরণ করেই করা হয়েছে। 

বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলো পুনর্মূল্যায়ন করেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে যুক্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা ‘গ্রিন ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল বিসিবি।

মিডল্যান্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মিডল্যান্ড বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ৮টি গ্রিন জোন ব্যাংকের মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘গ্রিন’ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও বিসিবি মিডল্যান্ড ব্যাংকে রাখা আমানত পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে (প্রি-ম্যাচিউর এনক্যাশমেন্টের মাধ্যমে) উত্তোলন করে এবং তা বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করে।

অথচ মিডল্যান্ড ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত চতুর্থ প্রজন্মের একমাত্র ‘গ্রিন’ তালিকাভুক্ত ব্যাংক। মিডল্যান্ড ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণগত মান, মুনাফা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার সব সূচকে সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরিচালিত হচ্ছে।’

মিডল্যান্ড ব্যাংকের দাবি, ‘বিসিবি প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের মাধ্যমে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ভাবমূর্তি ও সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। মিডল্যান্ড ব্যাংকে রাখা বিসিবির আমানত, বিসিবির তরফ থেকে চাহিবামাত্র পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে প্রদান করা হয়েছে, যা একটি শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই সম্ভব।’

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘মিডল্যান্ড ব্যাংক সব সময়ই অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে তার তহবিল ব্যবস্থাপনা করে থাকে, যাতে গ্রাহকের আমানত চাহিবামাত্র যেকোনো সময়ে বিনা নোটিশে প্রদান করতে পারে।’