বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলা চলছে। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচ রয়েছে। বেলা দেড়টায় চিটাগং কিংস ও ঢাকা ক্যাপিটালস পরস্পরের মুখোমুখি হবে। অপর ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স খেলবে। এর আগে দেখে নেওয়া যাক দলগুলোর বর্তমান অবস্থান কী। সবার আগে বিপিএলের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স।
টানা ৮ ম্যাচ জিতে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট অর্জন করে প্লে-অফে উঠেছে দলটি। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারটি দল প্লে-অফ রাউন্ডে খেলবে। রংপুরের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর বাকি তিন দলের মধ্যে সেরা চারে ওঠার লড়াই বেশ জমে উঠছে।
প্লে-অফের দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। দুই দলেরই অর্জন ১০ পয়েন্ট করে। অবশ্য বরিশাল ৭টি ও চিটাগং ৮টি ম্যাচ খেলেছে। কাগজে-কলমের হিসাবে প্লে-অফের দৌড়ে আছে অপর চারটি দলও।
বিপিএলের প্রাথমিক পর্বে শক্ত অবস্থানে রয়েছে অপ্রতিরোধ্য রংপুর রাইডার্স। তাদের হাতে আরো ৪টি ম্যাচ রয়েছে। এ দলটি যদি আর দুটি ম্যাচ জিতে নেয়, তাহলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করবে। তাদের পরবর্তী চারটি ম্যাচ হলোÑ রাজশাহী, চিটাগং ও খুলনার বিপক্ষে।
অন্যদিকে, প্লে-অফের পথে আছে চিটাগং কিংস। তাদেরও বাকি ৪টি ম্যাচ। আর দুটি জয় পেলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে তাদের। ৮ ম্যাচের মধ্যে তাদের জয় ৫টি। টানা দুই ম্যাচ হারের পর রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ে ফিরেছে দলটি। চিটাগংয়ের পরবর্তী ম্যাচ ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালের বিপক্ষে।
এদিকে, এবারের আসরের সবচেয়ে তারকা সমৃদ্ধ দল ফরচুন বরিশাল। যেভাবে বিপিএলে দাপট দেখানোর কথা তাদের, সেভাবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। গুণে-মানে তাদের দলটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু ৭ ম্যাচ খেলে ২টি হারের স্বাদ পেতে হয়েছে তাদের।
যাইহোক, বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হাতে আরো ৫টি ম্যাচ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি জয় পেলে তাদেরও প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। তাদের পরের ম্যাচগুলো খুলনা, সিলেট, ঢাকা ও চিটাগংয়ের বিপক্ষে।
বরিশালের মতো খুলনারও ৫ ম্যাচ বাকি। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অবশ্য প্লে-অফে খেলতে হলে তাদের দরকার আরও ৩টি জয়। টানা চার ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে দলটি। তবে সর্বশেষ রাজশাহীর বিপক্ষে ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে দলটির।
৭ ম্যাচ খেলে তাদের অর্জন ৬ পয়েন্ট। খুলনা যদি একটি বা দুটি ম্যাচ জেতে তাহলে প্লে-অফে খেলতে হলে অন্য দলের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাদের প্রতিপক্ষ বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ঢাকা।
অপরদিকে, অধিনায়ক বদল করেও জয়ের দেখা পেল না দুর্বার রাজশাহী। এনামুল হক বিজয়কে সরিয়ে নেতৃত্বের ব্যাটন দেওয়া হয় তাসকিনের হাতে। কিন্তু টানা দুই ম্যাচ হেরেছে দলটি। ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩টি জয় তাদের। ৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা।
এ জন্য প্লে-অফে খেলার সমীকরণ কঠিন হয়ে গেছে দলটির। হাতে থাকা ৩ ম্যাচে অন্তত দুটিতে জয় না পেলে বিপদে পড়বে রাজশাহী। তাদের পরবর্তী ম্যাচ রংপুর ও সিলেটের বিপক্ষে। পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে উঠেছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
৯ ম্যাচ খেলে দুটি জয়ে তাদের অর্জন ৪ পয়েন্ট। প্লে-অফে খেলা তাদের জন্য খুবই কঠিন। হাতে থাকা ৩ ম্যাচের একটিতে হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে যেতে পারে তাদের। সামনের ম্যাচগুলোয় চিটাগং, বরিশাল ও খুলনার বিপক্ষে খেলবে ঢাকা।
ঢাকার মতোই হতভাগা সিলেট স্টাইকার্স। এবারের বিপিএলে সুবিধা করতে পারেনি দলটি। টানা ৩ ম্যাচে হারের পর সামনের ম্যাচগুলোতে হারলে সমীকরণ আরো কঠিন হয়ে যাবে সিলেটের। ৮ ম্যাচ খেলে ২টি জয়ে তাদের অর্জন ৪ পয়েন্ট। প্লে-অফে খেলতে হলে সামনে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চিটাগংয়ের বিপক্ষে জয়ের ধারায় থাকতে হবে তাদের।
আপনার মতামত লিখুন :