৮ বছর পর ৪ দিনের যাত্রা। এ যেন এক কাল্পনিক পথচলা- যা যেকোনো মুহুর্তে ভুলে যেতে চাইবে যে কেউ। আর এই কাল্পনিক যাত্রার পথিক হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, আর পথ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণের পর গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে শেষ হলো টাইগারদের এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের অভিযান। গতকাল নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরে তারা নিজেদের পাশাপাশি টুর্নামেন্ট থেকে পাকিস্তানের বিদায়ও নিশ্চিত করেছে।
এদিন রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কিউইরা যেন হাসতে হাসতে টাইগারদের পরাজিত করে। ম্যাচের কোনো পর্যায়েই বাংলাদেশ খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারেনি। সেই সঙ্গে ছিল বাজে ফিল্ডিংয়ের হতাশা। সেঞ্চুরি করা রাচিন রবীন্দ্রকে টাইগার ফিল্ডাররা জীবন দিয়েছেন অন্তত তিনবার। আর সেই জীবন ফিরে পেয়ে রাচিন বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয়। তারপর গ্লেন ফিলিপস ও টম ল্যাথাম তাদের কাজ শেষ করেন।

হারের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেদের এলোমেলো ক্রিকেটের কথা তুলে ধরেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “যদিও আমরা সিরিজ জিতি, তবে বেশিরভাগ সময়ই সেটা ঘরের মাঠে হয়। দেশের বাইরে সিরিজ জেতা অনেক কম হয়। আইসিসি ইভেন্টেও একই অবস্থা। একদিন বোলিং ভালো হয় না, অন্যদিন ব্যাটিং খারাপ হয়, আবার অন্যদিন ফিল্ডিংয়ের যাচ্ছে তাই অবস্থা। সবকিছুই যেন এলোমেলো হয়ে যায়। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে সম্মিলিতভাবে ভালো করার উপায় বের করতে হবে।”
দলের বোলারদের নিয়ে শান্ত বলেন, “বোলিংয়ে আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। তবে নিউজিল্যান্ডও পরে ভালো ব্যাটিং করেছে। বোলারদের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব ছিল না। তারা খুব ভালো কাজ করেছে।”
শেষে দলের ফিল্ডিং নিয়ে শান্ত বলেন, “বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করলেও ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। একই ভুল বারবার করছি। এবার থেকে চেষ্টা করব এসব জায়গায় পরিবর্তন আনার।”
টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।