আজ রোববার (৯ মার্চ) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল, যেখানে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচকে কেন্দ্র করে বেআইনি বেটিং চক্র ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বাজি ধরা হয়েছে।
প্রতিটি বড় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ভারতীয় জুয়াড়িরা সক্রিয় থাকে, তবে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে এ প্রবণতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। বিশেষত, ম্যাচটি দুবাইয়ে হওয়ায় আন্তর্জাতিক বেটিং চক্রের তৎপরতা আরও বেড়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, এই অবৈধ কার্যক্রমে দাউদ ইব্রাহিমের ‘ডি কোম্পানি’ও জড়িত থাকতে পারে।
এদিকে, ভারতীয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সেমিফাইনাল ম্যাচের সময় বেটিং চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত পাঁচজনকে আটক করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে পারভিন কোচার ও সঞ্জয় কুমার নামের দুই বুকি সরাসরি অবৈধ বেটিং কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, যা বেটিং পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হতো।
এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, পারভিন কোচারের কাছে একটি ‘মাস্টার আইডি’ ছিল, যার মাধ্যমে অনলাইনে বেটিং আইডি তৈরি করে অন্যদের দেওয়া হতো। প্রতিটি লেনদেনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট প্রায় ৩ শতাংশ কমিশন পেত। একই সঙ্গে, অফলাইন বেটিংয়ের জন্য ফোন কলের মাধ্যমে বাজির লেনদেনও করা হতো।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পারভিন কোচার প্রতি ম্যাচে প্রায় ৪০ হাজার রুপি লাভ করতেন এবং ৩৫ হাজার রুপি মাসিক ভাড়ায় একটি বাসা নিয়ে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন যে, সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কটি দুবাই থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং বিশেষভাবে আজকের ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সেখানে ব্যাপক অবৈধ কার্যক্রম চলছে।
-20250402065111.webp)
-20250328092254.webp)
আপনার মতামত লিখুন :