জাতীয় দলের সাথে প্রশিক্ষণের সময় রমজান মাসে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজা রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। আর এতে সমালোচনার মুখে পড়েছে ফুটবলে দেশটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থাটি।
ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ) জানিয়েছে, কোন মুসলিম খেলোয়ার প্রশিক্ষণ শিবিরে রোজা রাখতে পারবে না। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খেলা শেষ হওয়ার পর তারা এই দিনগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ পাবে। ফেডারেশন সেই ক্ষতিপূরণ দিবে বলে জানায় তারা।
এর আগেও মহিলাদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধ করে তোপের মুখে পড়েছিলো ফ্রান্স সরকার। এবার সেই পালে হাওয়া দিয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনও।
ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের এমন মুসলিম বিরোধী আচরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনার ঝড়। কানাডিয়ান এক ক্রীড়া সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ফ্রান্স মুসলিম বিরোধী আচরণের চ্যাম্পিয়ন হয়ে চলেছে।’
উল্লেখ্য, ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় আফ্রিকা উত্তর আফ্রিকা থেকে উঠে এসেছে। উসমান ডেম্বেলে, এনগোলো কান্তে, এলিয়াস গুয়েন্দৌজি, ইব্রাহিমা কোনাটে এবং ফেরল্যান্ড মেন্ডির মতো অনেক খেলোয়াড়ই মুসলিম ধর্মাবলম্বী।
গত বছরও একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন। এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিবাদে অনুর্ধ্ব-১৯ দল ছেড়েছিলেন মিডফিল্ডার মাহামাদু দিয়াওয়ারা।
তবে এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন এফএফএফের সভাপতি ফিলিপ ডায়ালো। যুক্তি তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ফরাসি দলে থাকি, তখন আমাদের অবশ্যই কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।’