ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে টাইগাররা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ১০:৩২ এএম
ছবি: সংগৃহীত

ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে কোনমতেই যেন বেরোতে পারছে না বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায়। আরও একবার অল্প রানেই গুটিয়ে গেলো টাইগাররা। জ্যামাইকা টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েও প্রথম ইনিংসে ৭১.৫ ওভারে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগাররা।

প্রথম দিন বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে মোটে ৩০ ওভার খেলা হয়েছিল। ২ উইকেটে ৬৯ রান ছিল বাংলাদেশের।

দ্বিতীয় দিনের সকাল সকালই উইকেট পতনের মিছিল শুরু হয়। ৯৮ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। দিনে এক ঘণ্টা হতেই পড়ে ৪টি উইকেট।

টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্যের খেলা। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে এত বেশি রক্ষণাত্মক ব্যাটিং অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়ে যায়। যেমনটা হলো শাহাদাত হোসেন দিপুর বেলায়।

৮৯ বল মোকাবেলা করে ২ বাউন্ডারিতে মাত্র ২২ রান করলেন। ২৪.৭১ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত বড় করতে পারলেন না। শামার জোসেফের বলে ডিফেন্ড করেও বোল্ড হয়ে ফিরতে হলো ডানহাতি এই ব্যাটারকে।

লিটন দাস নয় বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। এখনও তার শট সেন্স আছে আগের মতোই। আরও একবার দৃষ্টিকটু আউটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন ক্লাসিক্যাল এই ব্যাটার। ফুটওয়ার্ক ছাড়াই শট খেললেন, যার ফল প্রথম স্লিপে ক্যাচ। ৬ বলে ১ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন।

এরপর তরুণ জাকের আলীও ১ রানে আউট হয়েছেন। শামার জোসেফের পেসে তার ছিল সফট ডিসমিসাল। বেরিয়ে যেতে থাকা বাউন্সারে অযথা পুল খেলতে গিয়ে আউট হন জাকের। বল তার ব্যাটের পর কাঁধে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।

সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মিছিল দেখে যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন সাদমান ইসলামও। শামার জোসেফের বলে তিনি ব্যাট পেতে দিলে বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। ১৩৭ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় তার ৬৪ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি তাতেই। ৯৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ।

এরপর বোলার তাইজুল ইসলামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লাঞ্চের আগে প্রায় ১৪ ওভার কাটিয়ে ২৪ রান তোলেন। ১১৬ বলে তাদের ৪১ রানের জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন আলজেরি জোসেফ। ৬৬ বলে ১৬ রান করে ফেরেন তাইজুল।

দলীয় ১৩৯ রানে তাইজুল ফেরার পর আর কারো ওপর ভরসা করতে পারেননি মিরাজ। তাসকিন আহমেদ করেন ৮। শেষ পর্যন্ত মিরাজ জেডেন সিলসের শর্ট বলে চালাতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ হন। ৭৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ৩৬ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেডেন সিলস মাত্র ৫ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। ৩ উইকেট শিকার শামার জোসেফের।