ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

মাহমুদউল্লাহর অবসরে মাশরাফির আবেগঘন পোষ্ট

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ১১:৪০ পিএম
ছবি- মাশরাফি বিন মর্তুজার ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত

আঠারো বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের যাত্রা থামলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নিয়েছিলেন তিনি। বাকি ছিল ওয়ানডে। এবার সেই ফরম্যাটসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় জানালেন ‘মিস্টার সাইলেন্ট কিলার’ খ্যাত রিয়াদ।

বুধবার (১২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মাহমুদউল্লাহ লাল-সবুজ জার্সিতে নিজের প্রস্থানের খবর জানান।

পোস্টে তিনি লেখেন, সমস্ত প্রশংসা শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে ফেসবুকে ভ্যারিফায়েড পেইজে লিখেছেন -

দারুণ এক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন, রিয়াদ।
তোর নামের পাশে যে সংখ্যাগুলি আছে, সেসবের সীমানা ছাড়িয়ে তুই আমাদের কাছে আরও অনেক ওপরে। আমরা জানি, দলের তোকে কতটা প্রয়োজন ছিল এবং দলের সেই চাওয়ার সঙ্গে তুই কতটা মিশে গিয়েছিলি।
মাঠের ভেতরে-বাইরে তোর সঙ্গে কত স্মৃতি! কত কত আনন্দ আর হতাশায় একাকার হয়েছে আমাদের সময়!
অ্যাডিলেইড আর কার্ডিফে তোর সেঞ্চুরির কথা আজ আবার মনে পড়ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান, তোর এই অর্জন কেড়ে নিতে পারবে না কেউ। তবে আশা করি, তোকে আদর্শ মেনে বৈশ্বিক আসরে তোর চার সেঞ্চুরির রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে দেশের অনেকে। বড় মঞ্চে তুই যেভাবে নিজের সেরাটা মেলে ধরেছিস, সেই পথ অনুসরণ করবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। 
ঘরোয়া ক্রিকেটে তোর বাকি দিনগুলি উপভোগ্য হবে আর অবসর জীবন কাটবে আনন্দে, এই কামনা থাকল।

সবশেষ গত ১০ মার্চ কেন্দ্রীয় চুক্তির নতুন তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নাম ছিলো মাহমুদউল্লাহর। তবে তালিকা থেকে সেই নাম সরিয়ে নিতে বিসিবিকে অনুরোধ করেন তিনি। ফলে ধারণা করা হচ্ছিলো, একদিনের ক্রিকেট থেকেও সরে দাঁড়াবেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

এর আগে সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টুর্নামেন্টে কোন ম্যাচ না জিতেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিলো বাংলাদেশ। আর এই টুর্নামেন্টে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। যেজন্য পরতে হয়েছিলো সমালোচনায়। অনেক সাবেক ক্রিকেটারা সেখানেই শেষ দেখেছিলো মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারের।