১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবার আয়োজিত হয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের অনুরূপ ফরম্যাটে আইসিসির আরেকটি টুর্নামেন্ট, যার নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি। এরপর এটি নাম পরিবর্তন করে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হিসেবে পরিচিত হয় এবং বর্তমানে চলছে এর নবম সংস্করণ। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইতিহাসে একাধিক রেকর্ড ভাঙতে দেখা গেছে, যা আগের সব আসরের চেয়ে আলাদা ও স্মরণীয়।
রোববার (৯ মার্চ) দুবাইতে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মেগা ফাইনালের মাধ্যমে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর্দা নামবে।
এই আসরে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক ১৪টি সেঞ্চুরি হয়েছে, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ শতকের রেকর্ড।
এছাড়াও, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটি গড়েছেন। এর আগে, বেন ডাকেট ১৬৫ রানের ইনিংস খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডটি করেছিলেন। ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল ১৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তৃতীয় স্থানে ছিলেন।
এবারের আসরে মোট ১২৭টি ছক্কা মারা হয়েছে, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালের আসরে ১১৩টি ছক্কা হয়েছিল, কিন্তু এবারের আসরে এই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। ফাইনালের পর ছক্কার সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা দেখার অপেক্ষা।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেভিড মিলার মাত্র ৬৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। আগের দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিলো ৭৭ বলে, যা করেছিলেন জস ইংলিশ। ২০০২ সালে বীরেন্দ্র শেবাগ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করে ২৩ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছিলেন। এবারের আসরে সেই রেকর্ডও ভেঙেছে।
অন্যদিকে, ম্যাচের হিসেবে সর্বাধিক রানের রেকর্ডও এবারের আসরে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে মোট ৭০৭ রান হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে ৬৭৪ রান হয়েছে। আগের রেকর্ড ছিলো ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে, যেখানে ৬৪৩ রান হয়েছিল।