প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় লেগের শুরুতেই যখন কোন দল গোল হজম করে তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই দলের মনোবল তলানিতে ঠেকবে এটাই স্বাভাবিক! এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারাটা খুবই কঠিন! তবে যেই দলে আছেন লিওনেল মেসি তাদের আবার ভয় কিসের!
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দ্বিতীয় লেগে মেসির জোড়া গোলে লস অ্যাঞ্জেলসকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইন্টার মায়ামি।
প্রথম লেগে পিছিয়ে থেকে আজ ঘরের মাঠে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় মায়ামি। ম্যাচের ৯ম মিনিটে অতিথিদের এগিয়ে দেন অ্যারন লং। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ে লিওনেল মেসিরা।
এরপরই প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লেখেন মেসি। জোড়া গোল করে দলকে সেমি ফাইনালে তোলেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি।
প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের মাঠে ১-০ গোলে হেরে আসা মায়ামি দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আরও পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের ৯ম মিনিটেই। মায়ামির রক্ষণের ভুলে এসময় গোল করেন অ্যারন লং।
৩১তম মিনিটে চকিতে ফ্রি-কিক নিয়ে সরাসরি বল জালে পাঠান মেসি। তবে লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার উগো লরিস ও অন্যরা কেউ তখনও প্রস্তুতই ছিলেন না। ফলে তাদের দাবির মুখে ভিএআর দেখে গোল বাতিল করেন রেফারি।
এর মিনিট চারেক পরে মায়ামিকে সমতায় ফেরান লিও। লুইস সুয়ারেজের পাঠানো বল থেকে প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে আচমকা শট নেন মেসি। তার বাঁ পায়ের জোড়ালো এই শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন লরিস।
মায়ামির দ্বিতীয় গোলটি ছিল অদ্ভুত। ৬১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে আলতো করে চিপ করেন নোয়াহ অ্যালেন। তার সতীর্থ ফেদেরিকো রেদোন্দো ছুটে গিয়েও বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি, তবে উড়ন্ত বল ধরতে এগিয়ে এসে ফ্লাইট বুঝতে পারেননি লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার লরিসও। বল মাটিতে পড়ে ঢুকে যায় জালে।
৮২তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে লস অ্যাঞ্জেলস ডিফেন্ডার মার্ক দেলগাদের হাত দিয়ে বল স্পর্শ করে ফেলে। পরে মেসিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টি দেন। আর এই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি।
ম্যাচের শেষদিকে দু’বার সুযোগ পায় অ্যাঞ্জেলস। তবে এ যাত্রায় মিয়ামিকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি।
আপনার মতামত লিখুন :