ঢাকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বরেকর্ড

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে জয় পেয়েছে অজিরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ৩৫১ রানের বিশাল লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া সহজেই অতিক্রম করে ইংলিশদের পরাজিত করেছে। ৫ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখেই নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।

এদিন দুই দলই একে একে বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভাঙে। প্রথমে ইংল্যান্ড ব্যাটিং করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে। তবে ৩৫১ রান করেও ইংল্যান্ডের ভাগ্য খারাপ, তারা শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। আর পরে অস্ট্রেলিয়া ঐ বিশাল রান পাড়ি দিয়ে নতুন কীর্তি গড়লো, যা সবচেয়ে বেশি রান চেজ করে জয়ের রেকর্ড।

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। পরে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা একে একে দারুণ পারফরম্যান্স দেখাতে থাকেন। এই ম্যাচে ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট তার ক্যারিয়ারসেরা ১৬৫ রান করেন।

পরে ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। পাওয়ার প্লে-তে সাজঘরে ফিরে যান ‘ডেঞ্জারম্যান’ ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ। হেড যখন সাজঘরে ফেরেন (৬ রানে) তখন অজিদের সংগ্রহ মাত্র ২১। স্মিথ ফেরার সময় দলীয় রান ২৭।

এরপর ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও লাবুশানে জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে অজিরা। ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থাকতে লাবুশানেকে সাজঘরে ফিরিয়ে ৯৫ রানের এই জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। এই জুটি ভাঙার পর অর্ধশতক পাওয়া ওপেনার শর্টও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। তিনি ব্যক্তিগত ৬৩ রানে লিভিংস্টোনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ১৩৬, জয় থেকে ২১৬ রান দূরে। এমন পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছিল, সহজ জয়ই পাবে ইংলিশরা। তবে এরপরই ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে ম্যাচের দৃশ্যপট।

উইকেট ধরে রাখার পাশাপাশি রান রেটের চাপ সামলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জশ ইংলিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। ধীরে ধীরে হাত খুলে মারতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তাদের ১১৬ বলে ১৪৬ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন টিকে থাকে অজিদের। ব্যক্তিগত ৬৯ রানে ক্যাচ দিয়ে ক্যারি সাজঘরে ফিরলে আবারও কিছুটা ভয় তৈরি হয় অজি শিবিরে। তবে শেষ দিকে ম্যাক্সওয়েল ও ইংলিসের ঝড়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই রেকর্ড জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ বেল ৭৪ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকে ইংলিস-ম্যাক্সওয়েল জুটি। ম্যাক্সি ১৫ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। ইংলিসের ১২০ রানের ইনিংসটি তার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। এমন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের সুবাদে অবধারিতভাবেই তার হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।