বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর জুড়ে নানা বিতর্কের মুখে পড়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো। খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধের দেরি এবং ফিক্সিং ইস্যু প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তবে এবারের আসরের সবচেয়ে বড় বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন চিটাগং কিংসের হোস্ট ও কানাডিয়ান মডেল ইয়েশা সাগর। তিনি সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইয়েশা জানিয়েছেন, চিটাগং কিংসের কাছ থেকে তার পারিশ্রমিক পাওনা ছিল এবং এখনও তা পুরোপুরি পরিশোধ করা হয়নি। তিনি আরও জানান, তাকে দলের একজন অংশীদারের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল, যা তার চুক্তির অংশ ছিল না।
এছাড়া, ইয়েশা অভিযোগ করেন যে, ১৯ জানুয়ারি তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বারবার আশ্বাস দেওয়ার পর সেটি আর বাড়ানো হয়নি। দুই সপ্তাহ ধরে তার পাসপোর্ট আটকে রেখে এলোমেলো উত্তর দেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়।
ইয়েশা তার পোস্টে আরও লেখেন, যে রাতে আমার পাসপোর্ট পেয়েছি, তার কয়েক ঘণ্টা পর আমি একটি আইনি নোটিশ পেয়েছি, যা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর এবং চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এসব ঘটনার পর আমি সেখানে নিরাপদবোধ করিনি এবং কিছু স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।
তিনি আবারও বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে আমার সকল সমর্থকের প্রতি আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশে আমি আমার সময়টা উপভোগ করেছি এবং সেখানে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে পেশাদারিত্ব এবং স্বচ্ছতা সর্বদাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি একদিন আবারও এখানকার ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ফিরে আসব।
এদিকে, চিটাগং কিংসের কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেছেন, আমার সঙ্গে ইয়েশার কমিটমেন্ট ছিল শেষ উইকে বাকি পেমেন্টগুলো দেব। কিন্তু তাকে কাজ দেওয়া সত্ত্বেও সে কাজ রিজেক্ট করেছে এবং অতিরিক্ত টাকা দাবি করেছে।" তিনি আরো জানান, চুক্তি অনুযায়ী, শেষ সপ্তাহে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ইয়েশা কেন চলে গেছেন, তা তিনি জানেন না।
ইয়েশা সাগর তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকটা উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের কিছু স্থানীয় ভাষাও শিখে ফেলেছিলেন এবং মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।