ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি কিংবা টেস্ট, একসময় তিন ফরমেটের অলরাউন্ডার তালিকার শীর্ষস্থানে দেখা যেতো সাকিব-আল-হাসানকে। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে।
এরই মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয়। ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলেও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একপ্রকার সন্যাস পালন করছে এই ক্রিকেটার।
এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ‘মুকুট’টি নিজের করে নিয়েছে আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত ফারফরম্যান্স করেছেন আফগান অলরাউন্ডার ওমরজাই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে বল হতে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট একাই লড়ে গেছেন তিনি। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়া সেই ম্যাচে খেলেছেন ৬৭ রানের ইনিংস।
এই পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ২৯৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন ওমরজাই। ২৯২ পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে আরেক আফগান ক্রিকেটার নবী। আর দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। তার রেটিং পয়েন্ট ২৯০।
২৪৮ পয়েন্ট নিয়ে এই তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শীর্ষ। এছাড়া, অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। এই ভারতীয় অলরাউন্ডার এগিয়েছেন ১৭ ধাপ। বর্তমানে তিনি আছেন ১৩তম স্থানে।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়েও দেখা গেছে আফগানদের জয়জয়কার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রান করা ইব্রাহিম জাদরান আছেন ১০ম স্থানে। অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ওমরজাই এগিয়েছেন ১২ ধাপ। বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন ২৪তম স্থানে।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতীয় তরুণ তারকা শুবমান গিল। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাবর আজম। এক ধাপ এগিয়ে তিনে উঠেছেন হেইনরিখ ক্লাসেন ও চারে উঠেছেন বিরাট কোহলি।
ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে না পারা শ্রীলঙ্কার মহিশ থিকশানা। দুই ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। তিন ধাপ এগিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি। তবে তিন ধাপ পিছিয়েছে আফগান বোলার রশিদ খান। বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন পঞ্চম স্থানে।
বাংলাদেশিদের মধ্যে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে সবার উপরে আছেন তাসকিন আহমেদ। এ বোলারের অবস্থান ৩১তম। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান ৩৬তম স্থানে এবং শরিফুল ইসলাম আছেন ৪৪তম স্থানে।