২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে একটি ঐতিহাসিক আসর, যা যৌথভাবে আয়োজিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায়। এই বিশ্বকাপটি অন্যান্য বিশ্বকাপের তুলনায় আলাদা, কারণ এতে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৩২ থেকে ৪৮-এ, ফলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০টি। এছাড়া, এই আসরে ভেন্যুর সংখ্যা থাকবে ১৬টি, যা বিশ্বকাপের আয়োজনে একটি বড় পরিবর্তন।
এই বিশাল আয়োজনে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেই এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি নির্বাহী পরিচালকও নিয়োগ করা হবে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) হোয়াইট হাউসে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে বৈঠকের পর এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ট্রাম্প জানান, এই বিশ্বকাপ আয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গর্বের বিষয়। তিনি আরও বলেন, দেশটি আরও খেলাধুলার আয়োজন করতে চায় এবং এটি বিশ্বকাপের আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যটন আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে।
বিশ্বকাপের এই আসরে ১০৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে ৭৮টি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে, আর ১৩টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মেক্সিকো এবং কানাডায়। ২০২৬ সালের ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ।
এই বিশ্বকাপের আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জও। যেমন- গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা এই অঞ্চলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। তবে, বিশ্বকাপের আয়োজনের মাধ্যমে এই তিন দেশটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।