সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজে পারফরম্যান্সের পর সমালোচনা তৈরি হয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে ঘিরে। অনেক সাবেক ক্রিকেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই দুই ক্রিকেটারের ইতিও দেখে ফেলেছিলেন।
সমালোচনার মুখে বুধবার (৫ মার্চ) রাতে হুট করেই ওয়ানডে ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মুশফিকুর রহিম। তবে বিসিবিকে আগেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। বিসিবির ইচ্ছা ছিল তাকে মাঠ থেকে বিদায় জানানোর, কিন্তু তিনি অপেক্ষা করতে রাজি হননি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান, ‘আমরা চেয়েছিলাম সে মাঠ থেকেই বিদায় নিক, কিন্তু মুশফিক মনে করেছেন, সামনে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ না থাকায় এতদিন অপেক্ষা করা যুক্তিসঙ্গত নয়।’
তবে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক এখানেই শেষ হচ্ছে না মুশফিকের। তিনি এখনো টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে মনে করেন বিসিবির পরিচালকরা।
অন্যদিকে, মুশফিকের অবসরের পর গুঞ্জন উঠেছে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসর নেওয়ার বিষয়েও। জানা যায়, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেকে আর দেখতে পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। বিসিবির সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘২০২৭ এর মধ্যে তারা থাকতে পারবে না, এটা তারা নিজেরাই উপলব্ধি করেছে এবং আমাদের সে কথাই জানিয়েছে। আমার ধারণা, খুব বেশিদিন রিয়াদকেও আমরা মাঠে দেখতে পাবো না।’
ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন মাহমুদউল্লাহ।
প্রসঙ্গত, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অবসর নিলে শেষ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পঞ্চ পান্ডব’ যুগ। এতে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্য তৈরি হচ্ছে সুযোগের নতুন দিগন্ত।