যত কাণ্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম

যত কাণ্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে

ছবি: সংগৃহীত

শুরু হয়েছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াই। বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে আলাদা ম্যাচে মাঠে নামে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিথ। অন্যদিকে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিল টপার লিভারপুলকে আতিথ্য দেয় পিএসজি। এদিন ফেইনুর্দের বিপক্ষে মাঠে নামে ইতালিয়ান লিগ ‘সিরি-আ’ টেবিল টপার ইন্টার মিলানও। 

শেষ ষোলোর লড়াইয়ের জমজমাট এই রাতের সব কিছুই থাকছে এই প্রতিবেদনে।

১০ জনের বার্সাকে রুখতে পারলো না বেনফিকা 

বুধবার (৫ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে লিসবনে বেনফিকার মুখোমুখি হয় স্প্যানিশ জায়ন্ট বার্সেলোনা। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে ১০ জনের দল নিয়ে বেনফিকাকে ১-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। 

ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে বেনফিকার। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বার্সা গোলরক্ষক শেজনি দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন। তবে বার্সার জন্য দুঃসংবাদ আসে ম্যাচের ২১ তম মিনিটে। ডিফেন্ডার পাও কুবারসি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় কাতালান শিবির।  

এরপর পুরো প্রথমার্ধ জুড়েই একের পর এক আক্রমণ করে যায় বেনফিকা। তবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে দুইবার গোলের সুযোগ পান লেভানডোভস্কি। তবে বেনফিকার গোলরক্ষক ট্রুবিন দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন।

ছবি: গোল উদযাপন করছেন রাফিনিয়া 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বেনফিকা আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে। কিন্তু শেজনির অবিশ্বাস্য কিছু সেভ বার্সাকে ম্যাচে রাখে। 

ম্যাচের ৬০ তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন রাফিনহা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি বল জালে জড়ান তিনি। যোগ করা সময়ে বেনফিকা মিডফিল্ডার রেনাতো সানচেসের জোরালো শর্ট দুর্দান্তভাবে আটকে দেন শেজনি। ফলে রাফিনিয়ার করা একমাত্র গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে।

এলিসন প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্ব সেরা!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ ফর্মে আছে লিভারপুল। শীর্ষস্থান নিয়েই শেষ ষোলোতে পা রেখেছিলো ‘অল-রেডরা’। তবে বুধবার রাতের গোলকিপার এলিসন বেকার ছাড়া আর কেউই সেই দাপট দেখাতে পারেনি। 

৭১ শতাংশ বল দখলে রেখে ৩৭ বার গোলবারে শট নিয়েছিল পিএসজি। সরাসরি গোলমুখে শট নিয়েছে ১০টি । তবে গোলমুখে নেওয়া পিএসজি’র সবকয়টি শটই রুখে দিয়েছিলেন এলিসন। বিপরীতে গোলমুখে মাত্র ৩টি শট নিয়েছিলো লিভারপুল। যার একটি জড়িয়েছে জালে। 

ছবি: লিভারপুল গোলরক্ষক এলিসন

ম্যাচের প্রথমার্ধে অফসাইডের কারণে ফরাসি ক্লাবের একটি গোল বাতিল হওয়ার পর থেকে এলিসন গোলমুখে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। ব্রাজিলিয়ান এই ‘বাজপাখি’ একের পর এক গোল না ঠেকালে ম্যাচটা প্রথমার্ধেই হেরে যেত লিভারপুল। ৫-৬টি দুর্দান্ত সেভ দিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৯টি গোল বাঁচিয়েছেন আলিসন। যা চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো লিভারপুল গোলরক্ষকের সর্বোচ্চ। 

তবে ম্যাচের সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নেন শেষদিকে মোহাম্মদ সালাহর বদলি হিসেবে নামা এলিয়ট। ৮৬ মিনিটে ডারউইন নুনেজের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন তিনি।

হ্যারি কেনের জোড়া গোলে লেভারকুসেন ‘জুজু’ কাটলো বায়ার্নের 

জাভি আলোনসো দায়িত্ব নেয়ার পর লেভারকুসেনকে আগের ৬ বারের দেখার একবারও হারাতে পারেনি জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিথ। তবে এবার সেই ‘জুজু’ কেটেছে হ্যারি কেনের জোড়া গোলে। 

ছবি: সতীর্থদের সঙ্গে গোল উদযাপন করছেন হ্যারি কেন

লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে তিন গোলের ব্যবধান হওয়ায় কার্যত কোয়ার্টারি ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে বায়ার্নের। 

ম্যাচের শুরুতেই মাইকেল ওলিসের ক্রস থেকে হেড করে প্রথম গোল করেন হ্যারি কেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান জামাল মুসিয়ালা। গোলের উচ্ছ্বাস করতে গিয়ে চোট পেয়ে বসেন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ের। তৃতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন কেন।

ফেইনুর্দের সাথে ইন্টার মিলানের সহজ জয় 

ফেইনুর্দকে তাদের মাটিতে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে ইন্টার মিলান। ইতালিয়ান জায়ান্টদের হয়ে ৩৮ মিনিটে মার্কাস থুরাম ও ৫০ মিনিটে গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ।
 

 

আরবি/আরডি

Link copied!