ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে চেলসিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ের মাধ্যমে তারা টেবিলের সেরা চারে উঠেছে।
শনিবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শুরুতে গোল হজম করলেও পরে দুর্দান্ত কামব্যাক করে সিটি। তাদের শ্বাসরুদ্ধকর কামব্যাকের মাধ্যমে পেপ গার্দিওলার দল ৩ গোল করে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির কাছে ৪-২ গোলে হেরেছিল সিটি। আর এই ম্যাচ জয়ে সেই হারের যন্ত্রণাটা কিছুটা লাঘব হয়েছে সিটির।
এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে সিটি এখন টেবিলের চারে রয়েছে। ২২ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল, আর চেলসি ২৩ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে রয়েছে।
এদিন সিটির ডিফেন্ডার আব্দুল কাদির খুশানভের ভুলে প্রথম গোল হজম করে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের এই ডিফেন্ডারের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ৩ মিনিটে খুশানভে হেড দিয়ে সিটির গোলরক্ষক ইদারসনের দিকে ব্যাকপাস দেন, তবে বলটি ঠিকমতো পৌঁছাতে পারেননি। চেলসির নিকোলাস জ্যাকসন এই সুযোগে বল চুরি করেন এবং সিটির রক্ষণ ভেঙে গোল করেন ননি মাদুয়ে। এতে চেলসি ১-০ এগিয়ে যায়।
এরপর খুশানভে আরও একটি ভুল করেন, যখন চেলসির কোল পালমারকে চ্যালেঞ্জ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডারকে তুলে নেন গার্দিওলা এবং বদলি হিসেবে জন স্টোনসকে মাঠে নামান।
চেলসির গোলের ৪২ মিনিট পর সিটি সমতা ফেরায়। গোলটি করেন জোস্কো ভারদিয়াল। ১-১ সমতা হয়ে যায়।
৬৮ মিনিটে আরলিং হালান্ড গোল করেন এবং সিটি ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরে ৮৭ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোল সিটির জয় নিশ্চিত করে, এই গোলের পাস এসেছিল হালান্ডের কাছ থেকে।
ম্যাচ শেষে হালান্ড ‘বিবিসি’কে বলেন, “যখন আমাদের এমন একটা শুরু ছিল, তখন আমাদের জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি এবং খেলাটা চালিয়ে গেছি। আমরা আক্রমণ করতে থাকি এবং দ্বিতীয়ার্ধেও তা চালিয়ে যাই। শেষ পর্যন্ত আমাদের যা করতে হবে, তাই করেছি। ভাবনা ছিল তাদেরকে পেছনে ফেলতে হবে এবং আক্রমণে এগিয়ে যেতে হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :