ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেল দ.আফ্রিকা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৭ রানের জয় পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‍‍`বি‍‍` গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৭ রানে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৫ রান করে প্রোটিয়ারা। জবাব দিতে নেমে ৪৩ ওভার ৩ বলে ২০৮ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। বড় লক্ষ্যতাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ফেরেন দলীয় ৩৮ রানে। সেদিকুল্লাহ আতাল, হাশমতউল্লাহ শহিদীও হাল ধরতে পারেননি। ৩২ বলে ১৬ রান করে রান আউট হয়েছেন সেদিক। অধিনায়ক হাশমত আউট হয়েছেন কোনো রান না করেই।

৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়েন আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং রহমত শাহ। রাবাদার বলে রিকেলটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৮ রান করেন আজমত। অভিজ্ঞ নবিও হাল ধরতে পারেননি। ৮ রান করে আউট হন মার্কো জেনসেনের বলে। গুলবাদিন নায়েব ১৩ রান করে আউট হন দলীয় ১৪২ রানে।

প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যের সামনে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রশিদ খান। তার বিদায়ের পর আফগানদের হারটা সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান রহমত। শেষ উইকেটে নূর আহমেদের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। সেঞ্চুরি করার সুযোগও ছিল তার। তবে ১০ রান দূরে থাকতে রাবাদার শিকার হয়ে তিনি ফিরলে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৯২ বলে ৯০ রান করেছেন রহমত।

[35183]

প্রোটিয়াদের হয়ে কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন লুঙ্গি এনগিডি ও উইয়ান মুল্ডার।  

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে টনি ডি জর্জির উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ১৪৭ রানের লম্বা জুটি গড়েন রায়ান রিকেল্টন। বাভুমা ৫৮ রান করে আউট হলেও ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন রিকেল্টন। ১০৩ রান করার পর রশিদ খানের অসাধারণ এক থ্রোয়ে আউট হন তিনি। অনেকটা স্ট্রেট-জোনে বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের জন্য পপিংক্রিজ ছেড়েছিলেন রিকেল্টন, রশিদ বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্রুত গুরবাজের হাতে পাঠিয়ে দেন। প্রোটিয়া ওপেনার পপিংক্রিজে ব্যাট নিয়ে গেলেও বেল পড়ার আগে সেটা মাটি স্পর্শ করেনি। ১০৬ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৭ চার ও ১ ছয়ে। প্রোটিয়াদের প্রথম দুটি উইকেটই নেন মোহাম্মদ নবি।

সর্বোচ্চ ২টি ছক্কা মারা রসি ফন ডার ডুসেন একশর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৫২ রান করে আউট হন। এরপর রীতিমতো একটা টি-২০ ইনিংস খেলেন এইডেন মারক্রাম, যদিও শুরুর দিকে একটু রয়েসয়ে খেলছিলেন তিনি। ২৪ বলে ২৪ রান করার পরই ঝড় তুলেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে তাকে ঠিক সঙ্গটা কেউ দিতে পারেননি। যাকে সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী ভাবা হয়, সেই ডেভিড মিলার ১৮ বলে ১৪ করে আউট হন সীমানার কাছে কাছে তার দারুণ ক্যাচ ধরেন রহমত শাহ। পরের ওভারেই আজমতউল্লাহকে উইকেট দিয়ে বিদায় নেন মার্কো ইয়ানসেন। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতিও কমে যায়।

৩৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা মারক্রাম ৩৬ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন মারক্রাম। এই ইনিংসের মাধ্যমে প্রোটিয়াদের মধ্যে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্রুততম অর্ধশতকের মালিক বনে গেলেন। উইয়ান মুল্ডার করেন ৬ বলে ১২। আফগানদের হয়ে নবি ২, ফজলহক ফারুকী, আজমতউল্লাহ ও নুর আহমেদ একটি করে উইকেট পান।