বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি বিসিবির কাছে মোট ২৭টি অভিযোগের সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের অনুলিপি চেয়েছে। যেগুলোর বেশির ভাগই বিসিবি সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসানের কার্যকালীন সময়ের।
গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে বিসিবিকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এসব কাগজপত্র দুদকে সরবরাহ করতে হবে।
এর আগে, তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য চেয়েছিল দুদক। এবার সেই অভিযোগগুলোর পাশাপাশি নতুন আরও ২৪টি বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি।
দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে যেসব বিষয়ের তথ্য চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণে ঠিকাদার ও পরামর্শক নিয়োগের সব তথ্য, নাজমুল হাসান সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে বিসিবির আর্থিক প্রতিবেদন।
এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) থেকে প্রাপ্ত অর্থসংক্রান্ত নীতিমালা, লজিস্টিকস ও প্রটোকল বাবদ ব্যয়ের বিবরণ, বিপিএল আয়োজনে খরচের বিস্তারিত, বিদেশি কোচ নিয়োগে জড়িত কর্মকর্তাদের তথ্য এবং বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যক্তিগত তথ্যও জানতে চাওয়া হয় চিঠিতে।
এর বাইরে ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’ ও এ আর রাহমানের কনসার্টে ব্যয়ের হিসাব, ২০১৯ সালের বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ব্যয়, অডিট ফার্মকে বিল পরিশোধসংক্রান্ত তথ্য, বার্ষিক সাধারণ সভা এবং তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের খরচ, ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক ও খরচের তালিকা, বিদেশ সফর করা কর্মকর্তাদের নাম ও ব্যয়ের বিবরণ, হেলিকপ্টার ব্যবহারের তথ্য এবং স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সংস্কারসংক্রান্ত টেন্ডার এবং বিল পত্রের কপি চেয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুদক রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থা। তারা যদি বিসিবির কোনো কার্যক্রমে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়ে তদন্ত করে, সেটি তাদের দায়িত্ব। তারা যে নথি চেয়েছে, আমরা সেগুলো দিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি।’
আপনার মতামত লিখুন :