ঢাকা রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনটি মেহেদী-রাঙা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম

বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনটি মেহেদী-রাঙা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের খেলা শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিন। প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যায়। দ্বিতীয় দিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ।

এদিন বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও নাহিদ রানারা। ফলে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের দলীয় স্কোর বেশি দূর যায়নি। ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।

মিরাজ ৫ উইকেট শিকার করেন। তাসকিন পান ৩ উইকেট। জবাবে দিনশেষ বিনা উইকেটে ১০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, বোলিংয়ে বাংলাদেশ উজ্জ্বল হলেও মুশফিকুর রহিমকে ঘিরে শঙ্কা রয়েছে। কেননা তিনি ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান। রিজওয়ানের বল আটকাতে মিডঅনে ডাইভ দিয়ে চোট পান এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটার।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনটি মেহেদী-রাঙা। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজই দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। উইকেটে পেসাররা কিছু সুবিধা পাবেন বলেই আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বলে টস পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে এই কথা বলেন নাজমুল হাসান শান্ত।

পাকিস্তান দলের অধিনায়ক শান মাসুদও জানালেন, টস জিতলে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতেন। শান্ত সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করছেন বোলাররা। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে স্বরুপে জ্বলে উঠলেন বিপজ্জনক পেসার তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট শিকার করেন তিনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই পাকিস্তানি ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে কিন বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ব্রেক থ্রু পায়। এরপর সৌদ শাকিলের উইকেটটি সরাসরি স্ট্যাম্প ভেঙে নেন তাসকিন। অবশ্য স্পিনে নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা করে রাখেন মিরাজ। ওপেনার সাইম আইয়ুবকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ৫৮ রান করেন সাইম। অধিনায়ক শান মাসুদের উইকেটটি শিকার করেন মিরাজ। ব্যক্তিগত ৫৭ রান আউট হন মাসুদ। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করে মিরাজ বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান।

এরপর আরও দুটি উইকেট শিকার করেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। শেষ সেশনে খুররাম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলির উইকেটটি শিকার করেন মিরাজ। ইনিংসের শেষ উইকেটটিও শিকার করেন তিনি। ফলে দলের পক্ষে দিনশেষে সেরা বোলার তিনিই। বল হাতে বোলিংয়ে খারাপ করেননি সাকিবও। বাবর আজম তার শিকারে পরিণত হন। ডানহাতি তরুণ পেসার নাহিদ রানাও উইকেট পেয়েছেন। পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার রিজওয়ানের উইকেটটি নেন তিনি। দিনশেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মিরাজের হাত ধরেই দ্বিতীয় দিনে পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল দেখা গেছে বাংলাদেশকে। বোলিংয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো বাংলাদেশ এদিন তিনটি রিভিউ হাতছাড়া করেছে।

ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন, স্পিনারদের প্রতি ভরসা রাখছেন। কেননা পাকিস্তানের উইকেটে স্পিনাররা ভালো করছেন। বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান স্পিনে নিজেদের মেলে ধরছেন। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা ভালো খেলছেন।

অন্যদিকে, ব্যাটিংয়েও আশাবাদী হাথুরুসিংহে। তিনি ওপেনার সাদমানের প্রশংসা করেছেন। গত কয়েক বছর ধরে সাদমান ভালো খেলছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানও তার ব্যাট থেকে রান আসছে। অপরদিকে মুশফির রহিম তো দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার। তার পরিশ্রমের কথা সবাই জানে। কীভাবে নিজেকে শাণিত করতে হবে, সেটি মুশফিক ভালো করেই জানে। মুশফিক অভিজ্ঞ ব্যাটার। পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে ভালো কিছু আশা করা হচ্ছে

আরবি/ এইচএম

Link copied!