চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্লে-অফের প্রথম লেগে ব্রেস্তকে উড়িয়ে দিয়েছে লুইস এনরিকের দল। এর মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় ওঠার পথে এগিয়ে গেল পিএসজি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে প্লে-অফের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে প্যারিসের দলটি। ভিতিনিয়ার গোলে শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর গোল দুটি করেন দেম্বেলে।
দোন্নারুম্মার ভুলে ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য বিপদে পড়তে বসেছিল পিএসজি। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে সামনে ঠিকমতো না দেখেই শট নেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক, পোস্ট তখন পুরোই ফাঁকা, ওই সময়ে গোলমুখে ছুটে আসা ব্রেস্তের ফরোয়ার্ড লুদোভিচের মাথায় লেগে বল বাইরে গেলে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
শুরুতে প্রায় ৮০ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে, একটু একটু করে চাপ বাড়াতে থাকে পিএসজি। ২১তম মিনিটে ভিতিনিয়ার সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় তারা। ব্রেস্তের ডি-বক্সে তাদের মিডফিল্ডার লেস-মেলুর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ৩৫তম মিনিটে প্রথম কর্নার আদায় করে নেয় ব্রেস্ত। ভাগ্য সহায় হলে ওই কর্নারেই সমতায় ফিরতে পারত তারা; কিন্তু ফরোয়ার্ড সিমার হেড পোস্টে বাধা পায়।
একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রেখে, বিরতির একটু আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। আশরাফ হাকিমির পাস ধরে দ্রুত আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে ঢুকে সামনের একজনকে কোনো সুযোগ না দিয়ে, নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে বল পাঠান দেম্বেলে।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ফরাসি উইঙ্গার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর কয়েক মিনিটে বেশ আক্রমণাত্মক খেলে ব্রেস্ত। তৃতীয় মিনিটে দারুণ একটি সুযোগও পায় তারা, তবে কোনোরকমে জাল অক্ষত রাখেন দোন্নারুম্মা।
এর দুই মিনিট পরই প্রতি-আক্রমণে ব্র্যাডলি বার্কোলার পাস বক্সে পেয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান পিএসজির তরুণ ফরোয়ার্ড দিজিরে দুয়ে। তবে বার্কোলা অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্যে গোল দেননি রেফারি।
৬৬তম মিনিটে আবার জ্বলে ওঠেন দেম্বেলে এবং স্কোরলাইন ৩-০ করে জয়ের পথে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডি-বক্সে তার নেওয়া শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লাগলেও, ঠিকই বল ঠিকানা খুঁজে নেয়।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে ছয়টি গোল করলেন দেম্বেলে, সবশেষ তিন ম্যাচে, একটি হ্যাটট্রিকসহ।
আর ব্রেস্তের বিপক্ষে এই নিয়ে মৌসুমে তিন দেখায় একটি হ্যাটট্রিকসহ ৭টি গোল হলো দেম্বেলের। লিগ আঁতে এবার নিজেকে নতুন রূপে মেলে ধরে ফরাসি ফরোয়ার্ড চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ২৩টি, এর ১৮টিই সবশেষ ১০ ম্যাচে।
দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ব্রেস্তই গোলের জন্য বেশি শট নিয়েছে। পুরো ম্যাচে দুই দলই সমান ১৬টি করে শট নেয়; কিন্তু ফিনিশিংয়ে একদমই কার্যকর হতে পারেনি স্বাগতিককরা।
আপনার মতামত লিখুন :