২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে অজিদের হারিয়ে সেই ফাইনাল হারেরই সুমধুর প্রতিশোধ নিলো ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
এদিন ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। পঞ্চম ওভারে ব্যক্তিগত ৮ রানে শুভমান গিলের বিদায়ের পর, অধিনায়ক রোহিতও ফিরেছেন পাওয়ারপ্লের মাঝে। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় রোহিত ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনে মিলে গড়েন ৯১ রানের জুটি। এরপর আইয়ার ৪৫ করে বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নেন কোহলি। এদিন কোহলি বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। যে রেকর্ড এতোদিন একাই উপভোগ করছিলেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার।
অর্ধশতকের পরেই কোহলি ফিরতে পারতেন সাজঘরে। তবে গ্লেন ম্যাকওয়েলের সহজ ক্যাচ মিসে নতুন জীবন পান কোহলি। সাজঘরে ফেরার আগে কোহলি খেলেন ৯৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। শেষে লোকেশ রাহুলের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ো ২৮ রানে ৪৮.১ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত। রাহুল অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই কোনো রান না করে ফিরে যান ম্যাথিউ শর্টের বদলি হিসেবে নামা কোপার কনোলি। ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলে সবসময় জ্বলে ওঠেন ট্রাভিস হেড। এদিনও শুরুটা ভালো পেয়েছিলেন অজি ওপেনার। তবে দলীয় ৫৪ রানের মাথায় ৩৩ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন হেড। এরপর স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।
ব্যক্তিগত ২৯ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হয়ে ফিরে যান লাবুশেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা জশ ইংলিসও ফিরেছেন ১১ রান করে। এরপর অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে ম্যাচের হাল ধরেন স্মিথ। তাদের ৫৪ রানের জুটি ভাঙে ব্যক্তিগত ৭৩ রান করে স্মিথ বিদায় নিলে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ব্যাট হাতে ব্যর্থ এদিন। অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ম্যাক্সওয়েল ফিরেছেন মাত্র ৭ রান করে। তবে উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে ৪৮ বলে অর্ধশতক তুলে নেন ক্যারি। রান আউটের ফাঁদে কাটা পরার আগে ক্যারির ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান।
এ জয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টানা তৃতীয় আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে উঠলো ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে এই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল রোহিতের দল। তাই প্রতিশোধের ক্ষুধা অবশেষে শেষ হল ভারতের। আগামীকাল ৫ মার্চ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে ৯ মার্চ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত।