ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার সৈয়দ আবিদ আলি মারা গেছেন। দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে আবিদের বয়স ছিল ৮৩ বছর। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২৯টি টেস্ট ও পাঁচটি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। আবিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে নর্থ আমেরিকা ক্রিকেট লিগের পেজে একটি পোস্ট করা হয়েছে।
সৈয়দ আবিদ আলি ছিলেন কিংবদন্তি ভারতীয় অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি, এমএল জয়সীমা ও আব্বাস আলি বেগের সমসাময়িক। তিনি হায়দারাবাদের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন। ১৯৬৭ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল।
ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং (৫৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট) করেছিলেন তিনি সেই টেস্টেই। ২৯টি টেস্টে মোট ১০১৮ রান করেছিলেন এবং ৪৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। এছাড়া পাঁচটি একদিনের ম্যাচে ৯৩ রান করেছিলেন। তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৭০। ২৬.৭১ গড়ে ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ২১২টি ম্যাচ খেলেছিলেন এবং ১৩টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরানসহ ৮৭৩২ রান করেছিলেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত স্কোর ছিল ১৭৩। এছাড়া বোলিংয়ে তার ৩৯৭টি উইকেট ছিল এবং ১৪ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন। ১২টি লিস্ট এ ম্যাচে ১৬৯ রান ও ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর আবিদ আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে ক্রিকেটের প্রসারের জন্য কাজ করেন।
আবিদ আলির মৃত্যুর পর শোকস্তব্ধ হয়েছেন কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। তিনি আবিদ আলিকে ‘সিংহ হৃদয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, “দলের প্রয়োজনে সবকিছু করতে প্রস্তুত ছিল আবিদ আলি।”
তিনি আরও বলেন, “অলরাউন্ডার হিসেবে দলে নির্বাচিত হলেও দলের প্রয়োজনে ওপেনিংও করেছে। তার ফিল্ডিং ছিল অসাধারণ, অনেক অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেছে আবিদ।”
গাভাস্কার আবিদের বোলিং সম্পর্কেও প্রশংসা করেছেন এবং স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “নতুন বলে বোলিং করতে এসে অভাবনীয় রেকর্ড গড়েছিল আবিদ। টেস্ট ম্যাচে প্রথম দুটি বলেই উইকেট দখল করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। আমাদের স্মৃতি ভুল না হলে, এই ঘটনা তিনি দু’বার ঘটিয়েছিলেন।”
আপনার মতামত লিখুন :